নিউইয়র্ক ০২:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মাওলানা ভাসানীকে ভুলিয়ে দেয়ার পেছনে কায়েমী স্বার্থবাদীদের স্বার্থ আছে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:২৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৭১৬ বার পঠিত

টাঙ্গাইল: কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, মাওলনা ভাসানী হুজুরের জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। আর বাংলাদেশ না হলে আমরাও হতাম না। জাতীয় উদাসিনতা, সরকারী উদাসিনতা হুজুরকে ভুলিয়ে দেয়ার পেছনে কায়েমী স্বার্থবাদীদের একটি স্বার্থ কাজ করছে। মাওলানা ভাসানী চীরকাল ছিলেন সাধারণ মানুষের। বাংলাদেশ এখন আর সাধারণ মানুষদের নেই। বাংলাদেশ এখন পুজিবাদী, অর্থশালী ও শিল্পপতিদের। এই দেশে গরীব মানুষ ও সাধারণ মানুষ মর্যাদা নেই, অধিকার নেই। ভাসানীকে স্বরণ করলে সাধারণ মানুষ সম্মানীত ও উৎজ্জীবিত হবে। আর সেটা হলে আজ যারা দেশ পরিচালনা করছেন তাদের সকলেরই অসুবিধা হবে। সেই জন্যই ধীরে ধীরে তারা সবাই মাওলানা ভাসানীকে ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি গত ১৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সব চাইতে সৌহাদ্যর্পুণ সর্ম্পক রয়েছে। তারপরও আজকে দেশে হিন্দু সম্প্রদায় বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। এটা সরকার এবং জাতীগতভাবে আমাদের জন্য দুঃখের ও অগৌরবের বিষয়। তিনি বলেন, নাসিরনগরে যে ঘটনা ঘটেছে এটা সরকারের উদাসীনতা ও ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। এখানে প্রশাসন চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রে অযোগ্য একটি প্রশাসন। একদলীয় প্রশাসন করতে চাইলে যেটা হয়। দেশে রাজনীতি না থাকলে, দেশে কোন প্রতিবাদ, প্রতিরোধ না থাকলে যে রকম অধপতন আসে, সেটাই হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

মাওলানা ভাসানীকে ভুলিয়ে দেয়ার পেছনে কায়েমী স্বার্থবাদীদের স্বার্থ আছে

প্রকাশের সময় : ১০:২৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৬

টাঙ্গাইল: কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, মাওলনা ভাসানী হুজুরের জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। আর বাংলাদেশ না হলে আমরাও হতাম না। জাতীয় উদাসিনতা, সরকারী উদাসিনতা হুজুরকে ভুলিয়ে দেয়ার পেছনে কায়েমী স্বার্থবাদীদের একটি স্বার্থ কাজ করছে। মাওলানা ভাসানী চীরকাল ছিলেন সাধারণ মানুষের। বাংলাদেশ এখন আর সাধারণ মানুষদের নেই। বাংলাদেশ এখন পুজিবাদী, অর্থশালী ও শিল্পপতিদের। এই দেশে গরীব মানুষ ও সাধারণ মানুষ মর্যাদা নেই, অধিকার নেই। ভাসানীকে স্বরণ করলে সাধারণ মানুষ সম্মানীত ও উৎজ্জীবিত হবে। আর সেটা হলে আজ যারা দেশ পরিচালনা করছেন তাদের সকলেরই অসুবিধা হবে। সেই জন্যই ধীরে ধীরে তারা সবাই মাওলানা ভাসানীকে ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি গত ১৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সব চাইতে সৌহাদ্যর্পুণ সর্ম্পক রয়েছে। তারপরও আজকে দেশে হিন্দু সম্প্রদায় বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। এটা সরকার এবং জাতীগতভাবে আমাদের জন্য দুঃখের ও অগৌরবের বিষয়। তিনি বলেন, নাসিরনগরে যে ঘটনা ঘটেছে এটা সরকারের উদাসীনতা ও ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। এখানে প্রশাসন চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রে অযোগ্য একটি প্রশাসন। একদলীয় প্রশাসন করতে চাইলে যেটা হয়। দেশে রাজনীতি না থাকলে, দেশে কোন প্রতিবাদ, প্রতিরোধ না থাকলে যে রকম অধপতন আসে, সেটাই হয়েছে।