নিউইয়র্ক ০১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

হিলারীর জয় ঠেকানো অসম্ভব!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:১১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৭৭০ বার পঠিত

১৭ দিন বাকী নির্বাচনের। ২১ অক্টোবর সর্বশেষ জরিপগুলোর গড় ফলাফল বিশ্লেষনে ডোনাল্ড ট্রাম্প হিলারী থেকে পিছিয়ে আছেন ৮ শতাংশ ভোটে। যেটা সাম্প্রতিক ইতিহাসের বেশ বড় ব্যবধান। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ী হতে হলে বর্তমানের জরিপ ফলাফল উল্টে দিয়ে পাহাড় ঠেলতে হবে বলে বলছে খোদ রিপাবলিকান দের প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের ইলোক্ট্ররাল কলেজ ম্যাপ বিশ্লেষন।
ইলোক্ট্ররাল ভোট বিবেচিত হয় রাজ্য ভিত্তিক জনসংখ্যার বিপরিতে নির্ধারিত প্রতিনিধিত্বশীল একটি সংখ্যা হিসেবে। সেই ইলোক্ট্ররাল ভোট ম্যাপ দেখাচ্ছে যেসব রাজ্য এরই মধ্যে ডেমোক্র্যাটরা নিশ্চিত জয় পাচ্ছেন তাতে হিলারীর ইলোক্ট্ররাল ভোট পৌছে গেছে ৩০৭টিতে, আর ট্রাম্পের দখলে ১৮১টি। প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য দরকার ২৭১ টি ভোট। ডোনাল্ড ট্রাম্পে পক্ষে থাকা ২ টি রাজ্য, ওহাইয়ো এবং আইওয়াতে তিনি নির্বাচিত হলে তার বর্তমানের ইলোক্ট্ররাল ভোট বেড়ে সর্বচ্চ ২০৫টিতে দাড়াতে পারে। আর হিলারীর পক্ষে জরিপে এগিয়ে থাকা রাজ্যগুলোতে জয় পেলে তার ইলোক্ট্ররাল ভোট দাড়াবে ৩৩৪টিতে, যেটা হবে এক কথায় ভূমিধ্বশ বিজয়।
শুধু নির্বাচনী ব্যাটেলগ্রাউন্ড ৬-৮ রাজ্য শুধু নয় জাতীয় ভাবেও পপুলার বা জনপ্রিয় ভোটে এগিয়ে আছেন হিলারী ৬ থেকে ১২ শতাংশ ভোটে। ভিন্ন ভিন্ন জরিপ ফলাফলগুলোর সমীকরণ করে ফক্স নিউজ দেখিয়েছে, গড় পড়তা হিলারী এগিয়ে আছেন ৮ শতাংশ ভোটে। জাতীয়ভাবে হিলারী, ৪৭ শতাংশ ভোট আর ট্রাম্প আছেন ৩৮ শতাংশ ভোট নিয়ে। আর সব যুদ্ধক্ষেত্র বা ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্য যেমন ফ্লোরিডা, নেভাদা, অ্যারিজোনা, কলোরাডো, উইসকনসিন, মিশিগান, পেনসিলভেনিয়া, নিউ হ্যাম্পশায়র, ভার্জিনিয়াতে বেশ বড় ব্যবধানে হিলারীর জয় তুলে নেয়ার আভাস দেয়া হয়েছে সব জরিপে। এই সংখ্যা উল্টে দিয়ে ট্রাম্পকে জয়ের পক্ষে যারা বাজি ধরছেন, তাদের বুক দিয়ে পাহাড় ঠেলতে হবে। তবে সম্ভব, যদি ডেমোক্র্যাটরা জয় হাতের মুঠোয় ভেবে ভোট কেন্দ্রে না যায় ৮ নভেম্বর। সেই আশঙ্কাও বেশ প্রবল ডেমোক্র্যাট শিবিরে।
ট্রাম্প নিজে এবং তার কর্মী সমর্থকদের একমাত্র আশা, ইংল্যান্ডে ব্রেক্সিট ভোটের মত শেষ ১৭ দিনে একটি গনজোয়ার তৈরী হলেই জয়ী হবে ট্রাম্প। গত সপ্তাহে ট্রাম্প নিজেই একটি জনসভায় বলছিলেন, জরিপ সব ভুয়া, এটা বিশ্বাস করা ঠিক নয়, আমি নিশ্চিত জয়ী হবো ইংল্যান্ডের ব্রেক্সিট ভোটের মতো। ব্রেক্সিট জয়ী হবে এটা গনমাধ্যম জরিপ বলেনি। তার কথাকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন ভেঙ্গে পড়া ট্রাম্প ভক্তরা।
