নিউইয়র্ক ১১:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
ইউএস সুপ্রীম কোর্টের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত

ট্রাম্প শিবিরে উচ্ছাস, অসন্তষ্ট বাইডেন শিবির

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৭:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • / ৯৩ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে নেওয়া কিছু পদক্ষেপের জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রেহাই পাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১ জুলাই) ইউএস সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টকে অপরাধের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রশ্নে সিদ্ধান্ত দিলেন সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের ৯ সদস্যের বেঞ্চের ৬ জনই ট্রাম্পের দায়মুক্তির পক্ষে ছিলেন; বিপক্ষে ছিলেন তিনজন। পরে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। সেই অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংবিধানের অধীন ট্রাম্প যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেগুলোয় দায়মুক্তি পাবেন। তবে ব্যক্তিগত কর্মকান্ডের জন্য দায়মুক্তি পাবেন না তিনি। এর আগে একটি ফেডারেল কোর্ট ট্রাম্প কোনো দায়মুক্তি পেতে পারেন না বলে যে রায় দিয়েছিল, তা প্রত্যাখ্যান করেছে সর্বোচ্চ আদালত। ট্রাম্প সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে বড় জয় বলে উল্লেখ করেছেন। মূলত: উল্লেখিত আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে নেওয়া কিছু পদক্ষেপের জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রেহাই পাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে ট্রাম্প শিবির অর্থাৎ রিপাবলিকান পার্টিতে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র ও সংবিধানের জন্য এটা একটা বড় জয়। একজন আমেরিকান হিসেবে আমি গর্বিত।’ অপরদিকে আদালতের সিদ্ধান্তে মোটেও সন্তুষ্ট নয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টি। বাইডেনের প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারী যা ঘটেছিল, তা বদলে যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বাস্তবতার কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারবে না।

প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস রায়ে তার মন্তব্যে বলেছেন, অফিশিয়াল দায়িত্ব পালনে প্রেসিডেন্টদের দায়মুক্তি থাকা উচিত। এই দায়মুক্তিটা পুরোপুরি থাকতে হবে। তবে সবকিছু অফিশিয়াল নয়। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, প্রেসিডন্ট তার অফিসের বাইরে যে কাজ করবেন, তার জন্য দায়মুক্তি পেতে পারেন না। কারণ প্রেসিডেন্ট আইনের ঊর্ধ্বে নন। তবে সংবিধান অনুসারে নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব পালনের জন্য কংগ্রেস প্রেসিডেন্টকে ফৌজদারি অপরাধে অপরাধী করতে পারে না।

আদালতের এই সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনাকারী বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের জন্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবিধানিক আইনবিশেষজ্ঞ আজিজ হক। তিনি বিবিসিকে বলেন, এই মামলায় ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে স্মিথের পথ আরও কঠিন হলো।
সিএনএন’র আইনবিষয়ক বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, দায়মুক্তির এই আদেশ ট্রাম্পের অন্যান্য মামলায়ও প্রভাব ফেলবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারী পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে তাঁকে হারিয়ে জয় পান জো বাইডেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা একটি মামলায় সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযোগ এনেছেন, ওই নির্বাচনের ফল বদলাতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। পরে ৬ জানুয়ারী ক্যাপিটলে হামলার পেছনেও উসকানি দিয়েছিলেন তিনি।

সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপির ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগকে যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছিলেন, তা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর দাপ্তরিক কাজের মধ্যে পড়ে। এ ছাড়া জো বাইডেনের জয়কে স্বীকৃতি না দিতে তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা-ও তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতার আওতায় ছিল। ক্যাপিটলের দিকে যাত্রা করতে ৬ জানুয়ারীর সমর্থকদের প্রতি দেওয়া ট্রাম্পের নির্দেশও ছিল তাঁর এখতিয়ারের মধ্যে।

এর আগে ৬ জানুয়ারীর ঘটনা থেকে সুরক্ষা পেতে নিম্ন আদালতে আবেদন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ওই আবেদন খারিজ হয়। গত ফেব্রুয়ারীতে একটি ফেডারেল আদালত তার রায়ে বলেছিল, আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে করা অপরাধ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিস্তার নেই, যতই তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে এককালে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দায়িত্ব পালন করে থাকেন না কেন। ফেডারেল নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে তার বিচার হওয়া উচিত নয়, ট্রাম্পের এমন যুক্তি স্পষ্টভাবে খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। আদালত আদেশ দেয়, ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পালটে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তার বিচার করা যাবে। রোববার সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে নিম্ন আদালতের সেই আদেশ বাতিল হয়ে গেল। একই সঙ্গে মামলাটি আরও পর্যালোচনার জন্য নিম্ন আদালতে পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্তে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস।

আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প। সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে এটা স্পষ্ট যে নভেম্বরের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও ক্যাপিটলে হামলা সংক্রান্ত মামলার তেমন অগ্রগতি হবে না। আর তিনি যদি আবার ক্ষমতায় আসেন, তাহলে এ মামলায় বিচার বন্ধের চেষ্টা করতে পারেন, এমনকি নিজেকে ক্ষমা করেও দিতে পারেন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইউএস সুপ্রীম কোর্টের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত

ট্রাম্প শিবিরে উচ্ছাস, অসন্তষ্ট বাইডেন শিবির

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৭:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে নেওয়া কিছু পদক্ষেপের জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রেহাই পাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১ জুলাই) ইউএস সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টকে অপরাধের অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রশ্নে সিদ্ধান্ত দিলেন সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের ৯ সদস্যের বেঞ্চের ৬ জনই ট্রাম্পের দায়মুক্তির পক্ষে ছিলেন; বিপক্ষে ছিলেন তিনজন। পরে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। সেই অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংবিধানের অধীন ট্রাম্প যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেগুলোয় দায়মুক্তি পাবেন। তবে ব্যক্তিগত কর্মকান্ডের জন্য দায়মুক্তি পাবেন না তিনি। এর আগে একটি ফেডারেল কোর্ট ট্রাম্প কোনো দায়মুক্তি পেতে পারেন না বলে যে রায় দিয়েছিল, তা প্রত্যাখ্যান করেছে সর্বোচ্চ আদালত। ট্রাম্প সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে বড় জয় বলে উল্লেখ করেছেন। মূলত: উল্লেখিত আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে নেওয়া কিছু পদক্ষেপের জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রেহাই পাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে ট্রাম্প শিবির অর্থাৎ রিপাবলিকান পার্টিতে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র ও সংবিধানের জন্য এটা একটা বড় জয়। একজন আমেরিকান হিসেবে আমি গর্বিত।’ অপরদিকে আদালতের সিদ্ধান্তে মোটেও সন্তুষ্ট নয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টি। বাইডেনের প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারী যা ঘটেছিল, তা বদলে যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বাস্তবতার কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারবে না।

প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস রায়ে তার মন্তব্যে বলেছেন, অফিশিয়াল দায়িত্ব পালনে প্রেসিডেন্টদের দায়মুক্তি থাকা উচিত। এই দায়মুক্তিটা পুরোপুরি থাকতে হবে। তবে সবকিছু অফিশিয়াল নয়। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, প্রেসিডন্ট তার অফিসের বাইরে যে কাজ করবেন, তার জন্য দায়মুক্তি পেতে পারেন না। কারণ প্রেসিডেন্ট আইনের ঊর্ধ্বে নন। তবে সংবিধান অনুসারে নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব পালনের জন্য কংগ্রেস প্রেসিডেন্টকে ফৌজদারি অপরাধে অপরাধী করতে পারে না।

আদালতের এই সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনাকারী বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের জন্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবিধানিক আইনবিশেষজ্ঞ আজিজ হক। তিনি বিবিসিকে বলেন, এই মামলায় ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে স্মিথের পথ আরও কঠিন হলো।
সিএনএন’র আইনবিষয়ক বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, দায়মুক্তির এই আদেশ ট্রাম্পের অন্যান্য মামলায়ও প্রভাব ফেলবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারী পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে তাঁকে হারিয়ে জয় পান জো বাইডেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা একটি মামলায় সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযোগ এনেছেন, ওই নির্বাচনের ফল বদলাতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। পরে ৬ জানুয়ারী ক্যাপিটলে হামলার পেছনেও উসকানি দিয়েছিলেন তিনি।

সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপির ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগকে যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছিলেন, তা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর দাপ্তরিক কাজের মধ্যে পড়ে। এ ছাড়া জো বাইডেনের জয়কে স্বীকৃতি না দিতে তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা-ও তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতার আওতায় ছিল। ক্যাপিটলের দিকে যাত্রা করতে ৬ জানুয়ারীর সমর্থকদের প্রতি দেওয়া ট্রাম্পের নির্দেশও ছিল তাঁর এখতিয়ারের মধ্যে।

এর আগে ৬ জানুয়ারীর ঘটনা থেকে সুরক্ষা পেতে নিম্ন আদালতে আবেদন করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ওই আবেদন খারিজ হয়। গত ফেব্রুয়ারীতে একটি ফেডারেল আদালত তার রায়ে বলেছিল, আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে করা অপরাধ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিস্তার নেই, যতই তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে এককালে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দায়িত্ব পালন করে থাকেন না কেন। ফেডারেল নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে তার বিচার হওয়া উচিত নয়, ট্রাম্পের এমন যুক্তি স্পষ্টভাবে খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। আদালত আদেশ দেয়, ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল পালটে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তার বিচার করা যাবে। রোববার সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে নিম্ন আদালতের সেই আদেশ বাতিল হয়ে গেল। একই সঙ্গে মামলাটি আরও পর্যালোচনার জন্য নিম্ন আদালতে পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্তে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস।

আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প। সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে এটা স্পষ্ট যে নভেম্বরের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও ক্যাপিটলে হামলা সংক্রান্ত মামলার তেমন অগ্রগতি হবে না। আর তিনি যদি আবার ক্ষমতায় আসেন, তাহলে এ মামলায় বিচার বন্ধের চেষ্টা করতে পারেন, এমনকি নিজেকে ক্ষমা করেও দিতে পারেন।