প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বৃদ্ধির সুপারিশ
![](https://hakkatha.com/wp-content/uploads/2024/05/hakkathafav.png)
- প্রকাশের সময় : ০৪:৪৯:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৩৬ বার পঠিত
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার গঠিত পরামর্শক কমিটি। এছাড়া সহকারী শিক্ষকের বিদ্যমান পদ বিলুপ্ত করে নতুন পদবি এবং পদোন্নতির সুযোগ বৃদ্ধিও করতে বলেছে কমিটি। অধ্যাপক মনজুর আহমদের নেতৃত্বাধীন ‘প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত পরামর্শক কমিটি’ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন তুলে ধরে।
পরে সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন অধ্যাপক মনজুর আহমদ। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পরামর্শক কমিটি যেসব সুপারিশ করেছে, তা মানার নৈতিক দায় আমাদের আছে। কিন্তু আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। তাদের কিছু সুপারিশ আমরা নিজেরাই বাস্তবায়ন করতে পারব।
বেতন গ্রেড বৃদ্ধি ও পদ পরিবর্তন নিয়ে যে সুপারিশ আছে :
বর্তমানে সারা দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যেখানে পৌনে চার লাখের মতো শিক্ষক আছেন। তাদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১তম। আর সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম। পরামর্শক কমিটি ‘সহকারী শিক্ষক’ পদ বিলুপ্ত করে শুরুর পদ ‘শিক্ষক’ করার সুপারিশ করেছে। এ ক্ষেত্রে ‘শিক্ষক’ হিসেবে শুরুতে বেতন গ্রেড হবে ১২তম (শুরুর মূল বেতন হবে ১১ হাজার ৩০০ টাকা, এর সঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যোগ হবে)। এরপর দুই বছর পর চাকরি স্থায়ীকরণ ও আরও দুই বছর পর তাদেরকে ‘সিনিয়র শিক্ষক’ করার সুপারিশ করা হয়েছে। তখন তাদের বেতন গ্রেড হবে ১১তম।
পরামর্শক কমিটি বলেছে, প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড ১১তম হলেও তাদের ১০ম গ্রেডে পদায়নের দাবি উচ্চ আদালতের সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে রিভিউ আবেদন করেছে। এ ক্ষেত্রে এই রিভিউ আবেদন প্রত্যাহার করে প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড দেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। কমিটি সব প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদে ৬৫ শতাংশ নিয়োগ হয় পদোন্নতির মাধ্যমে। আর ৩৫ শতাংশ নিয়োগ হয় সরাসরি।
পরামর্শক কমিটি বলেছে, ‘শিক্ষক’ ও প্রধান শিক্ষকেরা নিয়মানুযায়ী উচ্চতর স্কেল পাওয়ার যোগ্য হবেন। এ ছাড়া নিয়োগবিধিতে থাকা সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ বৃদ্ধি করে ‘সিনিয়র শিক্ষকদের’ মধ্য থেকে দায়িত্ব ভাতাসহ এসব পদে পদায়ন করতে বলেছে। সূত্র : সময়নিউজ