নিউইয়র্ক ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ক্ষমতায় এসে কতজনকে চাকরিচ্যুত করলেন ট্রাম্প?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:২২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৮৬ বার পঠিত

২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার এক মাসও হয়নি, এরইমধ্যে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। ট্রাম্প একসময় ‘দি অ্যাপ্রেন্টিস’ নামক টেলিভিশন রিয়েলিটি শো উপস্থাপনা করতেন। এই শোতে তিনি একটি বিখ্যাত বাক্য বলতেন, তুমি বাদ। ট্রাম্পের এই বাক্যটি ব্যাপক জনপ্রিয়। এবার, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প এই বাক্যটির বাস্তব প্রয়োগ করে এখন পর্যন্ত ২০০জনেরও বেশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় এলে প্রশাসনে কিছুটা পরিবর্তন বা রদবদল হওয়া সাধারণ ঘটনা। ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই তার প্রথম সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যাপকভাবে বরখাস্ত করেছেন। এমনকি, লাখ লাখ সরকারি কর্মচারীকে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে বলেন ট্রাম্প। ট্রাম্প তার প্রস্তাবে ফেডারেল কর্মীদের ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ৮ মাসের বেতনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। হোয়াইট হাউসের দাবি, ইতোমধ্যে ৪০ হাজারের বেশি সরকারি কর্মচারী প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে বৈচিত্র্য, ন্যায্যতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রমগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন। শুক্রবারও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ রেকর্ড-রক্ষক কোলিন শোগানকে অপসারণ করেন ট্রাম্প। একইদিনে, তিনি জন এফ কেনেডি সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টসের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের বরখাস্ত করার অঙ্গীকার করেন এবং ঘোষণা দেন তিনি নিজে এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

ট্রাম্প সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করেছেন। তিনি ফেডারেল ইলেকশন কমিশনের এলেন ওয়েইনট্রাবকে বরখাস্ত করেছেন। এই ডেমোক্র্যাট অনলাইনে একটি চিঠি প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, তার চাকরিচ্যুতি অবৈধ। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক আইন প্রয়োগের দায়িত্ব এফইসির। এফইসি নির্বাচনী কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করে। এছাড়া, ট্রাম্প ন্যাশনাল লেবার রিলেশনস বোর্ডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী সদস্য গোয়েন উইলকক্সকেও বরখাস্ত করেছেন। এমনকি, যারা একসময় ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন, তাদেরও তিনি চাকরিচ্যুত করছেন।

এদিকে, পেন্টাগন জেনারেল মার্ক মিলের নিরাপত্তা সুরক্ষা প্রত্যাহার করেছেন ট্রাম্প। মিল অতীতে ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা পেন্টাগন থেকে মার্ক মিলের একটি প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলেন। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প ডিইআইয়ের কার্যক্রম বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ডিইআই কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারি কর্মস্থলে বিভিন্ন পটভূমির মানুষের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা। ডিইআই সম্পর্কিত পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূর্ণ করতে দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় দিন থেকেই কার্যক্রম শুরু করেন ট্রাম্প। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজ করা সব কর্মীকে বরখাস্ত করতে ফেডারেল এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দেন।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্তের সাথে জড়িত বেশ কিছু প্রসিকিউটরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দুটি ফেডারেল মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তবে, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ওই মামলা খারিজ হয়ে যায়। ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারাভিযানে অঙ্গীকার করেছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে সরকারি সংস্থাকে কারও বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার ধারার অবসান ঘটাবেন। সূত্র : বাংলাভিশন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ক্ষমতায় এসে কতজনকে চাকরিচ্যুত করলেন ট্রাম্প?

প্রকাশের সময় : ১১:২২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার এক মাসও হয়নি, এরইমধ্যে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন। ট্রাম্প একসময় ‘দি অ্যাপ্রেন্টিস’ নামক টেলিভিশন রিয়েলিটি শো উপস্থাপনা করতেন। এই শোতে তিনি একটি বিখ্যাত বাক্য বলতেন, তুমি বাদ। ট্রাম্পের এই বাক্যটি ব্যাপক জনপ্রিয়। এবার, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প এই বাক্যটির বাস্তব প্রয়োগ করে এখন পর্যন্ত ২০০জনেরও বেশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় এলে প্রশাসনে কিছুটা পরিবর্তন বা রদবদল হওয়া সাধারণ ঘটনা। ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই তার প্রথম সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যাপকভাবে বরখাস্ত করেছেন। এমনকি, লাখ লাখ সরকারি কর্মচারীকে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে বলেন ট্রাম্প। ট্রাম্প তার প্রস্তাবে ফেডারেল কর্মীদের ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ৮ মাসের বেতনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। হোয়াইট হাউসের দাবি, ইতোমধ্যে ৪০ হাজারের বেশি সরকারি কর্মচারী প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে বৈচিত্র্য, ন্যায্যতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রমগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন। শুক্রবারও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ রেকর্ড-রক্ষক কোলিন শোগানকে অপসারণ করেন ট্রাম্প। একইদিনে, তিনি জন এফ কেনেডি সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টসের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের বরখাস্ত করার অঙ্গীকার করেন এবং ঘোষণা দেন তিনি নিজে এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

ট্রাম্প সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করেছেন। তিনি ফেডারেল ইলেকশন কমিশনের এলেন ওয়েইনট্রাবকে বরখাস্ত করেছেন। এই ডেমোক্র্যাট অনলাইনে একটি চিঠি প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, তার চাকরিচ্যুতি অবৈধ। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক আইন প্রয়োগের দায়িত্ব এফইসির। এফইসি নির্বাচনী কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করে। এছাড়া, ট্রাম্প ন্যাশনাল লেবার রিলেশনস বোর্ডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী সদস্য গোয়েন উইলকক্সকেও বরখাস্ত করেছেন। এমনকি, যারা একসময় ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন, তাদেরও তিনি চাকরিচ্যুত করছেন।

এদিকে, পেন্টাগন জেনারেল মার্ক মিলের নিরাপত্তা সুরক্ষা প্রত্যাহার করেছেন ট্রাম্প। মিল অতীতে ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা পেন্টাগন থেকে মার্ক মিলের একটি প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলেন। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প ডিইআইয়ের কার্যক্রম বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ডিইআই কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারি কর্মস্থলে বিভিন্ন পটভূমির মানুষের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা। ডিইআই সম্পর্কিত পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূর্ণ করতে দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় দিন থেকেই কার্যক্রম শুরু করেন ট্রাম্প। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজ করা সব কর্মীকে বরখাস্ত করতে ফেডারেল এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দেন।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্তের সাথে জড়িত বেশ কিছু প্রসিকিউটরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দুটি ফেডারেল মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তবে, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ওই মামলা খারিজ হয়ে যায়। ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারাভিযানে অঙ্গীকার করেছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে সরকারি সংস্থাকে কারও বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার ধারার অবসান ঘটাবেন। সূত্র : বাংলাভিশন।