নিউইয়র্ক ০৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
বড় চ্যালেঞ্জের বাজেট আসছে

বাড়বে ঋণের বোঝা

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
  • / ২২৪ বার পঠিত

অর্থনীতির জন্য সময় যেন পাথর। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় সংকটে পড়েছে আমদানি খাত। রেমিট্যান্সের গতি-প্রকৃতিও ধীরগতির। ঠিক এ সময়ে বর্তমান সরকারের চার মেয়াদের ১৬তম বাজেট উপস্থাপন হতে যাচ্ছে। আশা জাগে যখন মন্ত্রীরা বলেন, আসন্ন বাজেটে অগ্রাধিকার থাকবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে।

স্বস্তি আনে যখন আভাস পাওয়া যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় ৩০ পণ্যের কর কমছে। আবার হতাশা জাগায় সরকার যখন বাজেটের আয়ের সঙ্গে ব্যয় মেলাতে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বড় অঙ্কের ঋণের পরিকল্পনা করে। আর এ ঋণের বোঝা কমবেশি শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাঁধে এসেই চাপে। বাজেট আসছে সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে। প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেটে কোথায় কোথায় খরচ করবে তার একটি রূপরেখার ছক ইতিমধ্যে তৈরি করে ফেলা হয়েছে। আর মাত্র দুদিন। অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার জাতির সামনে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ। আর এটি তার প্রথম বাজেট উপস্থাপন। এ বাজেট উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এটি হবে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট।

সরকারের বাজেটে টাকা আসবে কোথা থেকে? এ ছকে প্রথমে আসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কথা। সরকারি রাজস্ব আয়ের পরিকল্পনায় রয়েছে সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকা। এ রাজস্ব আসবে কোথা থেকে তারও পরিকল্পনা হয়ে গেছে। আসন্ন বাজেটে ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ছে না। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আবারও দেওয়া হবে। তবে এর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কর গুনতে হবে। সরকার পরিচালনার জন্য ব্যয় করতে হবে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর সারা অর্থবছরের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ব্যয় করতে হবে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।

যারা প্রতিনিয়ত মোবাইলে কথা বলেন তাদের জন্য বাড়তি চাপ আসছে। অর্থাৎ মোবাইলের ওপর কর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি মোবাইল ফোন কিনতে হলে এখনকার চেয়ে বাড়তি দামে কিনতে হবে। কারণ মোবাইলের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ছে।

ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, ঋণের বোঝা বাড়তে পারে। অর্থাৎ সরকারকে আয়-ব্যয়ের মেলবন্ধন ঠিক রাখতে দেশি ও বিদেশি ঋণ নিতে হবে। এর মধ্যে দেশি ঋণের পরিমাণ হতে পারে ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। আর বিদেশি ঋণ ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়াও সঞ্চয়পত্র তো রয়েছে। এখানে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হতে পারে। তবে ঋণের সঙ্গে ঋণের সুদও দিতে হবে। এর পরিমাণ হতে পারে ১ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা।

আমদানি করা বিলাস পণ্য আমদানিতে লাগাম টেনে ধরা হবে। এর মূল কারণ ডলার সংকট। তবে রফতানিতে সরকার আগামীতে আরও মনোযোগী হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। তবে সব মিলিয়ে আগামী বাজেট হবে সরকারের জন্য বহুমুখী একটি চ্যালেঞ্জ। সূত্র: সময়ের আলো।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বড় চ্যালেঞ্জের বাজেট আসছে

বাড়বে ঋণের বোঝা

প্রকাশের সময় : ০৭:০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

অর্থনীতির জন্য সময় যেন পাথর। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় সংকটে পড়েছে আমদানি খাত। রেমিট্যান্সের গতি-প্রকৃতিও ধীরগতির। ঠিক এ সময়ে বর্তমান সরকারের চার মেয়াদের ১৬তম বাজেট উপস্থাপন হতে যাচ্ছে। আশা জাগে যখন মন্ত্রীরা বলেন, আসন্ন বাজেটে অগ্রাধিকার থাকবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে।

স্বস্তি আনে যখন আভাস পাওয়া যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় ৩০ পণ্যের কর কমছে। আবার হতাশা জাগায় সরকার যখন বাজেটের আয়ের সঙ্গে ব্যয় মেলাতে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বড় অঙ্কের ঋণের পরিকল্পনা করে। আর এ ঋণের বোঝা কমবেশি শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাঁধে এসেই চাপে। বাজেট আসছে সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে। প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেটে কোথায় কোথায় খরচ করবে তার একটি রূপরেখার ছক ইতিমধ্যে তৈরি করে ফেলা হয়েছে। আর মাত্র দুদিন। অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার জাতির সামনে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ। আর এটি তার প্রথম বাজেট উপস্থাপন। এ বাজেট উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এটি হবে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট।

সরকারের বাজেটে টাকা আসবে কোথা থেকে? এ ছকে প্রথমে আসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কথা। সরকারি রাজস্ব আয়ের পরিকল্পনায় রয়েছে সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকা। এ রাজস্ব আসবে কোথা থেকে তারও পরিকল্পনা হয়ে গেছে। আসন্ন বাজেটে ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ছে না। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আবারও দেওয়া হবে। তবে এর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কর গুনতে হবে। সরকার পরিচালনার জন্য ব্যয় করতে হবে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর সারা অর্থবছরের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ব্যয় করতে হবে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।

যারা প্রতিনিয়ত মোবাইলে কথা বলেন তাদের জন্য বাড়তি চাপ আসছে। অর্থাৎ মোবাইলের ওপর কর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি মোবাইল ফোন কিনতে হলে এখনকার চেয়ে বাড়তি দামে কিনতে হবে। কারণ মোবাইলের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ছে।

ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, ঋণের বোঝা বাড়তে পারে। অর্থাৎ সরকারকে আয়-ব্যয়ের মেলবন্ধন ঠিক রাখতে দেশি ও বিদেশি ঋণ নিতে হবে। এর মধ্যে দেশি ঋণের পরিমাণ হতে পারে ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। আর বিদেশি ঋণ ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়াও সঞ্চয়পত্র তো রয়েছে। এখানে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হতে পারে। তবে ঋণের সঙ্গে ঋণের সুদও দিতে হবে। এর পরিমাণ হতে পারে ১ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা।

আমদানি করা বিলাস পণ্য আমদানিতে লাগাম টেনে ধরা হবে। এর মূল কারণ ডলার সংকট। তবে রফতানিতে সরকার আগামীতে আরও মনোযোগী হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। তবে সব মিলিয়ে আগামী বাজেট হবে সরকারের জন্য বহুমুখী একটি চ্যালেঞ্জ। সূত্র: সময়ের আলো।