নিউইয়র্ক ০১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কবরস্থান নির্মাণে কেন বাঁধার মুখে পড়ছেন জাপানের মুসলিমরা?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪১:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৬৪ বার পঠিত

দীর্ঘদিন ধরে জাপান মুসলিম সংখ্যালঘু দেশ হিসেবেই পরিচিত হয়ে আসলেও সাম্প্রতিককালে দেশটিতে ব্যাপক হারে বাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা। গত এক দশকে এই দেশটিতে মুসলিমের সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। তবে ক্রমবর্ধমান মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে কবরস্থান। পরিসংখ্যান বলছে, জাপানে বর্তমানে মুসলিম জনসংখ্যা ৩ লাখ ৫০ হাজার। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মসজিদের সংখ্যাও। দেশটিতে মসজিদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দেড়শোটিরও বেশি। দ্রুত ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারীদের সংখ্যা বাড়ার কারণে দেশটিতে কবরস্থানের জন্য নজিরবিহীন এক চাপের সম্মুখীন হচ্ছে দেশটির সরকার। মূলত, দেশটিতে মৃতদেহ দাহ করার রীতি থাকলেও ইসলাম জাপানে দ্রুততম বর্ধনশীল ধর্ম হবার কারণে নতুন এই সমস্যা ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে মিডেল ইস্ট মনিটর।

১০ বছরে ৫০ হাজারেরও অধিক জাপানি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। মুসলিমদের সংখ্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদ ও হালাল খাবারের দোকান বাড়লেও বাড়েনি কবরস্থানের সংখ্যা। ফলে কবরস্থান নিয়ে জাপানের মুসলিমদের এখন উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। পুরো জাপানে মৃতদেহ কবরস্থ করার জন্য মাত্র ১০টি প্লট রয়েছে। যা মুসলিমের সংখ্যা অনুযায়ী মোটেও পর্যাপ্ত নয়। ফলে দেশটির সরকারের কাছে জানানো হচ্ছে নতুন কবরস্থান তৈরির আবেদন। তবে সেক্ষেত্রেও বাঁধার মুখে পড়ছে মুসলিমরা। মূলত অন্যান্য জাপানিদের প্রতিক্রিয়ার কারণেই মুসলিম সম্প্রদায়ের কবরস্থান নির্মাণের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রথা অনুযায়ী, মৃত্যুর পর বেশির ভাগ জাপানি পরিবার তাদের প্রিয়জনদের মরদেহ পুড়িয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। ফলে জাপানের সমাজে কবর দেওয়ার ধারণাটি অনেকের কাছে অপরিচিত ও অস্বস্তিকর। এছাড়া ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এই দাবির বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন দেশটির মুসলিমদের একাংশ।

অনেক জাপানির দাবি, কবরস্থান তৈরির ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার অনেকেই মুসলিমদের এমন দাবিকে ‘আগ্রাসী সম্প্রসারণ’ বলে উপস্থাপন করছেন। সমাধানের জন্য দেশটির আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি। ১৯৩০ সালের দিকে জাপানে প্রায় এক হাজার মুসলিম ছিলেন। পরে ১৯৮০-র দশকে ইরান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন কাজে মানুষ জাপানে পাড়ি দেয়ায় বাড়তে থাকে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা। জাপানের বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জ কিউশুর মেক্কা বেপ্পুতে একটি চারতলা মসজিদে প্রতি শুক্রবার কয়েক হাজার মুসল্লি একত্রে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। সূত্র : বাংলাভিশন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

কবরস্থান নির্মাণে কেন বাঁধার মুখে পড়ছেন জাপানের মুসলিমরা?

প্রকাশের সময় : ১২:৪১:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দীর্ঘদিন ধরে জাপান মুসলিম সংখ্যালঘু দেশ হিসেবেই পরিচিত হয়ে আসলেও সাম্প্রতিককালে দেশটিতে ব্যাপক হারে বাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা। গত এক দশকে এই দেশটিতে মুসলিমের সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। তবে ক্রমবর্ধমান মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে কবরস্থান। পরিসংখ্যান বলছে, জাপানে বর্তমানে মুসলিম জনসংখ্যা ৩ লাখ ৫০ হাজার। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মসজিদের সংখ্যাও। দেশটিতে মসজিদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দেড়শোটিরও বেশি। দ্রুত ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারীদের সংখ্যা বাড়ার কারণে দেশটিতে কবরস্থানের জন্য নজিরবিহীন এক চাপের সম্মুখীন হচ্ছে দেশটির সরকার। মূলত, দেশটিতে মৃতদেহ দাহ করার রীতি থাকলেও ইসলাম জাপানে দ্রুততম বর্ধনশীল ধর্ম হবার কারণে নতুন এই সমস্যা ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে মিডেল ইস্ট মনিটর।

১০ বছরে ৫০ হাজারেরও অধিক জাপানি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। মুসলিমদের সংখ্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদ ও হালাল খাবারের দোকান বাড়লেও বাড়েনি কবরস্থানের সংখ্যা। ফলে কবরস্থান নিয়ে জাপানের মুসলিমদের এখন উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। পুরো জাপানে মৃতদেহ কবরস্থ করার জন্য মাত্র ১০টি প্লট রয়েছে। যা মুসলিমের সংখ্যা অনুযায়ী মোটেও পর্যাপ্ত নয়। ফলে দেশটির সরকারের কাছে জানানো হচ্ছে নতুন কবরস্থান তৈরির আবেদন। তবে সেক্ষেত্রেও বাঁধার মুখে পড়ছে মুসলিমরা। মূলত অন্যান্য জাপানিদের প্রতিক্রিয়ার কারণেই মুসলিম সম্প্রদায়ের কবরস্থান নির্মাণের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রথা অনুযায়ী, মৃত্যুর পর বেশির ভাগ জাপানি পরিবার তাদের প্রিয়জনদের মরদেহ পুড়িয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। ফলে জাপানের সমাজে কবর দেওয়ার ধারণাটি অনেকের কাছে অপরিচিত ও অস্বস্তিকর। এছাড়া ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এই দাবির বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন দেশটির মুসলিমদের একাংশ।

অনেক জাপানির দাবি, কবরস্থান তৈরির ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার অনেকেই মুসলিমদের এমন দাবিকে ‘আগ্রাসী সম্প্রসারণ’ বলে উপস্থাপন করছেন। সমাধানের জন্য দেশটির আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি। ১৯৩০ সালের দিকে জাপানে প্রায় এক হাজার মুসলিম ছিলেন। পরে ১৯৮০-র দশকে ইরান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন কাজে মানুষ জাপানে পাড়ি দেয়ায় বাড়তে থাকে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা। জাপানের বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জ কিউশুর মেক্কা বেপ্পুতে একটি চারতলা মসজিদে প্রতি শুক্রবার কয়েক হাজার মুসল্লি একত্রে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। সূত্র : বাংলাভিশন।