নিউইয়র্ক ০১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রাশিয়াকে বাধ্য করার ক্ষমতা কী যুক্তরাষ্ট্রের আছে?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১০:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৪৩ বার পঠিত

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকিকে কূটনৈতিক বাগাড়ম্বর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন পোল্যান্ডের সামরিক কর্মকর্তা বোগুসল প্যাটস্ক।

পোলিশ সেনাবাহিনীর এই জেনারেল বলেছেন, মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে তেমন কোনো পরিবর্তনই হবে না। সম্প্রতি ট্রাম্প এই বলে ঘোষণা দেন যে, মস্কো যদি ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ না করে, তাহলে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক আরোপ করবেন।

ইউরোপীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্যাটস্ক ট্রাম্পের এই হুমকির কথা উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ছাড় দিতে বাধ্য করার ক্ষমতা ওয়াশিংটনের নেই। পোল্যান্ডের এই জেনারেল উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো)-তে ইউক্রেনের সদস্যপদ অর্জনের জন্য পশ্চিমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে যুদ্ধবিরতি অর্জনের পথে অন্যতম বাধা বলেও অভিহিত করেছেন।

অন্যদিকে রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ রোববার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম সপ্তাহে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। তবে রাশিয়া এতে বোকা বনবে না।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব চাইলে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ এক নিমেষেই বন্ধ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। দেশটির এক সিদ্ধান্তেই নাকি ‘সঙ্গে সঙ্গে’ যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনটাই দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এমনকি এতদিন কেন সেটা ঘটল না, তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।

পূর্ব ইউরোপের যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সৌদি আরবের কী করা উচিত, সেটাও বলে দিয়েছেন ট্রাম্প। ২৫ জানুয়ারি এক ভাষণে ট্রাম্প বলেছেন, সৌদি আরব ও তেল রপ্তানিকারী অন্য দেশগুলোর উচিত অবিলম্বে তেলের দাম কমিয়ে দেওয়া। তা হলেই রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে। সূত্র: তাস ও বিবিসি

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রাশিয়াকে বাধ্য করার ক্ষমতা কী যুক্তরাষ্ট্রের আছে?

প্রকাশের সময় : ০৩:১০:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকিকে কূটনৈতিক বাগাড়ম্বর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন পোল্যান্ডের সামরিক কর্মকর্তা বোগুসল প্যাটস্ক।

পোলিশ সেনাবাহিনীর এই জেনারেল বলেছেন, মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে তেমন কোনো পরিবর্তনই হবে না। সম্প্রতি ট্রাম্প এই বলে ঘোষণা দেন যে, মস্কো যদি ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ না করে, তাহলে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক আরোপ করবেন।

ইউরোপীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্যাটস্ক ট্রাম্পের এই হুমকির কথা উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ছাড় দিতে বাধ্য করার ক্ষমতা ওয়াশিংটনের নেই। পোল্যান্ডের এই জেনারেল উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো)-তে ইউক্রেনের সদস্যপদ অর্জনের জন্য পশ্চিমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে যুদ্ধবিরতি অর্জনের পথে অন্যতম বাধা বলেও অভিহিত করেছেন।

অন্যদিকে রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ রোববার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম সপ্তাহে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। তবে রাশিয়া এতে বোকা বনবে না।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব চাইলে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ এক নিমেষেই বন্ধ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। দেশটির এক সিদ্ধান্তেই নাকি ‘সঙ্গে সঙ্গে’ যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনটাই দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এমনকি এতদিন কেন সেটা ঘটল না, তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।

পূর্ব ইউরোপের যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য সৌদি আরবের কী করা উচিত, সেটাও বলে দিয়েছেন ট্রাম্প। ২৫ জানুয়ারি এক ভাষণে ট্রাম্প বলেছেন, সৌদি আরব ও তেল রপ্তানিকারী অন্য দেশগুলোর উচিত অবিলম্বে তেলের দাম কমিয়ে দেওয়া। তা হলেই রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে। সূত্র: তাস ও বিবিসি