নিউইয়র্ক ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কের ১২টি হজ ও ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৯:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪
  • / ১২১৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশে হজ্জযাত্রীদের সঙ্গে একশ্রেণীর হজ্জ এজেন্সির প্রতারণা সাংবাৎসরিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বছরও হজ্জযাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে ১২টি হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে। অন্ততপক্ষে ১ হাজার হজ্জযাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের কেউ কেউ উধাও হয়ে গেছেন। হজ্জের মাত্র দুই দিন বাকি থাকলেও সংশ্লিষ্ট হজ্জযাত্রীদের অনেকেই বিমানের টিকিট বা ভিসা পাননি।
ঠিক একই কায়দা যুক্তরাষ্ট্রেও গড়ে উঠেছে একটি প্রভাবশালী হজ্জ ও ট্রাভেল এজেন্সি নামের প্রতারক চক্র। নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস’সহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রাভেল এজেন্সি খুলে কমমুল্যের প্রলোভন দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে তারা। অগ্রিম বুকিংয়ের নামে হাতে নেয় ৫-৬ মাস। আর সুযোগ বুঝে মার্কেট থেকে সটকে পড়ে এসব প্রতারক এজেন্সি।
তাদের অভিনব ফাঁদে পা দিয়ে অনেক প্রবাসীর হজ্জ করা এবং দেশে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। মূলত যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারি প্রবাসী অভিবাসীরা পরিজনদের সাথে দেখা করতে বছরে দু’বার দেশে বেড়াতে যান। আর এ সুযোগকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন এয়ার লাইনস টিকিটে বিশেষ ছাড় (সেল অফার) ঘোষণা করে। নিউ ইয়র্ক  জেএফকে) থেকে ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন বিদেশী এয়ার লাইনসগুলো। তাই ঢাকা-নিউ ইয়র্ক-ঢাকা এবং অন্যান্য রুটে বেশীরভাগ প্রবাসী বাংলাদেশীরা ভ্রমণ করছেন বিভিন্ন বিদেশী এয়ার লাইনসের মাধ্যমে। যার মধ্যে অন্যতম এমিরেটস, কুয়েত, ইত্তিহাদ, কাতার ও তার্কিশ এয়ার লাইনস।
বিদেশী বিমানের বিভিন্ন টিকিটিং সোল এজেন্ট এবং ডিলাররা বছরে দু’বার বিশেষ অফারের সুযোগ নিয়ে থাকেন।  কিন্তু লাইসেন্সধারী এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি।
তবে সম্প্রতি নামসর্বস্ব কিছু এজেন্সি অফিস খুলেই বিশেষ অফার ঘোষণা করেন নির্ধারিত মুল্য থেকে অনেক কমে। প্রবাসী বাংলাদেশীরাও সুযোগটি লুফে নেন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে। হাতে সময় থাকায় খোঁজ-খবরও নেননি অগ্রিম বুকিং দেয়া এসব প্রবাসীরা। কিন্তু বিধি বাম। বুকিং দেয়া টিকিট নিয়ে দেশে যাওয়ার পথে বিমান বন্দরে বোডিংয়ের সময় দেখতে পান তাদের নামে কোন টিকিট বুকিং নেই। তখনই মাথায় হাত পড়ে। এরকম বেশ কয়েকজন প্রবাসী অভিযোগ করেও তাদের অর্থ ফেরত পায়নি। উল্টো আর্থিক ক্ষতি এবং দেশে যাওয়া বাতিল করতে হয় এসব ভুক্তভোগিদের।
ভুক্তভুগিরা অভিযোগ করেন, কথিত এসব এজন্সি কম মূল্যে আগাম বুকিংয়ের নামে পত্রিকায় চটকধারি বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রবাসীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখো ডলার। নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকাতেও খবর প্রকাশিত হয়। ‘ওয়ার্ল্ড এয়ার লিঙ্ক ডটকম’’সহ কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সি।  যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের বিল পরিরোশধ করেনি তারা।
