নিউইয়র্ক ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
ব্রিটিশ এমপিদের অভিযোগ

অর্থ পাচার বন্ধে ‘লজ্জাজনক’ অবস্থান ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ২৯ বার পঠিত

কর ফাঁকি ও অবৈধ অর্থের গন্তব্য হিসেবে পরিচিত ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসের (বিভিআই) বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ এনেছেন যুক্তরাজ্যর এমপিরা। তারা বলছেন, আর্থিক অপরাধ দমনে দেশটির প্রস্তাব এড়াতে ‘লজ্জাজনক’ পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের অধীনে থাকা অফশোর অঞ্চলটি। বিষয়টি যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে বিভিআইকে ক্রমবর্ধমান এক দ্বন্দ্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যা সাংবিধানিক ব্যবস্থায় রূপ নিতে পারে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী নাতালিও হুইটলিকে লেখা যুক্তরাজ্যের এমপিদের চিঠি তুলে ধরেছে দ্য গার্ডিয়ান। ওই চিঠিতে দ্বীপ অঞ্চলটির নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে নিবন্ধিত কোম্পানির মালিকানা সম্পর্কিত নতুন রেজিস্টারের প্রস্তাব নিয়ে অনাগ্রহের সমালোচনা করেছেন তারা।

‘করস্বর্গ’ হিসেবে পরিচিত এ অঞ্চলের প্রস্তাবিত নীতিমালার খসড়া নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে ব্রিটিশ সরকারের। কারণ মূল ভূখণ্ড থেকে দূরবর্তী হলেও অঞ্চলগুলো যুক্তরাজ্যের ‘অবৈধ অর্থের কেন্দ্র’ হিসেবে পরিচিতি। তাই দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি নিজেদের ওপর থেকে ‘কলঙ্ক’ দূর করতে উদ্যোগী হয়েছেন। ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস সেখানে নিবন্ধিত কোম্পানির মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ্যে আনে না। সমালোচকদের মতে, এ সুযোগ নিয়ে বৈশ্বিক ধনীদের একটি অংশ অঞ্চলটিতে নিবন্ধিত কোম্পানির মাধ্যমে কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার করে।

সাম্প্রতিক অনুসন্ধান থেকে দেখা যাচ্ছে, বিভিআইভিত্তিক কোম্পানিগুলো একাধিক আন্তর্জাতিক তদন্তের মুখে পড়েছে। এর মধ্যে আলোচিত ঘটনার একটি হলো রুশ ধনকুবের ও সাবেক চেলসি এফসির মালিক রোমান আব্রামোভিচের কর ফাঁকির ঘটনা। বিভিন্ন ধরনের আপত্তির মুখে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত অফশোর অঞ্চলগুলো পিএআরবিওএস হিসেবে পরিচিত ওপেন রেজিস্টার চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রতিশ্রুতি দেয়া অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে জার্সি, গার্নসি ও আইল অব ম্যানের মতো দ্বীপ। এক্ষেত্রে বিভিআই ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছে। গত মাসে অঞ্চলটির কর্তৃপক্ষ এমন একটি প্রস্তাব প্রকাশ করেছে, যা ব্রিটিশ এমপি ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। তাদের মতে, এ ব্যবস্থায় কোম্পানির প্রকৃত মালিকদের খুঁজে বের করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। বিষয়টি যুক্তরাজ্য ও বিভিআইয়ের মধ্যে সাংবিধানিক দ্বন্দ্ব তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকার ‘অর্ডার ইন কাউন্সিল’ জারি করে দ্বীপপুঞ্জকে নতুন নিয়ম মানতে বাধ্য করতে পারে। এরই মধ্যে এ ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন সংগঠনগুলো।

ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসের প্রস্তাব অনুসারে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সাংবাদিক এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের মতো নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থা প্রাসঙ্গিক তথ্যের জন্য আবেদন করতে পারবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই আর্থিক অপরাধ সম্পর্কিত নিয়ন্ত্রক বা আইনি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকতে হবে। এ প্রস্তাবে আরো উদ্বেগজনক বিষয় হলো তথ্য সম্পর্কে আবেদনের বিষয়টি কোম্পানির মালিকদের আগেই জানিয়ে দেয়া হবে। এতে আপত্তি জানাতে পাঁচদিন সময় পাবেন তারা, যা তদন্তের আগে সম্পদ বা তথ্য লুকাতে সাহায্য করতে পারে অপরাধীদের।

