নিউইয়র্ক ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রেকর্ড গতিতে গলছে পৃথিবীর হিমবাহ গুলো

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৯ বার পঠিত

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের হিমবাহগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে রেকর্ড গতিতে গলছে। এই বিষয়ে বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের বৃহত্তম আলেচ হিমবাহ ১৯০০ সাল থেকে ৩.২ কিলোমিটার গলেছে। এর মধ্যে এটি ২০০০ সালের পর গলেছে ১ কিলোমিটার। হিমবাহগুলো বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষের জন্য সুপেয় জলের উৎস এবং সম্পূর্ণ গলে গেলে সমুদ্রের উচ্চতা ৩২ সেন্টিমিটার বাড়তে পারে। ২০০০ সাল থেকে এগুলো ৬ হাজার ৫০০ বিলিয়ন টন বরফ হারিয়েছে। গলে যাওয়া এই বরফ মোট বরফের ৫ শতাংশ।

গবেষকেরা জানিয়েছেন, গত এক দশকেই হিমবাহগুলোর গলনের হার আগের চেয়ে এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকা বাদে বিশ্বজুড়ে হিমবাহগুলো বছরে গড়ে ২৭০ বিলিয়ন টন বরফ হারিয়েছে। এই পরিমাণ বরফকে বিশ্বের জনসংখ্যার ৩০ বছরের পানির চাহিদার সমান বলে উল্লেখ করেছেন গবেষণার প্রধান লেখক মাইকেল জেম্প।

গবেষণাটি বিভিন্ন গবেষণাপত্রের তথ্য একত্র করে নিশ্চিত করেছে যে, হিমবাহ দ্রুত গলছে এবং ভবিষ্যতে কীভাবে পরিবর্তন হবে তা স্পষ্ট করছে। হিমবাহ সম্পূর্ণ গলতে কয়েক বছর থেকে কয়েক দশক পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে বরফ হ্রাসের পরিমাণ নির্ভর করবে আমাদের কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণের ওপর। বৈশ্বিক উষ্ণতা সীমিত রাখতে পারলে হিমবাহ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।

হিমবাহ গলে যাওয়ার ফলে শুধু স্থানীয় প্রকৃতির পরিবর্তন নয়, বৈশ্বিক সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। প্রতি সেন্টিমিটার সমুদ্রপৃষ্ঠের বৃদ্ধি ২০ লাখ মানুষকে বার্ষিক বন্যার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। সূত্র : আজকের পত্রিকা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রেকর্ড গতিতে গলছে পৃথিবীর হিমবাহ গুলো

প্রকাশের সময় : ০৪:০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের হিমবাহগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে রেকর্ড গতিতে গলছে। এই বিষয়ে বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের বৃহত্তম আলেচ হিমবাহ ১৯০০ সাল থেকে ৩.২ কিলোমিটার গলেছে। এর মধ্যে এটি ২০০০ সালের পর গলেছে ১ কিলোমিটার। হিমবাহগুলো বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষের জন্য সুপেয় জলের উৎস এবং সম্পূর্ণ গলে গেলে সমুদ্রের উচ্চতা ৩২ সেন্টিমিটার বাড়তে পারে। ২০০০ সাল থেকে এগুলো ৬ হাজার ৫০০ বিলিয়ন টন বরফ হারিয়েছে। গলে যাওয়া এই বরফ মোট বরফের ৫ শতাংশ।

গবেষকেরা জানিয়েছেন, গত এক দশকেই হিমবাহগুলোর গলনের হার আগের চেয়ে এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকা বাদে বিশ্বজুড়ে হিমবাহগুলো বছরে গড়ে ২৭০ বিলিয়ন টন বরফ হারিয়েছে। এই পরিমাণ বরফকে বিশ্বের জনসংখ্যার ৩০ বছরের পানির চাহিদার সমান বলে উল্লেখ করেছেন গবেষণার প্রধান লেখক মাইকেল জেম্প।

গবেষণাটি বিভিন্ন গবেষণাপত্রের তথ্য একত্র করে নিশ্চিত করেছে যে, হিমবাহ দ্রুত গলছে এবং ভবিষ্যতে কীভাবে পরিবর্তন হবে তা স্পষ্ট করছে। হিমবাহ সম্পূর্ণ গলতে কয়েক বছর থেকে কয়েক দশক পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে বরফ হ্রাসের পরিমাণ নির্ভর করবে আমাদের কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণের ওপর। বৈশ্বিক উষ্ণতা সীমিত রাখতে পারলে হিমবাহ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।

হিমবাহ গলে যাওয়ার ফলে শুধু স্থানীয় প্রকৃতির পরিবর্তন নয়, বৈশ্বিক সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। প্রতি সেন্টিমিটার সমুদ্রপৃষ্ঠের বৃদ্ধি ২০ লাখ মানুষকে বার্ষিক বন্যার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। সূত্র : আজকের পত্রিকা।