নির্বাচনের রাতে যুক্তরাষ্ট্রে কী ঘটতে যাচ্ছে
- প্রকাশের সময় : ১২:২৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
- / ২৮ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে হবেন হোয়াইট হাউসের পরবর্তী বাসিন্দা, তা নির্ধারণ করতে ভোটের লড়াই তুঙ্গে। সুইং স্টেটগুলোর ভূমিকা ও ভোটের ব্যবধান কম হলে ২০১৬ এবং ২০২০ সালের মতো এবারও নির্বাচনের রাতে কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটার শঙ্কা রয়েছে। ইতিহাসের আলোকে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এবারও নির্বাচনী ফলাফল দেরিতে আসা, আইনি চ্যালেঞ্জ, নিরাপত্তা সংকট, এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর শঙ্কা আছে।
ফলাফলে বিলম্বের সম্ভাবনা
২০২০ সালে মেইল-ইন ভোটের কারণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের ফলাফল পেতে সময় লেগেছিল, যা এবারও ঘটতে পারে। বিশেষ করে পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনের মতো রাজ্যগুলোতে ব্যাপক মেইল-ইন ভোটের কারণে ভোট গণনা শেষ হতে অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনী কর্মকর্তারা সময়মতো গণনা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করেছেন।
সুইং স্টেটের অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন
সুইং স্টেটগুলো অতীতে একাধিকবার নির্বাচনকে চমকপ্রদ মোড় দিয়েছে। ২০১৬ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় এবং ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের জয় প্রমাণ করে, এই রাজ্যগুলোতে ভোটাররা সহজেই দল পরিবর্তন করতে পারেন। নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এবারও এ রাজ্যগুলোতে অপ্রত্যাশিত ফলাফল দেখা যেতে পারে।
আইনি চ্যালেঞ্জের আশঙ্কা
২০১৬ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে ঘনিষ্ঠ ফলাফল আসায় আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়েছিল। যদি এবারের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর বিজয়ের ব্যবধান কম হয়, তবে ফলাফল নিয়ে আইনি চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সুইং স্টেটগুলোতে ভোটের ব্যবধান খুব কম হয়, তবে চূড়ান্ত ফলাফল পেতে বেশ সময় লাগতে পারে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সহিংসতার শঙ্কা
নির্বাচনী রাতে বিক্ষোভ এবং সহিংসতার আশঙ্কায় দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্রের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ২০২০ সালের নির্বাচনের মতো এবারও নির্বাচনী কেন্দ্রে বিক্ষোভকারীদের উপস্থিতির শঙ্কা রয়েছে। বিবিসির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনকেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা বজায় রাখার পরিকল্পনা করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি
২০১৬ এবং ২০২০ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছিল, যা নির্বাচনী পরিবেশকে প্রভাবিত করেছিল। এবারও ভোট গণনা ও ফলাফলের ওপর বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলো এ ধরনের বিভ্রান্তি প্রতিরোধে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে।
নির্বাচনের ফলাফলের গুরুত্ব
এবারের আমেরিকান নির্বাচন শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই নয়, বরং গোটা বিশ্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনী ফলাফল আমেরিকান বৈদেশিক নীতিতে প্রভাব ফেলবে, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। (দৈনিক ইত্তেফাক)