ব্রেক্সিট বা ইংল্যান্ডকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আলাদা করার গনভোটে প্রথমে ইইউতে থাকার পক্ষে ছিল ৪৮ শতাংশ ভোটা ছিল, আর না থাকার পক্ষে ছিল ৪৬ শতাংশ ভোট। শেষ দিকে না থাকার পক্ষে জনজোয়ার তৈরী হলে ৫১ শতাংশ ভোট পড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে, অন্যদিকে থাকার পক্ষের ভোটে পরিবর্তন হয়নি কোন। জরিপে দেখাচ্ছিল ৪৮ শতাংশ, ভোটও পড়ে ৪৮ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে ব্রেক্সিট ভোটের প্রতিফলন দেখা যাবে শুধুমাত্র, যদি ট্রাম্পের পক্ষে সর্বদল মত এবং মাঠ পর্যায়ে জনজোয়ার তৈরী হয় এই বাকী ১৭-১৮ দিনে।কিন্তু রিপাবলিকান দল নিজেই তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে না, তাই এটা বলা চলে বেশ অসম্ভব এই মুহুত্বে’ বলছিলেন, ফক্স নিউজের ডিসিশন ডেস্ক পরিচালক আর্নন মিশকিন।
তিনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে এর আগে কোন নির্বাচনে জরিপ ফলাফল উল্টে যায়নি। তবে হ্যাঁ, দেখতে হবে বাকী ১৭ দিনে জরিপে পরিবর্তন আসে কিনা। যদি দেখা যায় জনজোয়ার তৈরী হচ্ছে সেটা জরিপেই বোঝা যাবে। তবে এটা সত্য যে কোন জরিপ ২ থেকে ৩ শতাংশের বেশি ভোট ওলট-পালট করতে পারেনি।
‘আরেকটি বিষয় বুঝতে হবে, যদি ৮ নভেম্বর হিলারীর কর্মী-সমর্থক আর ভোটাররা জয় পেয়ে গেছেন ভেবে বাড়িতে বসে কাটিয়ে দেন, তাহলে ট্রাম্পের ভোট বেড়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরী হবে। কেননা, ট্রাম্পের ঘরে থাকা ৩৫-৪০ শতাংশ ভোটার, তারা ঘরে বসে থাকবেন না ভোটের দিন’ বলছিলেন আর্নন তার ম্যাপ বিশ্লেষনে।
এই যখন ঘর অর্থাৎ ফক্স নিউজের আলোচনা তখন, নির্বাচনী বিতর্কের ২ দিনের মাথায় দৃশ্যত মনে হয়েছে, পরাজয় মেনে নেয়ার ব্যাপারে মনোযোগী হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাউথ ক্যারোলিনার জনসভায় ট্রাম্প বলছেন, আমি জানি না জয় আসবে না পরাজয় আসবে, তবে অধিক সংখ্যায় ভোটার মাঠে নামলে জয় সুনিশ্চিত। তাই এই ১৮ দিন দিনরাত জনসভায় বক্তৃতা দিয়ে প্রতিটি মানুষের কাছে পৌছানোর অঙ্গীকার করে ট্রাম্প বলছেন, এবার যদি জয় নাও আসে, তব্ওু প্রতিটি মানুষের মধ্যে যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে তার রেশ থাকবে আগামি ২০ থেকে ৪০ বছর। তার নির্বাচনী প্রচারণাকে সত্যিকারের দেশ রক্ষার আর ঐক্যবদ্ধ আমেরিকা গঠনের একটি আন্দোলন বলে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, এই নির্বাচনেই সব শেষ হয়ে যাবে না, এটা একটা আন্দোলনে রুপ নিয়েছে।
এদিকে, দক্ষতা আর সততা কিংবা বিশ্বাসযোগ্যত নিয়ে ভোটারদের অনেক প্রশ্ন আছে বলে স্বীকার করে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারী ক্লিনটন বলছেন, শুধু একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নয়, ভাবুন দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চান আপনারা। তারপর দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের সাথে কোন প্রার্থী মেলে, সেটা বিবেচনা করে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ওহাইয়োর ভোটারদের। অগ্রিম ভোট শুরু হ্ওয়ায় এরই মধ্যে ৪০ লক্ষ মানুষ ভোট দিয়ে ফেলেছে জানিয়ে হিলারী জানান, এই নির্বাচন আসলেই মানুষ গুরুত্বের সাথে নিতে শুরু করেছে। তিনি জানান, ২০১২ সালের চেয়ে এবার এরই মধ্যে অন্তত ২০ শতাংশ বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন যা ইতিবাচক লক্ষন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

হিলারীর জয় ঠেকানো অসম্ভব!