এমপি জো পাওয়েল ও সাবেক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী অ্যান্ড্রু মিচেলের যৌথ চিঠি অনুসারে, এ পদক্ষেপ আবেদনকারীর জন্য ঝুঁকি বাড়াবে এবং অপরাধীদের সতর্ক করে দেবে। বিভিআইয়ের প্রধানমন্ত্রী নাটালিও হুইটলিকে উদ্দেশ করে তারা বলেন, ‘এতে মাদকচক্র, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ অর্জনকারী বা মানব পাচারকারীদের সম্পর্কে উচ্চঝুঁকিপূর্ণ তদন্তের সময় সাংবাদিকরা আইনি বা শারীরিক হুমকির সম্মুখীন করতে পারে।’

আরো বলা হচ্ছে, প্রস্তাবে মালিকানার সংজ্ঞায় সংকীর্ণতা রয়েছে এবং তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, ফলে এর অপব্যবহার ঠেকানো কঠিন হবে। এ অবস্থানের সমালোচনা করে অ্যান্ড্রু মিচেল বলেন, ‘ব্রিটিশ সংসদের ওপেন রেজিস্টার বাস্তবায়নের নির্দেশনার প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রকাশ করছে এ পরিকল্পনা। এটি শুধুই চুরি করা অর্থ ব্যবস্থাপনা ও পাচার চালিয়ে যাওয়ার কৌশল।’

তিনি বলেন, ‘বলতে গেলে ফরেন অফিসের কর্মকর্তাদের ভুল ধারণা দিয়েছিল যে তারা উন্মুক্ত রেজিস্টার বাস্তবায়ন করতে আরো সময় চাচ্ছে, কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি তাদের উদ্দেশ্য ছিল একদম ভিন্ন।’ অ্যান্ডু মিচেল বলেছিলেন, ‘যদি বিভিআই ব্রিটিশ আইনের অধীনে আমাদের পতাকা ও রাজার অধীনে থাকতে চায়, তবে আমাদের মূল্যবোধও মেনে নিতে হবে।’

ব্রিটিশ ফরেন অফিস আশা করছে, বিভিআই সরকার আর্থিক অপরাধ দমনসংক্রান্ত প্রস্তাবের পরিমার্জন করবে। এর আগে অফশোর অঞ্চলগুলোর সঙ্গে এক বৈঠকে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা। অবশ্য ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস প্রস্তাবসম্পর্কিত সাম্প্রতিক অভিযোগ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। যদিও আগের এক বিবৃতিতে তারা স্বচ্ছতা ও আর্থিক অপরাধ দমনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা বলেছিল। সূত্র : বণিক বার্তা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ব্রিটিশ এমপিদের অভিযোগ

অর্থ পাচার বন্ধে ‘লজ্জাজনক’ অবস্থান ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসের

প্রকাশের সময় : ১১:১৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কর ফাঁকি ও অবৈধ অর্থের গন্তব্য হিসেবে পরিচিত ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসের (বিভিআই) বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ এনেছেন যুক্তরাজ্যর এমপিরা। তারা বলছেন, আর্থিক অপরাধ দমনে দেশটির প্রস্তাব এড়াতে ‘লজ্জাজনক’ পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের অধীনে থাকা অফশোর অঞ্চলটি। বিষয়টি যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে বিভিআইকে ক্রমবর্ধমান এক দ্বন্দ্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যা সাংবিধানিক ব্যবস্থায় রূপ নিতে পারে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী নাতালিও হুইটলিকে লেখা যুক্তরাজ্যের এমপিদের চিঠি তুলে ধরেছে দ্য গার্ডিয়ান। ওই চিঠিতে দ্বীপ অঞ্চলটির নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে নিবন্ধিত কোম্পানির মালিকানা সম্পর্কিত নতুন রেজিস্টারের প্রস্তাব নিয়ে অনাগ্রহের সমালোচনা করেছেন তারা।

‘করস্বর্গ’ হিসেবে পরিচিত এ অঞ্চলের প্রস্তাবিত নীতিমালার খসড়া নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে ব্রিটিশ সরকারের। কারণ মূল ভূখণ্ড থেকে দূরবর্তী হলেও অঞ্চলগুলো যুক্তরাজ্যের ‘অবৈধ অর্থের কেন্দ্র’ হিসেবে পরিচিতি। তাই দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি নিজেদের ওপর থেকে ‘কলঙ্ক’ দূর করতে উদ্যোগী হয়েছেন। ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস সেখানে নিবন্ধিত কোম্পানির মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ্যে আনে না। সমালোচকদের মতে, এ সুযোগ নিয়ে বৈশ্বিক ধনীদের একটি অংশ অঞ্চলটিতে নিবন্ধিত কোম্পানির মাধ্যমে কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার করে।