ভুক্তভুগি অনেক প্রবাসী বাংলা পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতারণা করে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকে গ্রেফতারও হয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের এখানে এসব প্রতারকরা দিব্যি পার পেয়ে গেছেন। এ বিষয়ে ট্রাভেল ও ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা যথাযথ উদ্যোগ নেয়নি। তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে প্রতারকদের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিলো। তাহলে সাধারণ প্রবাসীরা অনেক উপকৃত হতো’।
অভিযোগ উঠে ওয়ার্ল্ড এয়ার লিঙ্ক ডটকম’ নামের সেই এজেন্সির মালিক জিয়াউর রহমান জিয়া অনেককেই টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিয়ে পরে আতœগোপনে চলে যান। এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে সম্প্রচারিত টাইম টেলিভিশন ও বাংলা পত্রিকার সাথে কথা বলেন ট্র্যাভেলস এজেন্সির মালিক, অ্যাসোসিয়েশন ও ব্যবসায়ী নেতারা। ঘটনার সত্যতা শিকার করে টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আরো সচেতন ও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন তারা।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ট্রাভেলস’র মালিক এবং‘ নর্থ আমেরিকান ট্রাভেলস এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংবালাদেশ-নাটাব’র  প্রেসিডেন্ট নাজমুল হুদা জানান, ‘‘আসলে যারা নামে বেনামে এসব প্রতিষ্ঠান খুলে আমাদের দেশের প্রবাসীদের হয়রানি করছে তাদের বিরুদ্ধে সবার আরো সজাগ থাকা উচিত। বছরে বিভিন্ন এয়ার লাইনস টিকিটের বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকে। কিন্তু নির্ধারিত ঐ ছাড় থেকেও ১-২শ ডলার কমে বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে অভিযুক্ত ঐ ট্রাভেলস এজেন্সি’’।
তিনি জানান, ‘এর আগেও হায় হায় কোম্পানি হাজিদের সাথেও টিকিট জালিয়াতি করেছে। বিমান বন্দরে গিয়ে অনেক হাজি সৌদি আরব হজ্জে যেতে পারেন নি। ফেরত এসে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। এখন সেই প্রতিষ্ঠানের কোন হদিস নেই। বর্তমানে আরো একটি ট্রাভেলস এজেন্সি একই কায়দায় গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করেছে। এটা সত্যিই দুঃখজনক। আসলে আমি বলবো যারা টিকিট বুকিং দিবেন, তার আগে নামি-দামি এজেন্সি এবং পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে আলাপ করে টিকিট মূল্য যাচাই করে নিতে পারেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিমানের ওয়েব সাইটে সরাসরি যেয়ে ফ্লাইট ফেয়ার দেখে নিতে পারেন। চটকদার বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে পড়ে বুকিং দিয়ে অর্থ খোয়ানো’সহ হয়রানি যেন কাউকে না পড়তে হয়’।
ট্রাভেল এজেন্সি নামধারি কিছু প্রতারক প্রবাসীদের ঠকিয়েছেন এমন দাবি করে রহমানিয়া ট্রাভেলসের মালিক মাহমুদ রহমান বাংলা পত্রিকাকে জানান, ‘আমি বলবো যারা অগ্রিম টিকিট বুকিং দিবেন তাদের উচিত হবে ভেবে চিন্তে বুকিং দেয়া। তার আগে খোঁজ-খবর নিতে হবে পেশাদার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।  নতুন কেউ আসলে যে কোন অর্থ লেনদেনের আগে ভালো করে তাদের ব্যবসায়িক ব্যাকগ্রাউন্ড জেনে নিবেন। অতীতেও একটি ট্রাভেল এজেন্সি প্রতারণা করে অনেক অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। আমরা মনে করি শুধু ব্যবসায়ী নয় প্রত্যেক প্রবাসীকে এদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া উচিত’।
