নিউইয়র্ক ০৬:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

হিলারির সঙ্গে খালেদার করমর্দন মিশেল ওবামার ক্যাম্পেইনে প্রদর্শিত!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৭৮১ বার পঠিত

কানাডা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনি প্রচারণায় ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা এক অতি প্রতিভাবতী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের নাম। কেননা অত্যাসন্ন ‘হোয়াইট হাউজ’ ত্যাগের আগে এখনও তার জনপ্রিয়তা ৫২ শতাংশের উপরে। সেই জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে ৮ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক পাঁচ দিন আগে অর্থাৎ ৩ নভেম্বর হিলারির নিজ প্রচারণামূলক ওয়েবসাইট ‘হিলারি ক্লিন্টন ডটকম’-এ সংযুক্ত করা হয়েছে ‘ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা অন ভোটিং’ শিরোনামের ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ, যা ইউটিউবভুক্ত। এতে একমাত্র ভিডিওটির ৩১ সেকেন্ডের সময় হলুদ শাড়ী পরিহিত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে নীল জ্যাকেট পরিহিত হিলারি ক্লিনটনের করমর্দনের ছবিটি সংযুক্ত করা হয়েছে। সেই ভিডিওটি এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সময়ে ৫,৪২৪ জন দেখেছেন, যদিও তার প্রকৃত দর্শনার্থীর সংখ্যা ৯৬ হাজার ৭১২।
আপাতদৃষ্টিতে এই করমর্দনকালীন হিলারির ক্ষেত্রে মিশেলের উচ্চারিত ‘ফার্স্ট লেডি অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস’ কথাটি প্রদর্শিত হয়েছে। অর্থাৎ হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রথম নারী’ হিসেবে দেশে দেশে বিচরণ করেছেন। সেক্ষেত্রে তার এই তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালনের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন।
তবে হিলারির ওই গুরুত্ববহ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ওই নির্বাচনি প্রচারণামূলক ভিডিও ক্লিপে মিশেল ওবামার সামগ্রিক বক্তব্যটিও যথেষ্ট প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার প্রতিফলন।
এতে মিশেল ওবামা বলেছেন, ভোট প্রদান আমাদের মূল্যবোধেরই বহিঃপ্রকাশ, যেখানে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত গড়ার বিশ্বস্ত নেতৃত্ব বেছে নেবার সুযোগটি রয়েছে। আর এই নির্বাচনে আমি আমার ভোটটি হিলারি ক্লিনটনকে দিচ্ছি, একই সঙ্গে আপনাকেও দেবার আহবান জানাচ্ছি। আমি হিলারিকে ভোটটি দিচ্ছি, কেননা তিনি আমার মূল্যবোধটিই ধারণ করেন এবং সমতা, সুযোগ ও কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাসী। আমি হিলারিকে ভোটটি দিচ্ছি কারণ, তিনি পেশাগত জীবনে ছিলেন একজন আইনজীবি, আইনের অধ্যাপক, আরকানসা অঙ্গরাজ্যের ফার্স্ট লেডি, যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি (এ সময়ই আলোচিত করমর্দনটি দেখানো হয়), ইউএস সিনেটর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আমাদের জীবদ্দশায় যে কারো চাইতে প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে হিলারির রয়েছে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ও উপস্থিতি এবং এই নির্বাচনে তিনি সবচেয়ে যোগ্যতম প্রার্থী। একই সঙ্গে আমি হিলারিকে ভোটটি দিচ্ছি, কেননা তার রয়েছে সুসংহত ও বিস্তৃত নীতিমালা, যা বাস্তবে মানুষের জীবন বদলাতে সক্ষম। যেমন- কলেজে যাবার সুযোগ সৃষ্টি, পরিবারের বকেয়া বিল পরিশোধ এবং শিশুদের স্কুল উন্নয়নসহ অনেক কিছু। সে জন্য হিলারি তার দায়িত্ব পালনে সক্ষম। এখন তার কাজগুলো আমাদের সমাধার পালা। তাই তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করুন।
ই-মেইল:

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

হিলারির সঙ্গে খালেদার করমর্দন মিশেল ওবামার ক্যাম্পেইনে প্রদর্শিত!

