নিউইয়র্ক: স্রোতের বিপরীতে সত্যের পক্ষে লড়ে যাবার অনুপ্রেরণা হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিবেন দৈনিক আমার দেশ-এর কারানির্যাতিত ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও তাঁর আশু আরোগ্য কামনায় ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সিটির জ্যাকসন হাইটসে প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক সমাজ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিকরা।
প্রবীন সাংবাদিক ও এখন সময় সম্পাদক কাজী শামসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)-র সভাপতি শওকত মাহমুদ, প্রবাসী কলামিষ্ট মিনা ফারাহ, সিনিয়র সাংবাদিক মইনুদ্দীন নাসের, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক প্রবাস-এর প্রধান সম্পাদক ওয়ালিউল আলম, গ্রীনবার্তা ডট কম’র সম্পাদক ও জাতিসংঘ সংবাদদাতা ইমরান আনসারী, দৈনিক মানবজমিনের বিশেষ প্রতিনিধি কাওসার মুমিন, বিশিষ্ট লেখক-কলামিস্ট মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল আবেদীন, লেখিকা ও মানবাধিকার কর্মী কাজী ফৌজিয়া, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সাংবাদিক আবিদুর রহিম, ইসলামিক টেলিভিশন-এর পরিচালক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বিশিষ্ট লেখক মুফতি ইসমাইল, ইয়র্ক বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আহমেদ রশিদ, টাইম টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি শিবলী চৌধুরী কায়েস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক শওকত মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে এখন ভিন্নমত প্রকাশ দূরে থাকে। সোস্যাল মিডিয়া ভিন্ন মতের শেয়ারিংও সরকার সহ্য করছে না। এই পরিস্থিতিটি মাহমুদুর রহমান সবার আগে আঁচ করতে পেরেছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে তাকে বিনা বিচারে তিন বছর কারাগারে থাকতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, স্রোাতের বিপরীতে গিয়ে সত্যের পক্ষে দাড়াবার যে অনুপ্রেরণা মাহমুদুর রহমান দেখিয়ে গেছেন। ইতিহাস একদিন তা মূল্যায়ন করবে।
মিনা ফারাহ বলেন, বাংলাদেশ বিদেশী রাষ্ট্রের সহায়তায় কর্তৃত্ববাদী শাসনের দিকে যাবে -তা মাহমুদুর রহমান আঁচ করতে পেরেছিলেন। আজকে যেসব দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে সেসব দেশ সরকারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে। সে জন্য সরকার দমন পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। এথেকে মুক্তি পেতে জনগনকে রাস্তায় নামতে হবে।
ইমরান আনসারী বলেন, শাহবাগ মঞ্চ থেকে ভিন্নমতের মিডিয়া বয়কটের ঘোষনার তাৎপর্য প্রথমেই আঁচ করতে পেরেছিলেন মাহমুদুর রহমান। শাহবাগে ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি শিরোনামে তিনিই প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে জাতিকে সতর্ক করেছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে তাঁেক আজ নির্যাতন সইতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, শাহবাগ মঞ্চ ছিল যুদ্ধাপরাধের বিচার চাইবার নামে গণতন্ত্র হত্যা , সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ সর্বোপুরি জাতীয় ঐক্য বিনষ্টের সুদূর প্রসারী একটি পরিকল্পনার অংশ বিশেষ।
আলোচনা শেষে মাহমুদুর রহমানের দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি ইসমাইল।