প্রিয় মাতৃভূমিকে দেখে দু’ চোখ জুড়িয়ে যায়, মন চায় দেশে ফিরে রাজনীতি করি

- প্রকাশের সময় : ০৮:৪১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৬
- / ১১৭৪ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (প্রথম) ফারুক আহমেদ বলেছেন, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ আর আগের মতো নেই। ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে, এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, দেশের চলমান উন্নয়ন আর অগ্রগতিতে প্রিয় মাতৃভূমিকে দেখে দু’ চোখ জুড়িয়ে যায়। দেশের রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে মন চায়। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এলাকার মানুষও চায় আমি দেশে ফিরে জনসেবায় নিজেকে আতœনিয়োগ করি। দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস বাংলাদেশ সফর শেষে গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক ফিরে ইউএনএ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে ফারুক আহমেদ উপরোক্ত কথা বলেন।
মূলত: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে যোগদান উপলক্ষে ফারুক আহমেদ গত ১৮ অক্টোবর বাংলাদেশ গমন করেন। নিউইয়র্ক ফিরে আসেন গত ২৬ নভেম্বর শনিবার। পরদিন ২৭ নভেম্বর রোববার রাতে ইউনাইটেড নিউজ অব আমেরিকা (ইউএনএ) প্রতিনিধির সাথে বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে কথা বলেন ফারুক আহমেদ। খবর ইউএনএ’র।
বাংলাদেশ সফরকালীন সময়ে তিনি গত ২১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুর কাদের এমপি, কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হানিফ এমপি ও দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের সাথে ধানমন্ডীস্থ সভানেত্রীর দলীয় কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের সাথে সিলেট রেড ক্রিসেন্ট অফিসে এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে মিন্টো রোডস্থ তার বাসবভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
দলীয় সভানেত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ড. সিদ্দিকুর রহমানকে কাউন্সিলের প্রথম দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে কাউন্সিলার কার্ড প্রদানের জন্য সভানেত্রী শেখ হাসিনা সহ দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জানান।
ফারুক আহমেদ বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল। দেশের মানুষের কোন অভাব-অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতির জোয়ারে বিএনপি’র কোন কার্মকান্ড বা দলীয় কর্মসূচী নেই। ফলে দিন দিন বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে বিএনপি মুসলিম লীগে পরিণত হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, তিন বছর পর বাংলাদেশে গেলে এলাকার মানুষ আমার ব্যাপারে যথেষ্ট আশবাবাদী। তারা চাচ্ছেন আগামীতে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আমি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সিলেট-৪ (গোয়াইন ঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ) আসন থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। প্রসঙ্গত তিনি বলেন ইতিপূর্বে আমি প্রবাস থেকে ফিরে গিয়ে গোয়াইন ঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে সিলেট-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে (স্বতন্ত্র প্রার্থী) নির্বাচন করে এলাকাবাসীর ব্যাপক সাড়া পাই। তিনি বলেন, এলাকার মানুষের সুখ-দুখের সাথী হিসেবে এবারও দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও গণ সংযোগ করি। তিনি বলেন, মাঠ জরিপের ভিত্তিতে দলীয় মনানয়ন দিলে আগামী নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন পেতে সক্ষম হবো। প্রসঙ্গত তিনি আরো বলেন, গোয়াইন ঘাট উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত ফারুক আহমেদ কুনকিরি উচ্চ বিদ্যালয় ও সুলতানপুর বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির সংস্কারে ব্যয় করি। ঐছাড়াও কোম্পানীগঞ্জের খাগাইল মাদ্রাসায় ২০ হাজার টাকার অনুদান ঘোষণা করি।