প্রকাশের সময় : ১১:১১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০১৬

১৭ দিন বাকী নির্বাচনের। ২১ অক্টোবর সর্বশেষ জরিপগুলোর গড় ফলাফল বিশ্লেষনে ডোনাল্ড ট্রাম্প হিলারী থেকে পিছিয়ে আছেন ৮ শতাংশ ভোটে। যেটা সাম্প্রতিক ইতিহাসের বেশ বড় ব্যবধান। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ী হতে হলে বর্তমানের জরিপ ফলাফল উল্টে দিয়ে পাহাড় ঠেলতে হবে বলে বলছে খোদ রিপাবলিকান দের প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের ইলোক্ট্ররাল কলেজ ম্যাপ বিশ্লেষন।
ইলোক্ট্ররাল ভোট বিবেচিত হয় রাজ্য ভিত্তিক জনসংখ্যার বিপরিতে নির্ধারিত প্রতিনিধিত্বশীল একটি সংখ্যা হিসেবে। সেই ইলোক্ট্ররাল ভোট ম্যাপ দেখাচ্ছে যেসব রাজ্য এরই মধ্যে ডেমোক্র্যাটরা নিশ্চিত জয় পাচ্ছেন তাতে হিলারীর ইলোক্ট্ররাল ভোট পৌছে গেছে ৩০৭টিতে, আর ট্রাম্পের দখলে ১৮১টি। প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য দরকার ২৭১ টি ভোট। ডোনাল্ড ট্রাম্পে পক্ষে থাকা ২ টি রাজ্য, ওহাইয়ো এবং আইওয়াতে তিনি নির্বাচিত হলে তার বর্তমানের ইলোক্ট্ররাল ভোট বেড়ে সর্বচ্চ ২০৫টিতে দাড়াতে পারে। আর হিলারীর পক্ষে জরিপে এগিয়ে থাকা রাজ্যগুলোতে জয় পেলে তার ইলোক্ট্ররাল ভোট দাড়াবে ৩৩৪টিতে, যেটা হবে এক কথায় ভূমিধ্বশ বিজয়।
শুধু নির্বাচনী ব্যাটেলগ্রাউন্ড ৬-৮ রাজ্য শুধু নয় জাতীয় ভাবেও পপুলার বা জনপ্রিয় ভোটে এগিয়ে আছেন হিলারী ৬ থেকে ১২ শতাংশ ভোটে। ভিন্ন ভিন্ন জরিপ ফলাফলগুলোর সমীকরণ করে ফক্স নিউজ দেখিয়েছে, গড় পড়তা হিলারী এগিয়ে আছেন ৮ শতাংশ ভোটে। জাতীয়ভাবে হিলারী, ৪৭ শতাংশ ভোট আর ট্রাম্প আছেন ৩৮ শতাংশ ভোট নিয়ে। আর সব যুদ্ধক্ষেত্র বা ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্য যেমন ফ্লোরিডা, নেভাদা, অ্যারিজোনা, কলোরাডো, উইসকনসিন, মিশিগান, পেনসিলভেনিয়া, নিউ হ্যাম্পশায়র, ভার্জিনিয়াতে বেশ বড় ব্যবধানে হিলারীর জয় তুলে নেয়ার আভাস দেয়া হয়েছে সব জরিপে। এই সংখ্যা উল্টে দিয়ে ট্রাম্পকে জয়ের পক্ষে যারা বাজি ধরছেন, তাদের বুক দিয়ে পাহাড় ঠেলতে হবে। তবে সম্ভব, যদি ডেমোক্র্যাটরা জয় হাতের মুঠোয় ভেবে ভোট কেন্দ্রে না যায় ৮ নভেম্বর। সেই আশঙ্কাও বেশ প্রবল ডেমোক্র্যাট শিবিরে।
ট্রাম্প নিজে এবং তার কর্মী সমর্থকদের একমাত্র আশা, ইংল্যান্ডে ব্রেক্সিট ভোটের মত শেষ ১৭ দিনে একটি গনজোয়ার তৈরী হলেই জয়ী হবে ট্রাম্প। গত সপ্তাহে ট্রাম্প নিজেই একটি জনসভায় বলছিলেন, জরিপ সব ভুয়া, এটা বিশ্বাস করা ঠিক নয়, আমি নিশ্চিত জয়ী হবো ইংল্যান্ডের ব্রেক্সিট ভোটের মতো। ব্রেক্সিট জয়ী হবে এটা গনমাধ্যম জরিপ বলেনি। তার কথাকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন ভেঙ্গে পড়া ট্রাম্প ভক্তরা।
