নিউইয়র্ক ০৪:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ট্রাম্পের চমক, শপথ অনুষ্ঠানেও আয় ২০০ মিলিয়ন ডলার! (ভিডিও)

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৩০ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিমধ্যে সপরিবারে ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনের ভিতরে বসবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আসর। তবে জমকালো এই আয়োজনকে শুধু খরচ নয়, অর্থ সংগ্রহেও কাজে লাগাবেন পাকা ব্যবসায়ী ট্রাম্প। প্রতিবারের মতো এ বছর ক্যাপিটল ভবনের বাইরের উদ্যানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়নি। অতিরিক্ত ঠান্ডা এবং শৈত্যপ্রবাহের কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। শপথগ্রহণের পরে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। সঙ্গে আয়োজিত হবে একাধিক ইভেন্ট। যেখানে টিকিটের সর্বোচ্চ দাম রাখা হয়েছে ১০ লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১২ কোটি টাকা।

ট্রাম্পের পাশাপাশি ওইদিন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন জেডি ভান্স। তাদের দু’জনের সঙ্গেই নৈশভোজ করা যাবে। ওই নৈশভোজে থাকার জন্য পাঁচ ধরনের টিকিটের বন্দোবস্ত রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ লাখ ডলারের টিকিট ছাড়াও রাখা হয়েছে ৫ লাখ ডলার, আড়াই লাখ ডলার, এক লাখ ডলার এবং ৫০ হাজার ডলারের টিকিট। এছাড়া আছে ‘ক্যান্ডেল লাইট ডিনার’র ব্যবস্থা যেখানে সরাসরি উপস্থিত থাকবেন ট্রাম্প। আর এর জন্য কিনতে হবে ছয়টি টিকিট। নিজের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে তহবিল সংগ্রহের দারুণ এক মাধ্যম বানিয়েছেন ট্রাম্প। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শপথ অনুষ্ঠানের পর যে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে, তার মূল উদ্দেশ্য অর্থ সংগ্রহ। এর মাধ্যমে যে অর্থ সংগৃহীত হবে, তা নির্দিষ্ট একটি তহবিলে জমা হবে। জানা গেছে, শুধু এই অনুষ্ঠান থেকেই ২০০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে ১৭০ মিলিয়ন ডলার কালেকশন হয়ে গেছে।

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ ডোনেশন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নামি-দামি সব প্রতিষ্ঠান। অ্যাামাজন, মেটা, ওপেন এআই, মাক্রোসফট ও গুগলের মত টেক জায়ান্টদের প্রত্যেকেই ১ মিলিয়ন ডলার করে ট্রাম্পের তহবিলে জমা রাখবেন। এছাড়াও এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে অ্যাপেল, ফোর্ড, টয়োটা, শেভরন, জেনারেল মটরস ও উবারের মত প্রতিষ্ঠান। ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারাটাকেই অনেক বড় কৃতিত্ব মনে করেন অনেকে। তবে সেই সুযোগ পেতে হলে খরচা করতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা। ফ্রিতে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সুযোগ হবে খুবই অল্পসংখ্যক মানুষের। তবে খরচ করে হলেও এই অনুষ্ঠানে আসতে চান বিশ্বের প্রভাবশালী রাজনীতিকদের অনেকে। গুঞ্জন উঠেছে আমন্ত্রণ না পেয়েও এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়রাম্যান বিলোয়াল ভুট্টো। আর এজন্য মিলিয়ন ডলার খরচা করতে হচ্ছে তাকে। এছাড়াও টিকিত কেটে হাজির হতে পারেন ভারতের ধনাঢ্য দম্পতি মুকেশ আম্বানি ও নিতা আম্বানি।

ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান দেখার জন্যে ইতোমধ্যেই ২ লাখ ২০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। কিন্তু ৭০০-র বেশি মানুষ অনুষ্ঠান কক্ষে ঢুকতে পারবেন না। তাই প্রথম ৭০০ জন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন আর বাকিরা বাইরের স্ক্রিনে অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পাবেন। শপথগ্রহণ শেষে তাদেরও দেখা দেবেন ট্রাম্প। শপথ গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনটি অফিসিয়াল গালায় অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আরো এক ডজনেরও বেশি বিশেষ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সূত্র : বাংলাভিশন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের চমক, শপথ অনুষ্ঠানেও আয় ২০০ মিলিয়ন ডলার! (ভিডিও)

