নিউইয়র্ক ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গোপন সুড়ঙ্গপথ সিরিয়ায়

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৪৬ বার পঠিত

সিরিয়ার রাজধানী দামেশকের কাছের মাউন্ট কাসিউনের ঢালে আবিষ্কৃত হয়েছে এক জটিল সুড়ঙ্গপথের নেটওয়ার্ক। এ সুড়ঙ্গপথ সিরিয়ার সামরিক ঘাঁটি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ পর্যন্ত বিস্তৃত। গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে তারপর এই গোপন সুড়ঙ্গপথ উন্মোচিত হলো। শনিবার এএফপির একজন প্রতিবেদক দামেশকের পাশে অবস্থিত পরিত্যক্ত রিপাবলিকান গার্ড ঘাঁটিতে এ সুড়ঙ্গপথ পরিদর্শন করেন। ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের হাতে দামেশক মুক্ত হওয়ার পর আসাদ মস্কো পালিয়ে যান।

হায়াত তাহরির আল শামের সামরিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু সালিম জানান, এই বিশাল ঘাঁটিতে প্রবেশ করার পর তারা একটি বিস্তৃত সুড়ঙ্গপথ আবিষ্কার করেন, যা পাশের পাহাড়ে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সঙ্গে যুক্ত। আসাদের শাসনকালে মাউন্ট কাসিউন সাধারণ মানুষের জন্য নিষিদ্ধ ছিল। এই পাহাড়ের অবস্থান ছিল স্নাইপারদের জন্য আদর্শ, যেখান থেকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন পর্যবেক্ষণ করা যেত। এখান থেকেই আর্টিলারি ইউনিটগুলো বছরের পর বছর বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাত। এই সামরিক ঘাঁটিতে দুইটি বিশাল বাংকার রয়েছে, যেখানে সৈন্যদের থাকার জন্য ব্যবস্থা ছিল। বাংকারগুলোতে টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ, বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা এবং অস্ত্র মজুত ছিল। সূত্র : খালিজ টাইমস।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গোপন সুড়ঙ্গপথ সিরিয়ায়

প্রকাশের সময় : ০১:১৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

সিরিয়ার রাজধানী দামেশকের কাছের মাউন্ট কাসিউনের ঢালে আবিষ্কৃত হয়েছে এক জটিল সুড়ঙ্গপথের নেটওয়ার্ক। এ সুড়ঙ্গপথ সিরিয়ার সামরিক ঘাঁটি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ পর্যন্ত বিস্তৃত। গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে তারপর এই গোপন সুড়ঙ্গপথ উন্মোচিত হলো। শনিবার এএফপির একজন প্রতিবেদক দামেশকের পাশে অবস্থিত পরিত্যক্ত রিপাবলিকান গার্ড ঘাঁটিতে এ সুড়ঙ্গপথ পরিদর্শন করেন। ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের হাতে দামেশক মুক্ত হওয়ার পর আসাদ মস্কো পালিয়ে যান।

হায়াত তাহরির আল শামের সামরিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু সালিম জানান, এই বিশাল ঘাঁটিতে প্রবেশ করার পর তারা একটি বিস্তৃত সুড়ঙ্গপথ আবিষ্কার করেন, যা পাশের পাহাড়ে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সঙ্গে যুক্ত। আসাদের শাসনকালে মাউন্ট কাসিউন সাধারণ মানুষের জন্য নিষিদ্ধ ছিল। এই পাহাড়ের অবস্থান ছিল স্নাইপারদের জন্য আদর্শ, যেখান থেকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন পর্যবেক্ষণ করা যেত। এখান থেকেই আর্টিলারি ইউনিটগুলো বছরের পর বছর বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাত। এই সামরিক ঘাঁটিতে দুইটি বিশাল বাংকার রয়েছে, যেখানে সৈন্যদের থাকার জন্য ব্যবস্থা ছিল। বাংকারগুলোতে টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ, বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা এবং অস্ত্র মজুত ছিল। সূত্র : খালিজ টাইমস।