বিমানের টিকিট কিংবা হজের আগাম বুকিং দেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সধারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে নিতে বলছেন ব্যবাসয়ী নেতারা। তাছাড়া যারা প্রবাসীদের প্রতারণা ফাঁদে ফেলছে তাদের বিরুদ্ধেও ঐক্যবদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলে মনে করছেন ভুক্তভোগিরা। (বাংলা পত্রিকা)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কের ১২টি হজ ও ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ১০:১৯:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশে হজ্জযাত্রীদের সঙ্গে একশ্রেণীর হজ্জ এজেন্সির প্রতারণা সাংবাৎসরিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বছরও হজ্জযাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে ১২টি হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে। অন্ততপক্ষে ১ হাজার হজ্জযাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের কেউ কেউ উধাও হয়ে গেছেন। হজ্জের মাত্র দুই দিন বাকি থাকলেও সংশ্লিষ্ট হজ্জযাত্রীদের অনেকেই বিমানের টিকিট বা ভিসা পাননি।
ঠিক একই কায়দা যুক্তরাষ্ট্রেও গড়ে উঠেছে একটি প্রভাবশালী হজ্জ ও ট্রাভেল এজেন্সি নামের প্রতারক চক্র। নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস’সহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রাভেল এজেন্সি খুলে কমমুল্যের প্রলোভন দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে তারা। অগ্রিম বুকিংয়ের নামে হাতে নেয় ৫-৬ মাস। আর সুযোগ বুঝে মার্কেট থেকে সটকে পড়ে এসব প্রতারক এজেন্সি।
তাদের অভিনব ফাঁদে পা দিয়ে অনেক প্রবাসীর হজ্জ করা এবং দেশে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। মূলত যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারি প্রবাসী অভিবাসীরা পরিজনদের সাথে দেখা করতে বছরে দু’বার দেশে বেড়াতে যান। আর এ সুযোগকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন এয়ার লাইনস টিকিটে বিশেষ ছাড় (সেল অফার) ঘোষণা করে। নিউ ইয়র্ক  জেএফকে) থেকে ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন বিদেশী এয়ার লাইনসগুলো। তাই ঢাকা-নিউ ইয়র্ক-ঢাকা এবং অন্যান্য রুটে বেশীরভাগ প্রবাসী বাংলাদেশীরা ভ্রমণ করছেন বিভিন্ন বিদেশী এয়ার লাইনসের মাধ্যমে। যার মধ্যে অন্যতম এমিরেটস, কুয়েত, ইত্তিহাদ, কাতার ও তার্কিশ এয়ার লাইনস।
বিদেশী বিমানের বিভিন্ন টিকিটিং সোল এজেন্ট এবং ডিলাররা বছরে দু’বার বিশেষ অফারের সুযোগ নিয়ে থাকেন।  কিন্তু লাইসেন্সধারী এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি।
তবে সম্প্রতি নামসর্বস্ব কিছু এজেন্সি অফিস খুলেই বিশেষ অফার ঘোষণা করেন নির্ধারিত মুল্য থেকে অনেক কমে। প্রবাসী বাংলাদেশীরাও সুযোগটি লুফে নেন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে। হাতে সময় থাকায় খোঁজ-খবরও নেননি অগ্রিম বুকিং দেয়া এসব প্রবাসীরা। কিন্তু বিধি বাম। বুকিং দেয়া টিকিট নিয়ে দেশে যাওয়ার পথে বিমান বন্দরে বোডিংয়ের সময় দেখতে পান তাদের নামে কোন টিকিট বুকিং নেই। তখনই মাথায় হাত পড়ে। এরকম বেশ কয়েকজন প্রবাসী অভিযোগ করেও তাদের অর্থ ফেরত পায়নি। উল্টো আর্থিক ক্ষতি এবং দেশে যাওয়া বাতিল করতে হয় এসব ভুক্তভোগিদের।
ভুক্তভুগিরা অভিযোগ করেন, কথিত এসব এজন্সি কম মূল্যে আগাম বুকিংয়ের নামে পত্রিকায় চটকধারি বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রবাসীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখো ডলার। নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকাতেও খবর প্রকাশিত হয়। ‘ওয়ার্ল্ড এয়ার লিঙ্ক ডটকম’’সহ কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সি।  যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের বিল পরিরোশধ করেনি তারা।
