রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে যুদ্ধ প্রলম্বিত করছেন নেতানিয়াহু: বাইডেন

- প্রকাশের সময় : ০৬:০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
- / ১৩০ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এক হাত নিয়েছেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, তাঁর কাছে এটি মনে করার ‘যৌক্তিক কারণ’ আছে যে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে গাজায় যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। মূলত তিনি নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বাঁচানোর লক্ষ্যে এমনটা করছেন।
ব্রিটিশ সাময়িকী টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। বাইডেন বলেছেন, যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার ভবিষ্যৎ কী হবে, সে বিষয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর ‘বড় ধরনের মতানৈক্য’ আছে। একই সঙ্গে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পর দেশটি গাজায় যা করেছে, সেটিকেও বাইডেন ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
শুক্রবার বাইডেন গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এই পরিকল্পনা প্রকাশের অনেক আগেই তিনি টাইমকে সাক্ষাৎকার দেন। টাইম বাইডেনের কাছে জানতে চায় যে, নেতানিয়াহু ইচ্ছা করেই রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বাঁচানোর লক্ষ্যে এই যুদ্ধ এগিয়ে নিচ্ছেন কি না?
জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘লোকজনের কাছে এমন উপসংহারে পৌঁছানোর মতো যথেষ্ট কারণ আছে।’ এ সময় তিনি জানান, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সৃষ্টি নিয়ে তাঁর এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে বড় ধরনে মতানৈক্য আছে। তিনি আরও বলেন, ‘নেতানিয়াহুর সঙ্গে আমার প্রধান মতবিরোধ হলো, গাজা (যুদ্ধ) শেষ হওয়ার পরে কী হবে? ইসরায়েলি বাহিনী কী ঘরে ফিরে যাবে?’
এদিকে, গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে তিন দফার যে প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, হামাস যদি তা মেনে নেয়, তাহলে ইসরায়েলও তা গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি। তিনি বলেন, ‘হামাস এই প্রস্তাব মেনে নিলে ইসরায়েলও তাতে হ্যাঁ বলবে বলে প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্রের। আমরা হামাসের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা করছি।’ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আশা করেছে, উভয় পক্ষই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিকল্পনার প্রথম ধাপ শুরু করতে সম্মত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এই মুখপাত্র আরও প্রত্যাশা করেন, প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির ছয় সপ্তাহে দুই পক্ষ বসে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি কেমন হবে এবং কখন শুরু হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করবে।