সাম্প্রতিক অনুসন্ধান থেকে দেখা যাচ্ছে, বিভিআইভিত্তিক কোম্পানিগুলো একাধিক আন্তর্জাতিক তদন্তের মুখে পড়েছে। এর মধ্যে আলোচিত ঘটনার একটি হলো রুশ ধনকুবের ও সাবেক চেলসি এফসির মালিক রোমান আব্রামোভিচের কর ফাঁকির ঘটনা। বিভিন্ন ধরনের আপত্তির মুখে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত অফশোর অঞ্চলগুলো পিএআরবিওএস হিসেবে পরিচিত ওপেন রেজিস্টার চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রতিশ্রুতি দেয়া অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে জার্সি, গার্নসি ও আইল অব ম্যানের মতো দ্বীপ। এক্ষেত্রে বিভিআই ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছে। গত মাসে অঞ্চলটির কর্তৃপক্ষ এমন একটি প্রস্তাব প্রকাশ করেছে, যা ব্রিটিশ এমপি ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। তাদের মতে, এ ব্যবস্থায় কোম্পানির প্রকৃত মালিকদের খুঁজে বের করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। বিষয়টি যুক্তরাজ্য ও বিভিআইয়ের মধ্যে সাংবিধানিক দ্বন্দ্ব তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকার ‘অর্ডার ইন কাউন্সিল’ জারি করে দ্বীপপুঞ্জকে নতুন নিয়ম মানতে বাধ্য করতে পারে। এরই মধ্যে এ ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন সংগঠনগুলো।

ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসের প্রস্তাব অনুসারে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সাংবাদিক এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের মতো নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থা প্রাসঙ্গিক তথ্যের জন্য আবেদন করতে পারবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই আর্থিক অপরাধ সম্পর্কিত নিয়ন্ত্রক বা আইনি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকতে হবে। এ প্রস্তাবে আরো উদ্বেগজনক বিষয় হলো তথ্য সম্পর্কে আবেদনের বিষয়টি কোম্পানির মালিকদের আগেই জানিয়ে দেয়া হবে। এতে আপত্তি জানাতে পাঁচদিন সময় পাবেন তারা, যা তদন্তের আগে সম্পদ বা তথ্য লুকাতে সাহায্য করতে পারে অপরাধীদের।

এমপি জো পাওয়েল ও সাবেক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী অ্যান্ড্রু মিচেলের যৌথ চিঠি অনুসারে, এ পদক্ষেপ আবেদনকারীর জন্য ঝুঁকি বাড়াবে এবং অপরাধীদের সতর্ক করে দেবে। বিভিআইয়ের প্রধানমন্ত্রী নাটালিও হুইটলিকে উদ্দেশ করে তারা বলেন, ‘এতে মাদকচক্র, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ অর্জনকারী বা মানব পাচারকারীদের সম্পর্কে উচ্চঝুঁকিপূর্ণ তদন্তের সময় সাংবাদিকরা আইনি বা শারীরিক হুমকির সম্মুখীন করতে পারে।’

আরো বলা হচ্ছে, প্রস্তাবে মালিকানার সংজ্ঞায় সংকীর্ণতা রয়েছে এবং তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, ফলে এর অপব্যবহার ঠেকানো কঠিন হবে। এ অবস্থানের সমালোচনা করে অ্যান্ড্রু মিচেল বলেন, ‘ব্রিটিশ সংসদের ওপেন রেজিস্টার বাস্তবায়নের নির্দেশনার প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রকাশ করছে এ পরিকল্পনা। এটি শুধুই চুরি করা অর্থ ব্যবস্থাপনা ও পাচার চালিয়ে যাওয়ার কৌশল।’

তিনি বলেন, ‘বলতে গেলে ফরেন অফিসের কর্মকর্তাদের ভুল ধারণা দিয়েছিল যে তারা উন্মুক্ত রেজিস্টার বাস্তবায়ন করতে আরো সময় চাচ্ছে, কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি তাদের উদ্দেশ্য ছিল একদম ভিন্ন।’ অ্যান্ডু মিচেল বলেছিলেন, ‘যদি বিভিআই ব্রিটিশ আইনের অধীনে আমাদের পতাকা ও রাজার অধীনে থাকতে চায়, তবে আমাদের মূল্যবোধও মেনে নিতে হবে।’

ব্রিটিশ ফরেন অফিস আশা করছে, বিভিআই সরকার আর্থিক অপরাধ দমনসংক্রান্ত প্রস্তাবের পরিমার্জন করবে। এর আগে অফশোর অঞ্চলগুলোর সঙ্গে এক বৈঠকে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা। অবশ্য ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস প্রস্তাবসম্পর্কিত সাম্প্রতিক অভিযোগ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। যদিও আগের এক বিবৃতিতে তারা স্বচ্ছতা ও আর্থিক অপরাধ দমনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা বলেছিল। সূত্র : বণিক বার্তা।