ব্রেক্সিট বা ইংল্যান্ডকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আলাদা করার গনভোটে প্রথমে ইইউতে থাকার পক্ষে ছিল ৪৮ শতাংশ ভোটা ছিল, আর না থাকার পক্ষে ছিল ৪৬ শতাংশ ভোট। শেষ দিকে না থাকার পক্ষে জনজোয়ার তৈরী হলে ৫১ শতাংশ ভোট পড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার পক্ষে, অন্যদিকে থাকার পক্ষের ভোটে পরিবর্তন হয়নি কোন। জরিপে দেখাচ্ছিল ৪৮ শতাংশ, ভোটও পড়ে ৪৮ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে ব্রেক্সিট ভোটের প্রতিফলন দেখা যাবে শুধুমাত্র, যদি ট্রাম্পের পক্ষে সর্বদল মত এবং মাঠ পর্যায়ে জনজোয়ার তৈরী হয় এই বাকী ১৭-১৮ দিনে।কিন্তু রিপাবলিকান দল নিজেই তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে না, তাই এটা বলা চলে বেশ অসম্ভব এই মুহুত্বে’ বলছিলেন, ফক্স নিউজের ডিসিশন ডেস্ক পরিচালক আর্নন মিশকিন।
তিনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে এর আগে কোন নির্বাচনে জরিপ ফলাফল উল্টে যায়নি। তবে হ্যাঁ, দেখতে হবে বাকী ১৭ দিনে জরিপে পরিবর্তন আসে কিনা। যদি দেখা যায় জনজোয়ার তৈরী হচ্ছে সেটা জরিপেই বোঝা যাবে। তবে এটা সত্য যে কোন জরিপ ২ থেকে ৩ শতাংশের বেশি ভোট ওলট-পালট করতে পারেনি।
‘আরেকটি বিষয় বুঝতে হবে, যদি ৮ নভেম্বর হিলারীর কর্মী-সমর্থক আর ভোটাররা জয় পেয়ে গেছেন ভেবে বাড়িতে বসে কাটিয়ে দেন, তাহলে ট্রাম্পের ভোট বেড়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরী হবে। কেননা, ট্রাম্পের ঘরে থাকা ৩৫-৪০ শতাংশ ভোটার, তারা ঘরে বসে থাকবেন না ভোটের দিন’ বলছিলেন আর্নন তার ম্যাপ বিশ্লেষনে।
এই যখন ঘর অর্থাৎ ফক্স নিউজের আলোচনা তখন, নির্বাচনী বিতর্কের ২ দিনের মাথায় দৃশ্যত মনে হয়েছে, পরাজয় মেনে নেয়ার ব্যাপারে মনোযোগী হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাউথ ক্যারোলিনার জনসভায় ট্রাম্প বলছেন, আমি জানি না জয় আসবে না পরাজয় আসবে, তবে অধিক সংখ্যায় ভোটার মাঠে নামলে জয় সুনিশ্চিত। তাই এই ১৮ দিন দিনরাত জনসভায় বক্তৃতা দিয়ে প্রতিটি মানুষের কাছে পৌছানোর অঙ্গীকার করে ট্রাম্প বলছেন, এবার যদি জয় নাও আসে, তব্ওু প্রতিটি মানুষের মধ্যে যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে তার রেশ থাকবে আগামি ২০ থেকে ৪০ বছর। তার নির্বাচনী প্রচারণাকে সত্যিকারের দেশ রক্ষার আর ঐক্যবদ্ধ আমেরিকা গঠনের একটি আন্দোলন বলে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, এই নির্বাচনেই সব শেষ হয়ে যাবে না, এটা একটা আন্দোলনে রুপ নিয়েছে।
এদিকে, দক্ষতা আর সততা কিংবা বিশ্বাসযোগ্যত নিয়ে ভোটারদের অনেক প্রশ্ন আছে বলে স্বীকার করে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারী ক্লিনটন বলছেন, শুধু একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নয়, ভাবুন দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চান আপনারা। তারপর দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের সাথে কোন প্রার্থী মেলে, সেটা বিবেচনা করে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ওহাইয়োর ভোটারদের। অগ্রিম ভোট শুরু হ্ওয়ায় এরই মধ্যে ৪০ লক্ষ মানুষ ভোট দিয়ে ফেলেছে জানিয়ে হিলারী জানান, এই নির্বাচন আসলেই মানুষ গুরুত্বের সাথে নিতে শুরু করেছে। তিনি জানান, ২০১২ সালের চেয়ে এবার এরই মধ্যে অন্তত ২০ শতাংশ বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন যা ইতিবাচক লক্ষন।