মুনা কনভেনশন ৯ আগষ্ট শুরু
ইমাম ও কমিউনিটি লিডারদের সম্মানে মুনা’র ডিনার
- প্রকাশের সময় : ০১:০৬:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
- / ১৬৩ বার পঠিত
মুসলিম উম্মাহ অফ নর্থ আমেরিকা মুনা’র আগামী ৯, ১০ ও ১১ আগস্ট অনুষ্ঠেয় ‘মুনা কনভেনশন ২০২৪ সামনে রেখে ইমাম ও কমিউনিটির লিডারদের সম্মানে মতবিনিয়ম ও ডিনারের আয়োজন করেন মুনা নিউইয়র্ক নর্থ জোন। গত ১ জুলাই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় সিটির বাংলাদেশীদের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত জ্যাকসন হাইটসের মুনা সেন্টারে। নিউইয়র্ক নর্থ জোন সভাপতি মো: রাশেদুজ্জামান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুনার ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হারুন অর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুনার ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর আরমান চৌধুরী, সিপিএ।
মুনা কনভেনশন ২০২৪ বাস্তবায়নে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সাংবাদিক, ইমাম, কমিউনিটি লিডার, ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, মসজিদ আবরারের ইমাম ও খতিব মাওলানা আবুল খায়ের, মসজিদ বায়তুল আতিক মসজিদের খতিব মাওলানা নজরুল হক, সানি সাইড মসজিদে ইব্রাহিমের ইমাম ও খতিব ইমাম ইউসুফ, উডসাইড বায়তুল জান্নাহ মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: তোহফাজ উদ্দিন, মসজিদে ইব্রাহিমের সভাপতি পারভেজ রহমান, শিক্ষাবিদ ড. আবুল কাসেম, প্রফেসর সৈয়দ আহমেদ, এনওয়াইপিটির সিনিয়র কর্মকতা সামসুল হক, বিশিস্ট ব্যবসায়ী এমকে রহমান মাহমুদসহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মুনা নিউইয়র্ক নর্থ জোনের শিক্ষা সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মজুমদার।
ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হারুন অর রশীদ, ইমাম ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতায় কামনা করে বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে, বিগত বছরগুলোতে বিশাল আকারের মুনা কনভেনশন বাস্তবায়ন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তিন দিনব্যাপী ওই কনভেনশন বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটির মাঝে ব্যক্তি এবং সমাজ গঠনে প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আমরা মুনা ন্যাশনাল সংগঠনের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে এবং আপনাদের মাধ্যমে গোটা বাংলাদেশী কমিউনিটিকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তিনি বলেন, মুনা আমেরিকার একটি দাওয়াতি ও সামাজিক সংগঠন। মানুষের ব্যক্তিগত নৈতিক ও সামাজিক মানোন্নয়নর জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা চালানোর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে প্রতিষ্ঠিত হয় মুনা। এই সংগঠনটি ১৯৯০ সালে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে কর্পোরেশন ভুক্ত করা হয়। বর্তমানে মুনা আমেরিকার ৪৮ এর অধিক রাজ্যে কর্মতৎপরতা পরিচালনা করছে।
তিনি গাজার মুসলমানদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ৪০ হাজার মানুষের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। আমাদেরকে সকল ভেদাভেদ ভূলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবী। আমাদেরকে জাগতে হবে। তিনি বলেন, মুনা কোন রাজনীতিক সংগঠন নয়। আমরা মুসলমান এবং অমুসলমানদের কাছে কুরআনের দাওয়াত দিয়ে থাকি। আমাদের পাঁচ দফা কর্মসূচী শুধু মুসলিম তথা ইসলামে বিশ্বাসীদের জন্য নয়, এটা গোটা মানব গোষ্ঠীর উন্নতি ও অগ্রগতির লক্ষ্যে। মুনা শতকরা ১০০ ভাগ কুরআন ও সুন্নাহের অনুসরণ করে। মহাগ্রন্থ আল কুরআন ও রাসুল (সা:) প্রদর্শিত সুন্নাহর কল্যাণকর পতাকা প্রতিটি হৃদয়ে, প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে পৌঁছে যাক মুনা এই বিশ্বাস ধারণ করেই কনভেনশনে মূল প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করে থাকে। মুনার এই কাজে ইমাম ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মুনার ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট বলেন, আল কোরআন পথনির্দেশ করে গোটা মানব জাতিকে। কল্যাণকর ও নির্ভুল পথ পরিদর্শন করে পথভ্রান্ত দিকহারা মানবতাকে। ব্যক্তিজীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবন, মানব দেহের অভ্যন্তরে লুকায়িত অন্তর বিন্দু থেকে সৃষ্টি লোকের বিশাল বিস্তৃত মানব সম্পর্কিত প্রতিটি স্তরে বিশ্ববাসীর কল্যাণে এক নির্ভুল গাইড হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে এই মহাগ্রন্থ আল কুরআন। মুনা গত বছর প্রায় ৭৫ হাজার কুরআন বিলি করেছে এবং এ কাজ অব্যহত রাখছে। আপনারা যে কেউ এ কাজে অংশগ্রহন করতে চাইলে আমরা আপনাদের সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ।
মুনার ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর আরমান চৌধুরী বলেন, আগামী ৯, ১০ ও ১১ আগষ্ট ২০২৪ ফিলাডেলফিয়ার অবস্থিত পেনসিলভেনিয়া কনভেনশন সেন্টারে মুনা কনভেনশন ২০২৪ এর অনুষ্ঠিত হবে। এই সেন্টারের ধারণ ক্ষমতা প্রায় এক লক্ষ লোকের। এই কনভেনশন মুসলিম জীবনে বিশেষ করে বাংলাদেশী-আমেরিকান পরিবার ও নতুন প্রজন্মের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে নেতৃবন্দ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মুনা মুসলমানদের প্রাত্যহিক সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকান্ড এবং জাতীয় নাগরিক জীবনে ভূমিকা পালনের নিমিত্তে সংগঠিত করতে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে এই সকল ব্যক্তিবর্গ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণের মাধ্যমে মানবতার সেবা করে যেতে পারে।
উল্লেখ্য আগামী ৯, ১০ ও ১১ আগষ্ট অনুষ্ঠেয় কনভেনশনের কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয় এবং থিম নির্ধারণ করা হয়েছে “ইসলাম পিচ এন্ড জাস্টিজ ফর হিউম্যানিটি”। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।