নিজেদের আলাদা পাসপোর্ট চায় এই দ্বীপ!

- প্রকাশের সময় : ০৩:৩৭:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৮৬ বার পঠিত
প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত কুক দ্বীপপুঞ্জের রয়েছে নিজস্ব সরকারব্যবস্থা। তাতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও। কিন্তু নিজেদের কোনো পাসপোর্ট নেই। নিউজিল্যান্ডের পাসপোর্ট দিয়েই সব কার্যক্রম চালাতে হয় তাদের। এবার নিজেদের জন্য আলাদা পাসপোর্টের দাবি করল দেশটি। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, স্বাধীন না হওয়ায় কুক দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা আলাদা পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, কুক দ্বীপপুঞ্জ হলো দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ১৫টি দ্বীপ ও প্রবালপ্রাচীরের একটি পুঞ্জ। এর জনসংখ্যা ১৫ হাজার। প্রায় ৬০ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত সহযোগিতায় চলে আসছে স্ব-শাসিত এই কুক দ্বীপপুঞ্জ। এবার দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য আলাদা পাসপোর্ট ও নাগরিকত্ব দাবি করেছে সেখানকার সরকার। কিন্তু এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উইনস্টন পিটারস রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, একটি পৃথক পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব ও জাতিসংঘের সদস্যপদ শুধুমাত্র সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের জন্য প্রযোজ্য। এ কারণে কুক দ্বীপপুঞ্জকে আগে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃত হতে হবে।
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘যদি কুক দ্বীপপুঞ্জের সরকারের লক্ষ্য থাকে নিউজিল্যান্ডের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়া, তবে অবশ্যই এটি নিয়ে আলাপ হতে পারে। এই আলাপ করতে আমরা প্রস্তুত। কুক দ্বীপপুঞ্জের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত গণভোটের মাধ্যমে নেওয়া হবে।’
রয়টার্স বলছে, কুক দ্বীপপুঞ্জে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দ্বীপের ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এর বাসিন্দারা নিউজিল্যান্ডের নাগরিক হিসেবে পরিচয় বহন করেন। নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বৈদেশিক বিষয়, দুর্যোগ ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সহায়তার অনুরোধ সাড়া দেওয়ার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নিউজিল্যান্ডেরও রয়েছে। কুক দ্বীপপুঞ্জের মাওরি নামে পরিচিত প্রায় ১ লাখ মানুষ বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে বাস করে।
এভাবে নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন জানানোর ডকুমেন্ট রয়টার্স পেয়েছে। তাতে দেখা যায়, কুক দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী মার্ক ব্রাউন পাসপোর্ট তৈরির অনুমতি দেওয়ার জন্য নিউজিল্যান্ডকে আবেদন করেন। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার্স দুজনেই বলেছেন, এটা সম্ভব নয়।
এ নিয়ে সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার্স কুক দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী মার্ক ব্রাউনকে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘কুক দ্বীপপুঞ্জের পাসপোর্ট আমাদের সাংবিধানিক সম্পর্ক ও নাগরিকত্ব নিয়ে মৌলিক প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসবে।’ এ ব্যাপারে কুক দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী মার্ক ব্রাউন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে, তিনি আগে বলেছিলেন, কুক দ্বীপপুঞ্জের জন্য আলাদা পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়ায় হাঁটছেন। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট