নিউইয়র্ক ০২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
মিনা ফারাহকে জামায়াত আমীরের ফোনকল

সেনাপতি হিসেবে আপনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৬:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৫৮ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: নিউইয়র্ক প্রবাসী বিশিষ্ট কলামিস্ট, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও মানবাধিকারকর্মী মিনা ফারাহকে ফোন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি বাংলাদেশের কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য মিনা ফারাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ফোনালাপে তারা একে অপরকে বড় ভাই ও আপা বলে সম্বোধন করেন। আবার মিনা ফারাহ ডা. শফিককে স্যার বলেও সম্বোধন করেন।
শনিবার ২৩ নভেম্বর রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মিনা ফারাহ নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মিনা ফারাহ লিখেন, সত্যের পক্ষে কাজের জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানাতে জামায়াত ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমানের ফোন। পোস্টের সঙ্গে নিজেদের আলাপের চার মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও যুক্ত করেন তিনি।
ফোনালাপে জামায়াত আমির বলেন, যোদ্ধা হিসেবে নয়, একজন সেনাপতি হিসেবে (ভূমিকা পালনের জন্য) আপনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আপনাকে এই কৃতজ্ঞতা জানাতে অনেক দেরি করে ফেললাম এজন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। দলের পক্ষ থেকে, আমার পক্ষ থেকে এবং বাংলাদেশে আমরা যারা মজলুম বসবাস করি তাদের সকলের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের কঠিন সময় যখন কেউ দাঁড়ায়নি তখন আপনি আমাদের পাশে ছিলেন। আপনার এই ঋণ আমরা কোনোদিন পরিশোধ করতে পারবো না।
ফোনালাপের সময় তিনি জামায়াত আমীরকে ভাই সম্বোধন করে বলেন, জামায়াতের এত বড় একটি জায়গায় থেকে আপনি আমাকে ফোন করেছেন এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। আজকে আমি খুব শান্তি পাচ্ছি। ২০১১ সালে নয়াদিগন্তে যখন আমি যখন অত্যাচারী স্বৈরাশাসকের বিরুদ্ধে প্রথম লেখি তখন আমার বাড়িঘর বøক করে দেওয়া হয় এবং আমার দেশে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, জামায়াত নেতা কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাক্ষী না দেওয়ায় আমাকে এত হয়রানি করা হয়েছে। আমি দেশে যেতে চাই এবং তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে চাই। ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে ফিরিয়ে এনে তাদের গণহত্যার বিষয়ে মুখোমুখি করা হোক। শেখ হাসিনার গণহত্যার বিষয়ে আমি একজন সাক্ষী।
মিনা ফারাহ আরও বলেন, কামরুজ্জামান মানুষ মারে নাই। তার বিরুদ্ধে আমাকে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়। আমি মিথ্যা সাক্ষী দিতে চাই কামরুজ্জামানের পক্ষে, শহীদ পরিবারের পক্ষে, মীর কাশেম আলীর পক্ষে, গোলাম আযম স্যারের পক্ষে, সাঈদী সারের পক্ষে। আমি মিথ্যা সাক্ষী না দেওয়ায় তারপর থেকে আমার উপর মামলা। এসব বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠনের আহবান জানান তিনি। এ সময় জামায়াত আমীর বলেন, আমরা সেই দিনটি দেখতে চাই, যেদিন খুনিরা কাঁদবে আর মজলুমরা হাসবে।
ফোনালাপের সময় মিনা ফারাহ প্রসঙ্গত আরো বলেন, আমি দুই মাসের মধ্যে দেশে গিয়ে উৎসব করবো, সবার সাথে দেখা করবো। বলেন, আমাকে বøাক লিস্ট করা হয়েছিলো। ঢুকতে পারিনি। বাড়ীঘর বদ্ধভূমি বানানে বøক মেরে দিয়েছিলো। এগুলো ঠিক করেছি এখন। আবার যাবো, এরপর আপনাদের সাথে দেখা করবো ইনশাল্লাহ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মিনা ফারাহকে জামায়াত আমীরের ফোনকল

