তারেক রহমান লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন
মির্জা আজমের যুক্তরাষ্ট্র আগমন উপলক্ষে নিউইয়র্কে ডিনার পার্টি

- প্রকাশের সময় : ০১:৪৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
- / ২৯৮ বার পঠিত
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি’র যুক্তরাষ্ট্রে আগমন উপলক্ষে নিউইয়র্কে ডিনার পার্টির আয়োজন করেছে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা। ব্রঙ্কসের আল আকসা পার্টি সেন্টারে গত ১ জুলাই সোমবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী যোগ দেন। সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মিসবাহ আহমেদ এবং যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আলম ও যুবলীগ নেতা শেখ জামাল হুসেন। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম বাদশা, মহিউদ্দিন দেওয়ান, হাজী এনাম, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক রেজাউল করিম চৌধুরী ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব এমএ করিম জাহাঙ্গীর, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আতিক, মুহিত চৌধুরী, যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন, নাজমুল হক, জিল্লুর রহমান, সাইদুর রহমান শেলী, নুরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, হেলিম উদ্দিন প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আব্দুস শহীদ, শাহীন কামালী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মির্জা আজম এমপি বলেন, ৫৪ বছরের বাংলাদেশের ৩০ বছরের অধিক সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-স্বৈরাচারের সরকার। বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে একাত্তরের রাজাকারদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার জন্যে তারেক রহমান লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন। দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। টানা চার মেয়াদে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে লাখ লাখ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ১০-১৫ বছর আগে ছনের ঘরে থাকা মানুষগুলো এখন আধুনিক ঘরে বসবাস করছেন। ফলে গ্রামগুলো শহরে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, পাঁচ বছর আগে যারা বাংলাদেশ ঘুরে এসেছেন, তারা এখন দেশে গেলে পরিবর্তন দেখে বিস্মিত হন।
মির্জা আজম প্রসঙ্গত আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা উন্নয়নশীল দেশের সরকার প্রধানদের বলেছিলেন যে, উন্নয়ন করতে হলে বাংলাদেশের শেখ হাসিনাকে ফলো করুন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অনন্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বিশ্বের তিনজন সৎ প্রধানমন্ত্রীর একজন উল্লেখ করে মির্জা আজম বলেন, সারাবিশ্বে সবচেয়ে সাহসী প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শেখ হাসিনা নাম্বার ওয়ান। শেখ হাসিনার নতুন স্বপ্ন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট রাষ্ট্রে পরিণত করা। এজন্যে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে।
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে মির্জা আজম যথ দ্রুত সম্ভব যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের নতুন কমিটি গঠন করার জন্য যুবলীগ চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানানোর আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগেরও নতুন কমিটির দাবী জানানো হয়।