জ্যামাইকায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘ভালো’র মেলায় আনন্দ উচ্ছ্বাস : মানুষের ঢল
- প্রকাশের সময় : ০১:২৭:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
- / ১১৯ বার পঠিত
নিউইয়র্কে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশী-আমেরিকান হিউম্যানিটেরিয়ান এইড লিডারশিপ আউটরিচ-‘ভালো’র উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পথমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩০ জুন রোববার দিনব্যাপী সিটির জ্যামাইকার ১৬৯ স্ট্রিট থেকে ১৬৫ স্ট্রিট পর্যন্ত হাইল্যান্ড এভিনিউর উপরে এই মেলার আয়োজন করা হয়। এতে জ্যামাইকাবাসী ছাড়াও সিটির বিভিন্ন স্থান থেকে সর্বস্তরের নরনারী সপরিবারে অংশ নেন। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বিশেষ করে বৃষ্টির কারণে মেলার আনন্দ কিছুটা বিঘ্নিত হলেও মানুষের ঢল নামে মেলায়।
মেলায় পোষাক-পরিচ্ছদ আর খাবার সহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক স্টল ছিল। পাশাপাশি মঞ্চে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মেলা প্রাঙ্গনে পসরা সাজিয়ে বসে স্টলগুলো। মেলায় ছিল ফুচকা ও চটপটিসহ নানান মুখরোচক খাবারের স্টল। এছড়া বিভিন্ন স্টলে ছিল পোশাকের সমাহার। মেলায় আসা দশনার্থীরা এসব স্টল ঘুরে পছন্দের জামাকাপড় কেনাকাটা করেন। মেলায় শিশুদের জন্য ছিল কিডস জোন। বাউন্সি হাউজে শিশুরা মেতেছিল আনন্দে। এছাড়াও নিউইয়র্ক পুলিশের কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো মেলায় কৃত্রিম পাহাড় এনেছিল। শিশুরা যাতে ট্র্যাকিং বা ক্লিম্বের স্বাদ পেতে পারে, এজন্যই এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর সার্জেন্ট বাংলাদেশী-আমেরিকান আব্দুল লতিফ।
বিকেলে জমে উঠে মেলার সাংস্কৃতিক পর্ব। মেলায় গান গেয়ে দর্শক মাতিয়ে রাখেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান, ক্লোজআপ ওয়ান তারকা শিল্পী রন্টি দাশ, হালের ক্রেজ সঙ্গীতশিল্পী মুজা, মাশা ইসলাম প্রমুখ।
মেলা মঞ্চে উপস্থিত হয়ে ভালো’র ভালো সব উদ্যোগ এবং বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রশংসা করেন যুক্তরাষ্ট্রে মূলধারার রাজনীতিকরা। বিশেষ করে নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক অ্যাডভোকেট জুমানি উইলিয়ামস, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি মেম্বার জোহরান মামদানি ও বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষে জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি মো. ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার ভালো’র গুণগান করেন।
এদিকে মেলায় সুপার কার গ্যালারিতে প্রদশিত হয় ফেরারি, পোরশে, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজসহ নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি।
মেলার সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন ভালো’র প্রতিষ্ঠাতা ও ডিএইচ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট শাহরিয়ার রহমান। মেলাকে সার্থক ও সফল করেছেন ভালো’র স্বেচ্ছাসেবীরা নিরলস পরিশ্রম করেন। মেলায় আগতরা আনন্দ উচ্ছ্বাসে দিনভর উপভোগ করেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ‘ভালো’। ভয়াবহ করোনা মহামারীর সময় গোটা নিউইয়র্ক সিটি যখন নিস্তব্ধ, মূহ্যমান শোকে, তখন ‘ভালো’র একদল নির্ভীক তরুণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নেমে আসেন রাস্তায়। সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন করোনা আক্রান্ত মানুষের প্রতি। বিশেষ করে খাবার, চিকিৎসা ও করোনা প্রতিরোধী সামগ্রী পৌছে দেন বাড়ী বাড়ী।
ভালো’র প্রতিষ্ঠাতা শাহারিয়ার রহমানের নেতৃত্বে সেই থেকে তারা নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে থেকে কুঁড়িয়ে আসছেন প্রশংসা। মূলধারার জনপ্রতিনিধিদের সাথেও রয়েছে তাদের নিবিড় সর্ম্পক। রোজা, ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে ‘ভালো’ আয়োজন করে থাকে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ। সময়ে সময়ে বিতরণ করা হয় ফ্রি ফুড বিতরণ।