নিউইয়র্ক ১০:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নতুন বছরেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৩ বার পঠিত

নববর্ষের দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। উত্তর গাজার জাবালিয়া এবং আল বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে আরও ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

কয়েকদিন ধরেই ভারী বৃষ্টির কারণে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাজুড়ে শত শত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্লাবিত হওয়ায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী মানবিক সহায়তা প্রবেশেও বাধা দিচ্ছে বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতি খাদ্য ও বাসস্থানসহ প্রয়োজনীয় জিনিসের সংকটের কারণে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা।

জাতিসংঘ বলছে, গাজার হাসপাতালগুলোতে ইসরায়েলের হামলায় স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে। সেখানকার প্রায় হাসপাতালের কার্যক্রমই এখন বন্ধ। কোনো হাসপাতালেই আর চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

দখলদার বাহিনীর হামলায় গাজায় ৪৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৫ হাজার ৫৪১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৮ হাজার ৩৩৮ ফিলিস্তিনি।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শীতের তীব্রতা ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে এক মাস বয়সের শিশু আলী আল-বাত্রান মারা গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তীব্র শীতই তার মৃত্যুর কারণ। এর মাত্র একদিন আগে একই কারণে আলি আল-বাত্রানের যমজ ভাই, জুমা আল-বাত্রান মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় একটি আশ্রয়শিবিরে মারা যায়।

গাজা সরকারের তথ্য অফিস জানিয়েছে, বড় ধরনের শৈত্যপ্রবাহ ও হিমপ্রবাহের কারণে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়শিবিরগুলোতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তথ্য অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা এরই মধ্যে সতর্ক করেছি যে, শীতকালীন ঝড় এবং ভয়াবহ হিমপ্রবাহ (তুষার ঢেউ) বাস্তুচ্যুত মানুষদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নির্মম আগ্রাসনের ফলে আমাদের মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়শিবিরে বাস করছে। কিন্তু এসব আশ্রয়শিবির শীত প্রতিরোধে সম্পূর্ণ অকার্যকর।

এই মানবিক বিপর্যয়ের জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেছে গাজার প্রশাসন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর আগ্রাসন এবং গণহত্যার কারণে মানবিক পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলোও এ হত্যাযজ্ঞে অংশীদার। আমরা এ বর্বরতা বন্ধের আহ্বান জানাই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নতুন বছরেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল

প্রকাশের সময় : ০২:৩৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

নববর্ষের দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। উত্তর গাজার জাবালিয়া এবং আল বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে আরও ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

কয়েকদিন ধরেই ভারী বৃষ্টির কারণে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাজুড়ে শত শত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্লাবিত হওয়ায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী মানবিক সহায়তা প্রবেশেও বাধা দিচ্ছে বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতি খাদ্য ও বাসস্থানসহ প্রয়োজনীয় জিনিসের সংকটের কারণে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা।

জাতিসংঘ বলছে, গাজার হাসপাতালগুলোতে ইসরায়েলের হামলায় স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে। সেখানকার প্রায় হাসপাতালের কার্যক্রমই এখন বন্ধ। কোনো হাসপাতালেই আর চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

দখলদার বাহিনীর হামলায় গাজায় ৪৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৫ হাজার ৫৪১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৮ হাজার ৩৩৮ ফিলিস্তিনি।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শীতের তীব্রতা ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে এক মাস বয়সের শিশু আলী আল-বাত্রান মারা গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তীব্র শীতই তার মৃত্যুর কারণ। এর মাত্র একদিন আগে একই কারণে আলি আল-বাত্রানের যমজ ভাই, জুমা আল-বাত্রান মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় একটি আশ্রয়শিবিরে মারা যায়।

গাজা সরকারের তথ্য অফিস জানিয়েছে, বড় ধরনের শৈত্যপ্রবাহ ও হিমপ্রবাহের কারণে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়শিবিরগুলোতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তথ্য অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা এরই মধ্যে সতর্ক করেছি যে, শীতকালীন ঝড় এবং ভয়াবহ হিমপ্রবাহ (তুষার ঢেউ) বাস্তুচ্যুত মানুষদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নির্মম আগ্রাসনের ফলে আমাদের মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়শিবিরে বাস করছে। কিন্তু এসব আশ্রয়শিবির শীত প্রতিরোধে সম্পূর্ণ অকার্যকর।

এই মানবিক বিপর্যয়ের জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেছে গাজার প্রশাসন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর আগ্রাসন এবং গণহত্যার কারণে মানবিক পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো দেশগুলোও এ হত্যাযজ্ঞে অংশীদার। আমরা এ বর্বরতা বন্ধের আহ্বান জানাই।