নিউইয়র্ক ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
২০২৫ সাল

জ্বালানি তেল সরবরাহে উদ্বৃত্ত থাকার পূর্বাভাস আইইএর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৮:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ২৭ বার পঠিত

বিশ্ববাজারে আগামী বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহে উদ্বৃত্ত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার মাসভিত্তিক এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। খবর রয়টার্স।

সংস্থাটি জানায়, আগামী বছর বিশ্ববাজারে দৈনিক গড়ে ৯ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল সরবরাহ উদ্বৃত্ত থাকবে, যা বৈশ্বিক সরবরাহের প্রায় ১ শতাংশ। পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক ও রাশিয়াসহ অন্যান্য সহযোগী দেশ নিয়ে গঠিত ওপেক প্লাস। সংগঠনটির সদস্যভুক্ত দেশগুলো দৈনিক গড়ে ৫৮ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রেখেছে, যা বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২২ সাল থেকে পণ্যটির দাম সমর্থনের উদ্দেশ্যে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল।

ওপেক প্লাস অক্টোবর থেকে উত্তোলন কমানোর পরিকল্পনা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে বৈশ্বিক চাহিদার মন্দা ও অন্যান্য দেশে উত্তোলন বাড়ায় তা আবার পিছিয়ে নেয়া হয়।

সর্বশেষ গত সপ্তাহে জ্বালানি তেল উত্তোলন বৃদ্ধির পরিকল্পনা আবার পিছিয়েছে সংগঠনটি। পরিকল্পনার মেয়াদ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আর সম্পূর্ণভাবে উত্তোলন প্রত্যাহারের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত করা হয়েছে।

আইইএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী বছর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল সরবরাহে উদ্বৃত্তের সম্ভাবনা ওপেক প্লাসের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তবে ওপেক প্লাস যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী উত্তোলন বৃদ্ধির কার্যক্রম শুরু করে, তাহলে উদ্বৃত্তের পরিমাণ হতে পারে দৈনিক গড়ে ১৪ লাখ ব্যারেল।

এদিকে আইইএ আরো জানায়, ওপেক প্লাসবহির্ভূত দেশগুলো আগামী বছর দৈনিক গড়ে ১৫ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল সরবরাহ বাড়াতে পারে। এর মধ্যে প্রধান ভূমিকা পালন করবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, গায়ানা, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। দেশগুলোর সরবরাহ বৃদ্ধির পরিমাণ চাহিদার তুলনায় বেশি হবে।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্যবহারে শীর্ষ দেশ চীন। তবে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও বৈদ্যুতিক যানবাহনের চাহিদা বাড়ায় দেশটিতে এর ব্যবহার কিছুটা কমে আসতে পারে। এর পরও আগামী বছর পণ্যটির চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে দৈনিক গড়ে ১১ লাখ ব্যারেলে উন্নীত করেছে আইইএ।

প্রতিবেদনে আইইএ জানায়, চীনে সাম্প্রতিক আর্থিক প্রণোদনার প্রভাবে চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়া দেশটি আগামী বছর ‘মোটামুটি শিথিল’ মুদ্রানীতি গ্রহণ করার ঘোষণাও দিয়েছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম গতকাল কিছুটা বেড়েছে। খাতসংশ্লিস্টরা জানান, ইরান ও রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া চীনের আর্থিক প্রণোদনার কারণে পণ্যটির চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও বেড়েছে।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্ট। গতকাল তা দশমিক ৫ সেন্ট বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য পৌঁছেছে ৭৩ ডলার ৪৬ সেন্টে। অন্যদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম বেড়েছে ৮ সেন্ট। ব্যারেলপ্রতি মূল্য স্থির হয়েছে ৭০ ডলার ১ সেন্টে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

২০২৫ সাল

জ্বালানি তেল সরবরাহে উদ্বৃত্ত থাকার পূর্বাভাস আইইএর

প্রকাশের সময় : ১২:৫৮:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশ্ববাজারে আগামী বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহে উদ্বৃত্ত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার মাসভিত্তিক এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)। খবর রয়টার্স।

সংস্থাটি জানায়, আগামী বছর বিশ্ববাজারে দৈনিক গড়ে ৯ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল সরবরাহ উদ্বৃত্ত থাকবে, যা বৈশ্বিক সরবরাহের প্রায় ১ শতাংশ। পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক ও রাশিয়াসহ অন্যান্য সহযোগী দেশ নিয়ে গঠিত ওপেক প্লাস। সংগঠনটির সদস্যভুক্ত দেশগুলো দৈনিক গড়ে ৫৮ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রেখেছে, যা বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২২ সাল থেকে পণ্যটির দাম সমর্থনের উদ্দেশ্যে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল।

ওপেক প্লাস অক্টোবর থেকে উত্তোলন কমানোর পরিকল্পনা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে বৈশ্বিক চাহিদার মন্দা ও অন্যান্য দেশে উত্তোলন বাড়ায় তা আবার পিছিয়ে নেয়া হয়।

সর্বশেষ গত সপ্তাহে জ্বালানি তেল উত্তোলন বৃদ্ধির পরিকল্পনা আবার পিছিয়েছে সংগঠনটি। পরিকল্পনার মেয়াদ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আর সম্পূর্ণভাবে উত্তোলন প্রত্যাহারের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত করা হয়েছে।

আইইএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী বছর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল সরবরাহে উদ্বৃত্তের সম্ভাবনা ওপেক প্লাসের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তবে ওপেক প্লাস যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী উত্তোলন বৃদ্ধির কার্যক্রম শুরু করে, তাহলে উদ্বৃত্তের পরিমাণ হতে পারে দৈনিক গড়ে ১৪ লাখ ব্যারেল।

এদিকে আইইএ আরো জানায়, ওপেক প্লাসবহির্ভূত দেশগুলো আগামী বছর দৈনিক গড়ে ১৫ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল সরবরাহ বাড়াতে পারে। এর মধ্যে প্রধান ভূমিকা পালন করবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, গায়ানা, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। দেশগুলোর সরবরাহ বৃদ্ধির পরিমাণ চাহিদার তুলনায় বেশি হবে।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ব্যবহারে শীর্ষ দেশ চীন। তবে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও বৈদ্যুতিক যানবাহনের চাহিদা বাড়ায় দেশটিতে এর ব্যবহার কিছুটা কমে আসতে পারে। এর পরও আগামী বছর পণ্যটির চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে দৈনিক গড়ে ১১ লাখ ব্যারেলে উন্নীত করেছে আইইএ।

প্রতিবেদনে আইইএ জানায়, চীনে সাম্প্রতিক আর্থিক প্রণোদনার প্রভাবে চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়া দেশটি আগামী বছর ‘মোটামুটি শিথিল’ মুদ্রানীতি গ্রহণ করার ঘোষণাও দিয়েছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম গতকাল কিছুটা বেড়েছে। খাতসংশ্লিস্টরা জানান, ইরান ও রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া চীনের আর্থিক প্রণোদনার কারণে পণ্যটির চাহিদা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও বেড়েছে।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্ট। গতকাল তা দশমিক ৫ সেন্ট বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য পৌঁছেছে ৭৩ ডলার ৪৬ সেন্টে। অন্যদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম বেড়েছে ৮ সেন্ট। ব্যারেলপ্রতি মূল্য স্থির হয়েছে ৭০ ডলার ১ সেন্টে।