প্রকাশের সময় : ১০:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৬

কানাডা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনি প্রচারণায় ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা এক অতি প্রতিভাবতী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের নাম। কেননা অত্যাসন্ন ‘হোয়াইট হাউজ’ ত্যাগের আগে এখনও তার জনপ্রিয়তা ৫২ শতাংশের উপরে। সেই জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে ৮ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক পাঁচ দিন আগে অর্থাৎ ৩ নভেম্বর হিলারির নিজ প্রচারণামূলক ওয়েবসাইট ‘হিলারি ক্লিন্টন ডটকম’-এ সংযুক্ত করা হয়েছে ‘ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা অন ভোটিং’ শিরোনামের ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ, যা ইউটিউবভুক্ত। এতে একমাত্র ভিডিওটির ৩১ সেকেন্ডের সময় হলুদ শাড়ী পরিহিত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে নীল জ্যাকেট পরিহিত হিলারি ক্লিনটনের করমর্দনের ছবিটি সংযুক্ত করা হয়েছে। সেই ভিডিওটি এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সময়ে ৫,৪২৪ জন দেখেছেন, যদিও তার প্রকৃত দর্শনার্থীর সংখ্যা ৯৬ হাজার ৭১২।
আপাতদৃষ্টিতে এই করমর্দনকালীন হিলারির ক্ষেত্রে মিশেলের উচ্চারিত ‘ফার্স্ট লেডি অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস’ কথাটি প্রদর্শিত হয়েছে। অর্থাৎ হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রথম নারী’ হিসেবে দেশে দেশে বিচরণ করেছেন। সেক্ষেত্রে তার এই তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালনের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন।
তবে হিলারির ওই গুরুত্ববহ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ওই নির্বাচনি প্রচারণামূলক ভিডিও ক্লিপে মিশেল ওবামার সামগ্রিক বক্তব্যটিও যথেষ্ট প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার প্রতিফলন।
এতে মিশেল ওবামা বলেছেন, ভোট প্রদান আমাদের মূল্যবোধেরই বহিঃপ্রকাশ, যেখানে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত গড়ার বিশ্বস্ত নেতৃত্ব বেছে নেবার সুযোগটি রয়েছে। আর এই নির্বাচনে আমি আমার ভোটটি হিলারি ক্লিনটনকে দিচ্ছি, একই সঙ্গে আপনাকেও দেবার আহবান জানাচ্ছি। আমি হিলারিকে ভোটটি দিচ্ছি, কেননা তিনি আমার মূল্যবোধটিই ধারণ করেন এবং সমতা, সুযোগ ও কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাসী। আমি হিলারিকে ভোটটি দিচ্ছি কারণ, তিনি পেশাগত জীবনে ছিলেন একজন আইনজীবি, আইনের অধ্যাপক, আরকানসা অঙ্গরাজ্যের ফার্স্ট লেডি, যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি (এ সময়ই আলোচিত করমর্দনটি দেখানো হয়), ইউএস সিনেটর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আমাদের জীবদ্দশায় যে কারো চাইতে প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে হিলারির রয়েছে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ও উপস্থিতি এবং এই নির্বাচনে তিনি সবচেয়ে যোগ্যতম প্রার্থী। একই সঙ্গে আমি হিলারিকে ভোটটি দিচ্ছি, কেননা তার রয়েছে সুসংহত ও বিস্তৃত নীতিমালা, যা বাস্তবে মানুষের জীবন বদলাতে সক্ষম। যেমন- কলেজে যাবার সুযোগ সৃষ্টি, পরিবারের বকেয়া বিল পরিশোধ এবং শিশুদের স্কুল উন্নয়নসহ অনেক কিছু। সে জন্য হিলারি তার দায়িত্ব পালনে সক্ষম। এখন তার কাজগুলো আমাদের সমাধার পালা। তাই তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করুন।
ই-মেইল: