নিউইয়র্ক ০৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রিসপেরিডোনের প্রথম চালান যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে রেনাটা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৯ বার পঠিত

মানসিক বৈকল্যের চিকিৎসায় ব্যবহৃত রিসপেরিডোন ওষুধের প্রথম চালান যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাঠিয়েছে ওষুধ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি রেনাটা পিএলসি। প্রাথমিকভাবে দেশটিতে ১ কোটি ২০ লাখ ট্যাবলেট পাঠানো হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ ও খাদ্য প্রশাসন (এফডিএ) অনুমোদিত কারখানায় স্পেরিড ব্র্যান্ড নামে রিসপেরিডোন উৎপাদন করেছে রেনাটা। বাংলাদেশের বাজারে এরই মধ্যে ওষুধটি মানসিক বৈকল্যের চিকিৎসায় আস্থা অর্জন করেছে। সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিজঅর্ডার ও অটিজমের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার হয়।

চলতি ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রেনাটার শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৮ টাকা ৮৯ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০০ টাকা ৯৫ পয়সায়। সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে কোম্পানিটির পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৯২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩১ টাকা ৫৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২০ টাকা ৪০ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৯৫ টাকা ৫৬ পয়সায়। সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে রেনাটার পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ২৩৪ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫১১ কোটি টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২০ টাকা ৪০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৪ টাকা ৫৬ পয়সা।

ওই বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৬৬ টাকা ৮৭ পয়সায়। কোম্পানিটির ঋণমান ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও চলতি বছরের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড।

১৯৭৯ সালে পুঁজিবাজারে আসা রেনাটা পিএলসি ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ জায়ান্ট ফাইজারের একটি কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশে যাত্রা করে। ১৯৯৩ সালে ফাইজার স্থানীয় শেয়ারহোল্ডারদের কাছে তাদের মালিকানা বিক্রি করে চলে যায় এবং কোম্পানির নাম ফাইজার (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বদলে হয় রেনাটা লিমিটেড। বর্তমান নাম রেনাটা পিএলসি। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২৮৫ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১১৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩ হাজার ২৭২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯০। এর মধ্যে ৫১ দশমিক ২৯ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২০ দশমিক ৮০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ২১ দশমিক ২৬ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। সূত্র : বণিক বার্তা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রিসপেরিডোনের প্রথম চালান যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে রেনাটা

প্রকাশের সময় : ০৪:৩০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

মানসিক বৈকল্যের চিকিৎসায় ব্যবহৃত রিসপেরিডোন ওষুধের প্রথম চালান যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাঠিয়েছে ওষুধ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি রেনাটা পিএলসি। প্রাথমিকভাবে দেশটিতে ১ কোটি ২০ লাখ ট্যাবলেট পাঠানো হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ ও খাদ্য প্রশাসন (এফডিএ) অনুমোদিত কারখানায় স্পেরিড ব্র্যান্ড নামে রিসপেরিডোন উৎপাদন করেছে রেনাটা। বাংলাদেশের বাজারে এরই মধ্যে ওষুধটি মানসিক বৈকল্যের চিকিৎসায় আস্থা অর্জন করেছে। সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিজঅর্ডার ও অটিজমের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার হয়।

চলতি ২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রেনাটার শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ৮ টাকা ৮৯ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০০ টাকা ৯৫ পয়সায়। সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরে কোম্পানিটির পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৯২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩১ টাকা ৫৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২০ টাকা ৪০ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৯৫ টাকা ৫৬ পয়সায়। সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে রেনাটার পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ২৩৪ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫১১ কোটি টাকা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২০ টাকা ৪০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৪ টাকা ৫৬ পয়সা।

ওই বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৬৬ টাকা ৮৭ পয়সায়। কোম্পানিটির ঋণমান ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৪ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও চলতি বছরের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড।

১৯৭৯ সালে পুঁজিবাজারে আসা রেনাটা পিএলসি ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ জায়ান্ট ফাইজারের একটি কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশে যাত্রা করে। ১৯৯৩ সালে ফাইজার স্থানীয় শেয়ারহোল্ডারদের কাছে তাদের মালিকানা বিক্রি করে চলে যায় এবং কোম্পানির নাম ফাইজার (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বদলে হয় রেনাটা লিমিটেড। বর্তমান নাম রেনাটা পিএলসি। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২৮৫ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১১৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩ হাজার ২৭২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯০। এর মধ্যে ৫১ দশমিক ২৯ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২০ দশমিক ৮০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ২১ দশমিক ২৬ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। সূত্র : বণিক বার্তা।