নিউইয়র্ক ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
‘আমি প্রবাসী’র প্রতিবেদন

বিদেশগামী কর্মী কমেছে ২৭% দ্বিগুণ বেড়েছে নারী অভিবাসী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:০২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৮ বার পঠিত

২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামী অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। তবে আগের তুলনায় বিদেশের শ্রমবাজারে প্রবেশে আগ্রহ বেড়েছে নারীদের। ডিজিটাল অভিবাসন প্লাটফর্ম ‘আমি প্রবাসী’র বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৪-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর মোট ১০ লাখ ৯ হাজার ১৪৬ জন বাংলাদেশী কর্মী বিদেশে গেছেন, যা ২০২৩ সালে বিদেশগামী ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৮১১ জনের তুলনায় ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ কম। তবে ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিএমইটি নিবন্ধনে নারীদের অংশগ্রহণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ‘আমি প্রবাসী’র ২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট নারী অভিবাসীর বিএমইটি নিবন্ধনের হার ছিল ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, যা ২০২৪ সালে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশে। বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশী নারীদের আগ্রহ বৃদ্ধিকে এর অন্যতম কারণ বলছে ‘আমি প্রবাসী’। ২০২৪ সালে বিএমইটি নিবন্ধনের মোট সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৯৮ হাজার ২৭৬, যা ছাপিয়ে গেছে ২০২৩ সালের ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৮টি নিবন্ধনকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উন্নত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, লিঙ্গ বৈষম্যহীন নিয়োগ নীতি ও আরো উন্নত বৈদেশিক শ্রম চুক্তি বাংলাদেশের এ খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে, যা ভবিষ্যতে দক্ষ জনশক্তি রফতানির মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহকে টেকসই করতে সহায়ক হবে। প্রতিবেদনে নারীদের পেশা নির্বাচনে পরিবর্তনের দিকটিও উঠে এসেছে। আগের মতো শুধু গৃহকর্মী পেশার জন্য নয় বরং এখন নারীরা ধীরে ধীরে প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট পেশার দিকেও ঝুঁকছেন। কম্পিউটার অপারেশন, গ্রাফিক ডিজাইন ও অটোক্যাড ড্রাফটিংয়ের মতো প্রশিক্ষণ কোর্সে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। ২০২৩ সালের মতো ২০২৪ সালেও বাংলাদেশী অভিবাসীদের শীর্ষ গন্তব্য ছিল সৌদি আরব। অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদার বিপরীতে গত বছর মোট অভিবাসনের ৬২ দশমিক ১৭ শতাংশ (৬ লাখ ২৭ হাজার কর্মী) সৌদি আরবে গেছেন।

আমি প্রবাসীর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক ই. হক বলেন, ‘নারীদের বিএমইটি নিবন্ধনের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রমাণ করে বাংলাদেশের নারীরা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়তে আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন। এটি বৈশ্বিক শ্রমবাজারে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। সঠিক প্রশিক্ষণ ও সহায়তা করা হলে আমরা বিদেশে আরো দক্ষ কর্মী পাঠাতে পারব।’ সূত্র : বণিক বার্তা।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘আমি প্রবাসী’র প্রতিবেদন

বিদেশগামী কর্মী কমেছে ২৭% দ্বিগুণ বেড়েছে নারী অভিবাসী

প্রকাশের সময় : ১১:০২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামী অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। তবে আগের তুলনায় বিদেশের শ্রমবাজারে প্রবেশে আগ্রহ বেড়েছে নারীদের। ডিজিটাল অভিবাসন প্লাটফর্ম ‘আমি প্রবাসী’র বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৪-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর মোট ১০ লাখ ৯ হাজার ১৪৬ জন বাংলাদেশী কর্মী বিদেশে গেছেন, যা ২০২৩ সালে বিদেশগামী ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৮১১ জনের তুলনায় ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ কম। তবে ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিএমইটি নিবন্ধনে নারীদের অংশগ্রহণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ‘আমি প্রবাসী’র ২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট নারী অভিবাসীর বিএমইটি নিবন্ধনের হার ছিল ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, যা ২০২৪ সালে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশে। বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশী নারীদের আগ্রহ বৃদ্ধিকে এর অন্যতম কারণ বলছে ‘আমি প্রবাসী’। ২০২৪ সালে বিএমইটি নিবন্ধনের মোট সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৯৮ হাজার ২৭৬, যা ছাপিয়ে গেছে ২০২৩ সালের ৬ লাখ ৬০ হাজার ৮৮টি নিবন্ধনকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উন্নত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, লিঙ্গ বৈষম্যহীন নিয়োগ নীতি ও আরো উন্নত বৈদেশিক শ্রম চুক্তি বাংলাদেশের এ খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে, যা ভবিষ্যতে দক্ষ জনশক্তি রফতানির মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহকে টেকসই করতে সহায়ক হবে। প্রতিবেদনে নারীদের পেশা নির্বাচনে পরিবর্তনের দিকটিও উঠে এসেছে। আগের মতো শুধু গৃহকর্মী পেশার জন্য নয় বরং এখন নারীরা ধীরে ধীরে প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট পেশার দিকেও ঝুঁকছেন। কম্পিউটার অপারেশন, গ্রাফিক ডিজাইন ও অটোক্যাড ড্রাফটিংয়ের মতো প্রশিক্ষণ কোর্সে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। ২০২৩ সালের মতো ২০২৪ সালেও বাংলাদেশী অভিবাসীদের শীর্ষ গন্তব্য ছিল সৌদি আরব। অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদার বিপরীতে গত বছর মোট অভিবাসনের ৬২ দশমিক ১৭ শতাংশ (৬ লাখ ২৭ হাজার কর্মী) সৌদি আরবে গেছেন।

আমি প্রবাসীর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক ই. হক বলেন, ‘নারীদের বিএমইটি নিবন্ধনের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রমাণ করে বাংলাদেশের নারীরা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়তে আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন। এটি বৈশ্বিক শ্রমবাজারে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। সঠিক প্রশিক্ষণ ও সহায়তা করা হলে আমরা বিদেশে আরো দক্ষ কর্মী পাঠাতে পারব।’ সূত্র : বণিক বার্তা।