সাবেক ৪১ মন্ত্রী–এমপির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুদক
- প্রকাশের সময় : ০২:১৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
- / ৬৯ বার পঠিত
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ৪১ জন মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনজন পরিচালকের নেতৃত্বে পৃথক তিনটি টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হওয়া সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে যাদের নাম রয়েছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের। এছাড়া সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে জুনাইদ আহমেদ পলক, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, খালিদ মাহমুদ, চৌধুরী ফরিদুল হক, গোলাম দস্তগীর গাজী, ইমরান আহমদ, জাকির হোসেন, কামাল আহমেদ মজুমদার, জাহিদ আহসান রাসেল, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শাজাহান খান, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম, হাসানুল হক ইনুর নামও রয়েছে।
সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে এই তালিকায় রয়েছেন—বেনজির আহমেদ, সরওয়ার জাহান, শরিফুল ইসলাম জিন্না, শহিদুল ইসলাম বকুল, শেখ আফিল উদ্দিন, ছলিম উদ্দীন তরফদার, কাজী নাবিল আহমেদ, এনামুল হক, মেহের আফরোজ চুমকী, নূর আলম চৌধুরী শাওন, শেখ হেলাল উদ্দীন, স্বপন ভট্টাচার্য, কাজিম উদ্দীন আহমেদ, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মুহিবুর রহমান, মামুনুর রশীদ কিরন, জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
গত ১৮ আগস্ট দুদক চেয়ারম্যানের কাছে তাদের তালিকা ও অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে আবেদন করেন ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন নামের এক আইনজীবী
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনের পাঠানো আবেদনে গত ৫ থেকে ১৫ বছরে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাদের সম্পদ বৃদ্ধির একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ বছরে মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে কারো আয় বেড়েছে, কারো বেড়েছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ গুণ থেকে কয়েক হাজার গুণ। কারও ক্ষেত্রে সম্পদ ও আয় বেড়েছে লক্ষ গুণ পর্যন্ত।
নির্বাচনী হলফনামার তথ্য নিয়ে টিআইবির করা এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে এই আইনজীবী তার চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, টিআইবির সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এমন সম্পদবৃদ্ধির চিত্র রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরও দুদক অনুসন্ধান শুরু না করায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে দ্রুত অনুসন্ধান করতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি চিঠির সঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের অনুলিপিও যুক্ত করেছেন। সূত্র: নয়া দিগন্ত।