ভাঙচুরের ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ, প্রশ্ন
- প্রকাশের সময় : ০৪:০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪ বার পঠিত
ঢাকায় ধানমন্ডি ৩২ এবং সুধাসদনেই থেমে থাকেনি হামলা-ভাঙচুর। খুলনা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সিলেটসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি-ঘরে, শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ভাঙচুর করা হয়েছে।
এমনকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ধরে ভাঙচুরের এসব ঘটনায় ব্যবহার করা হয় বুলডোজার, এক্সকাভেটর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ভূমিকা রেখেছে, এরকম কোনো উদাহরণও নেই।যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু ঘটনাগুলোর প্যাটার্ন বা চরিত্র দেখে বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, এর পেছনে এক ধরনের প্রস্তুতি বা পরিকল্পনা ছিল। সেই প্রেক্ষাপটে সরকারের দিক থেকে সেভাবে শক্ত অবস্থান দৃশ্যমান ছিল না।
ফলে সরকারের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের এবং প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে ভাঙচুরের ঘটনা শুরু হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। সারারাত এবং পরদিনও যখন ঘটনা ঘটেই চলেছে, তখন বৃহস্পতিবার বিকেলে সরকারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।
সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে এবং এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। সূত্র : বাংলা নিউজ।