সেনাপতি হিসেবে আপনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ

প্রকাশের সময় : ১২:১৬:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

হককথা ডেস্ক: নিউইয়র্ক প্রবাসী বিশিষ্ট কলামিস্ট, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও মানবাধিকারকর্মী মিনা ফারাহকে ফোন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি বাংলাদেশের কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য মিনা ফারাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ফোনালাপে তারা একে অপরকে বড় ভাই ও আপা বলে সম্বোধন করেন। আবার মিনা ফারাহ ডা. শফিককে স্যার বলেও সম্বোধন করেন।
শনিবার ২৩ নভেম্বর রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মিনা ফারাহ নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মিনা ফারাহ লিখেন, সত্যের পক্ষে কাজের জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানাতে জামায়াত ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমানের ফোন। পোস্টের সঙ্গে নিজেদের আলাপের চার মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও যুক্ত করেন তিনি।
ফোনালাপে জামায়াত আমির বলেন, যোদ্ধা হিসেবে নয়, একজন সেনাপতি হিসেবে (ভূমিকা পালনের জন্য) আপনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আপনাকে এই কৃতজ্ঞতা জানাতে অনেক দেরি করে ফেললাম এজন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। দলের পক্ষ থেকে, আমার পক্ষ থেকে এবং বাংলাদেশে আমরা যারা মজলুম বসবাস করি তাদের সকলের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের কঠিন সময় যখন কেউ দাঁড়ায়নি তখন আপনি আমাদের পাশে ছিলেন। আপনার এই ঋণ আমরা কোনোদিন পরিশোধ করতে পারবো না।
ফোনালাপের সময় তিনি জামায়াত আমীরকে ভাই সম্বোধন করে বলেন, জামায়াতের এত বড় একটি জায়গায় থেকে আপনি আমাকে ফোন করেছেন এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। আজকে আমি খুব শান্তি পাচ্ছি। ২০১১ সালে নয়াদিগন্তে যখন আমি যখন অত্যাচারী স্বৈরাশাসকের বিরুদ্ধে প্রথম লেখি তখন আমার বাড়িঘর বøক করে দেওয়া হয় এবং আমার দেশে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, জামায়াত নেতা কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাক্ষী না দেওয়ায় আমাকে এত হয়রানি করা হয়েছে। আমি দেশে যেতে চাই এবং তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে চাই। ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে ফিরিয়ে এনে তাদের গণহত্যার বিষয়ে মুখোমুখি করা হোক। শেখ হাসিনার গণহত্যার বিষয়ে আমি একজন সাক্ষী।
মিনা ফারাহ আরও বলেন, কামরুজ্জামান মানুষ মারে নাই। তার বিরুদ্ধে আমাকে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়। আমি মিথ্যা সাক্ষী দিতে চাই কামরুজ্জামানের পক্ষে, শহীদ পরিবারের পক্ষে, মীর কাশেম আলীর পক্ষে, গোলাম আযম স্যারের পক্ষে, সাঈদী সারের পক্ষে। আমি মিথ্যা সাক্ষী না দেওয়ায় তারপর থেকে আমার উপর মামলা। এসব বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠনের আহবান জানান তিনি। এ সময় জামায়াত আমীর বলেন, আমরা সেই দিনটি দেখতে চাই, যেদিন খুনিরা কাঁদবে আর মজলুমরা হাসবে।
ফোনালাপের সময় মিনা ফারাহ প্রসঙ্গত আরো বলেন, আমি দুই মাসের মধ্যে দেশে গিয়ে উৎসব করবো, সবার সাথে দেখা করবো। বলেন, আমাকে বøাক লিস্ট করা হয়েছিলো। ঢুকতে পারিনি। বাড়ীঘর বদ্ধভূমি বানানে বøক মেরে দিয়েছিলো। এগুলো ঠিক করেছি এখন। আবার যাবো, এরপর আপনাদের সাথে দেখা করবো ইনশাল্লাহ।