নিউইয়র্ক ০৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সিএনএনএর ফ্যাক্ট চেকিংয়ে আটকে গেলেন ট্রাম্প

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৮:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৪৪ বার পঠিত

সিএনএনএর ফ্যাক্ট চেকিংয়ে এবার আটকে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত কয়েকদিন ধরে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ট্রাম্প যে মিথ্যাচার করে আসছে তার সত্যতা যাচাই করে সংবাদমাধ্যমটি। এতে বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য। প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এবার মিত্র দেশ নিয়ে একের পর এক মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মিথ্যের ঝুলি এতোই বড় যে কোন চাঁদরেই ঢাকতে পারছেন না তা। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন ইউক্রেন নিয়ে ট্রাম্পের একেকটি অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে। যেখানে দেখা যায় ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে নিয়ে ট্রাম্প যেসব কথা বলেন তার বেশিরভাগই ভিত্তিহীন।

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর দায় ইউক্রেনের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ নিয়ে স্পষ্ট মন্তব্য ছিল তারা। যদিও, প্রকৃত ঘটনা হলো ২০২২ সালে রাশিয়া সর্বপ্রথম ইউক্রেন সীমান্তে আগ্রাসন শুরু করে। যার সাক্ষী গোটা বিশ্ব। এমনকি ট্রাম্পের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান আইন-প্রণেতা ট্রাম্পের এ মিথ্যাচারের কঠোর সমালোচনা করেন। গত বছর ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না দেয়ায় ভলোদিমির জেলেনস্কিকে স্বৈরশাসক বলেও অভিহিত করেন তিনি। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের ৪ শতাংশ মানুষও জেলেনস্কির নেতৃত্ব চায় না বলে অভিযোগ তার। অথচ গত মাসে করা জরিপে দেখা যায়, ৫৭ শতাংশ ইউক্রেনীয়’র আস্থা রয়েছে জেলেনস্কির ওপর।

ট্রাম্প যে কেবল জেলেনস্কির দিকেই তীর ছুঁড়েছেন তা নয়, ভুল তথ্য দিয়েছেন ইউক্রেনকে দেয়া সামরিক সহায়তার অঙ্ক নিয়েও। বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত কিয়েভকে ৩৫ হাজার কোটি ডলার দিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে ওয়ার্ল্ড ইকোনমির তথ্য বলছে, ট্রাম্পের দেয়া এ সংখ্যা আসল সংখ্যার ধারে কাছেও নেই। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউক্রেনকে মোট ১১ হাজার ৯শ’ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মিথ্যার ফুলঝুঁড়ি নিয়ে কেবল যুক্তরাষ্ট্রকেই ওপরে রেখেছেন ট্রাম্প তা কিন্তু নয়, মিত্রপক্ষ ইউরোপকে টেনে নিচে নামাতেও দ্বিধা করেননি তিনি। বলেন, ইউক্রেনকে মাত্র ১০ হাজার কোটি ডলার সহায়তা পাঠিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকের চেয়েও কম। অথচ সিএনএনএর ফ্যাক্ট চেকে দেখা যায়, কিয়েভকে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার কোটি ডলার দিয়েছে ইউরোপ।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পাঠানো এসব অনুদানের অর্ধেকের বেশি গোপনে সরিয়ে ফেলেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি , এমন মন্তব্যও করেন ট্রাম্প। সেটিও পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে উঠে আসে সিএনএনএর ফ্যাক্ট চেকে। সূত্র : এখন টিভি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সিএনএনএর ফ্যাক্ট চেকিংয়ে আটকে গেলেন ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ০১:১৮:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সিএনএনএর ফ্যাক্ট চেকিংয়ে এবার আটকে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত কয়েকদিন ধরে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ট্রাম্প যে মিথ্যাচার করে আসছে তার সত্যতা যাচাই করে সংবাদমাধ্যমটি। এতে বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য। প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এবার মিত্র দেশ নিয়ে একের পর এক মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মিথ্যের ঝুলি এতোই বড় যে কোন চাঁদরেই ঢাকতে পারছেন না তা। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন ইউক্রেন নিয়ে ট্রাম্পের একেকটি অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে। যেখানে দেখা যায় ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে নিয়ে ট্রাম্প যেসব কথা বলেন তার বেশিরভাগই ভিত্তিহীন।

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর দায় ইউক্রেনের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ নিয়ে স্পষ্ট মন্তব্য ছিল তারা। যদিও, প্রকৃত ঘটনা হলো ২০২২ সালে রাশিয়া সর্বপ্রথম ইউক্রেন সীমান্তে আগ্রাসন শুরু করে। যার সাক্ষী গোটা বিশ্ব। এমনকি ট্রাম্পের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান আইন-প্রণেতা ট্রাম্পের এ মিথ্যাচারের কঠোর সমালোচনা করেন। গত বছর ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না দেয়ায় ভলোদিমির জেলেনস্কিকে স্বৈরশাসক বলেও অভিহিত করেন তিনি। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের ৪ শতাংশ মানুষও জেলেনস্কির নেতৃত্ব চায় না বলে অভিযোগ তার। অথচ গত মাসে করা জরিপে দেখা যায়, ৫৭ শতাংশ ইউক্রেনীয়’র আস্থা রয়েছে জেলেনস্কির ওপর।

ট্রাম্প যে কেবল জেলেনস্কির দিকেই তীর ছুঁড়েছেন তা নয়, ভুল তথ্য দিয়েছেন ইউক্রেনকে দেয়া সামরিক সহায়তার অঙ্ক নিয়েও। বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত কিয়েভকে ৩৫ হাজার কোটি ডলার দিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে ওয়ার্ল্ড ইকোনমির তথ্য বলছে, ট্রাম্পের দেয়া এ সংখ্যা আসল সংখ্যার ধারে কাছেও নেই। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউক্রেনকে মোট ১১ হাজার ৯শ’ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মিথ্যার ফুলঝুঁড়ি নিয়ে কেবল যুক্তরাষ্ট্রকেই ওপরে রেখেছেন ট্রাম্প তা কিন্তু নয়, মিত্রপক্ষ ইউরোপকে টেনে নিচে নামাতেও দ্বিধা করেননি তিনি। বলেন, ইউক্রেনকে মাত্র ১০ হাজার কোটি ডলার সহায়তা পাঠিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকের চেয়েও কম। অথচ সিএনএনএর ফ্যাক্ট চেকে দেখা যায়, কিয়েভকে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার কোটি ডলার দিয়েছে ইউরোপ।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পাঠানো এসব অনুদানের অর্ধেকের বেশি গোপনে সরিয়ে ফেলেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি , এমন মন্তব্যও করেন ট্রাম্প। সেটিও পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে উঠে আসে সিএনএনএর ফ্যাক্ট চেকে। সূত্র : এখন টিভি।