ভুক্তভুগি অনেক প্রবাসী বাংলা পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতারণা করে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকে গ্রেফতারও হয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের এখানে এসব প্রতারকরা দিব্যি পার পেয়ে গেছেন। এ বিষয়ে ট্রাভেল ও ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা যথাযথ উদ্যোগ নেয়নি। তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে প্রতারকদের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিলো। তাহলে সাধারণ প্রবাসীরা অনেক উপকৃত হতো’।
অভিযোগ উঠে ওয়ার্ল্ড এয়ার লিঙ্ক ডটকম’ নামের সেই এজেন্সির মালিক জিয়াউর রহমান জিয়া অনেককেই টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিয়ে পরে আতœগোপনে চলে যান। এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে সম্প্রচারিত টাইম টেলিভিশন ও বাংলা পত্রিকার সাথে কথা বলেন ট্র্যাভেলস এজেন্সির মালিক, অ্যাসোসিয়েশন ও ব্যবসায়ী নেতারা। ঘটনার সত্যতা শিকার করে টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আরো সচেতন ও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন তারা।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ট্রাভেলস’র মালিক এবং‘ নর্থ আমেরিকান ট্রাভেলস এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংবালাদেশ-নাটাব’র  প্রেসিডেন্ট নাজমুল হুদা জানান, ‘‘আসলে যারা নামে বেনামে এসব প্রতিষ্ঠান খুলে আমাদের দেশের প্রবাসীদের হয়রানি করছে তাদের বিরুদ্ধে সবার আরো সজাগ থাকা উচিত। বছরে বিভিন্ন এয়ার লাইনস টিকিটের বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকে। কিন্তু নির্ধারিত ঐ ছাড় থেকেও ১-২শ ডলার কমে বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে অভিযুক্ত ঐ ট্রাভেলস এজেন্সি’’।
তিনি জানান, ‘এর আগেও হায় হায় কোম্পানি হাজিদের সাথেও টিকিট জালিয়াতি করেছে। বিমান বন্দরে গিয়ে অনেক হাজি সৌদি আরব হজ্জে যেতে পারেন নি। ফেরত এসে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। এখন সেই প্রতিষ্ঠানের কোন হদিস নেই। বর্তমানে আরো একটি ট্রাভেলস এজেন্সি একই কায়দায় গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করেছে। এটা সত্যিই দুঃখজনক। আসলে আমি বলবো যারা টিকিট বুকিং দিবেন, তার আগে নামি-দামি এজেন্সি এবং পরিচিত ব্যক্তিদের সাথে আলাপ করে টিকিট মূল্য যাচাই করে নিতে পারেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিমানের ওয়েব সাইটে সরাসরি যেয়ে ফ্লাইট ফেয়ার দেখে নিতে পারেন। চটকদার বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে পড়ে বুকিং দিয়ে অর্থ খোয়ানো’সহ হয়রানি যেন কাউকে না পড়তে হয়’।
ট্রাভেল এজেন্সি নামধারি কিছু প্রতারক প্রবাসীদের ঠকিয়েছেন এমন দাবি করে রহমানিয়া ট্রাভেলসের মালিক মাহমুদ রহমান বাংলা পত্রিকাকে জানান, ‘আমি বলবো যারা অগ্রিম টিকিট বুকিং দিবেন তাদের উচিত হবে ভেবে চিন্তে বুকিং দেয়া। তার আগে খোঁজ-খবর নিতে হবে পেশাদার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।  নতুন কেউ আসলে যে কোন অর্থ লেনদেনের আগে ভালো করে তাদের ব্যবসায়িক ব্যাকগ্রাউন্ড জেনে নিবেন। অতীতেও একটি ট্রাভেল এজেন্সি প্রতারণা করে অনেক অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। আমরা মনে করি শুধু ব্যবসায়ী নয় প্রত্যেক প্রবাসীকে এদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া উচিত’।
বিমানের টিকিট কিংবা হজের আগাম বুকিং দেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সধারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে নিতে বলছেন ব্যবাসয়ী নেতারা। তাছাড়া যারা প্রবাসীদের প্রতারণা ফাঁদে ফেলছে তাদের বিরুদ্ধেও ঐক্যবদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলে মনে করছেন ভুক্তভোগিরা। (বাংলা পত্রিকা)