প্রকাশের সময় : ০১:৫২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিমধ্যে সপরিবারে ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনের ভিতরে বসবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আসর। তবে জমকালো এই আয়োজনকে শুধু খরচ নয়, অর্থ সংগ্রহেও কাজে লাগাবেন পাকা ব্যবসায়ী ট্রাম্প। প্রতিবারের মতো এ বছর ক্যাপিটল ভবনের বাইরের উদ্যানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়নি। অতিরিক্ত ঠান্ডা এবং শৈত্যপ্রবাহের কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। শপথগ্রহণের পরে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। সঙ্গে আয়োজিত হবে একাধিক ইভেন্ট। যেখানে টিকিটের সর্বোচ্চ দাম রাখা হয়েছে ১০ লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১২ কোটি টাকা।

ট্রাম্পের পাশাপাশি ওইদিন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন জেডি ভান্স। তাদের দু’জনের সঙ্গেই নৈশভোজ করা যাবে। ওই নৈশভোজে থাকার জন্য পাঁচ ধরনের টিকিটের বন্দোবস্ত রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ লাখ ডলারের টিকিট ছাড়াও রাখা হয়েছে ৫ লাখ ডলার, আড়াই লাখ ডলার, এক লাখ ডলার এবং ৫০ হাজার ডলারের টিকিট। এছাড়া আছে ‘ক্যান্ডেল লাইট ডিনার’র ব্যবস্থা যেখানে সরাসরি উপস্থিত থাকবেন ট্রাম্প। আর এর জন্য কিনতে হবে ছয়টি টিকিট। নিজের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে তহবিল সংগ্রহের দারুণ এক মাধ্যম বানিয়েছেন ট্রাম্প। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শপথ অনুষ্ঠানের পর যে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে, তার মূল উদ্দেশ্য অর্থ সংগ্রহ। এর মাধ্যমে যে অর্থ সংগৃহীত হবে, তা নির্দিষ্ট একটি তহবিলে জমা হবে। জানা গেছে, শুধু এই অনুষ্ঠান থেকেই ২০০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে ১৭০ মিলিয়ন ডলার কালেকশন হয়ে গেছে।

ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ ডোনেশন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নামি-দামি সব প্রতিষ্ঠান। অ্যাামাজন, মেটা, ওপেন এআই, মাক্রোসফট ও গুগলের মত টেক জায়ান্টদের প্রত্যেকেই ১ মিলিয়ন ডলার করে ট্রাম্পের তহবিলে জমা রাখবেন। এছাড়াও এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে অ্যাপেল, ফোর্ড, টয়োটা, শেভরন, জেনারেল মটরস ও উবারের মত প্রতিষ্ঠান। ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারাটাকেই অনেক বড় কৃতিত্ব মনে করেন অনেকে। তবে সেই সুযোগ পেতে হলে খরচা করতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা। ফ্রিতে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সুযোগ হবে খুবই অল্পসংখ্যক মানুষের। তবে খরচ করে হলেও এই অনুষ্ঠানে আসতে চান বিশ্বের প্রভাবশালী রাজনীতিকদের অনেকে। গুঞ্জন উঠেছে আমন্ত্রণ না পেয়েও এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়রাম্যান বিলোয়াল ভুট্টো। আর এজন্য মিলিয়ন ডলার খরচা করতে হচ্ছে তাকে। এছাড়াও টিকিত কেটে হাজির হতে পারেন ভারতের ধনাঢ্য দম্পতি মুকেশ আম্বানি ও নিতা আম্বানি।

ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান দেখার জন্যে ইতোমধ্যেই ২ লাখ ২০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। কিন্তু ৭০০-র বেশি মানুষ অনুষ্ঠান কক্ষে ঢুকতে পারবেন না। তাই প্রথম ৭০০ জন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন আর বাকিরা বাইরের স্ক্রিনে অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পাবেন। শপথগ্রহণ শেষে তাদেরও দেখা দেবেন ট্রাম্প। শপথ গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনটি অফিসিয়াল গালায় অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আরো এক ডজনেরও বেশি বিশেষ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সূত্র : বাংলাভিশন।