নিউইয়র্ক ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

৮০ ভাগ আমেরিকানের কাছে ফাস্টফুড এখন বিলাসিতা

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
  • / ১২৪ বার পঠিত

আমেরিকাকে বলা হয় ফাস্টফুডের দেশ। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে সেই আমেরিকানদের কাছে ফাস্টফুড এখন বিলাসী পণ্য। নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, দেশটির ৮০ ভাগ মানুষ এখন ফাস্টফুডকে বিলাসী পণ্য মনে করছেন। শুধু তাই নয়, দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে আমেরিকানরা এখন বাইরের খাবার কম খাচ্ছেন। এ অবস্থায় ফাস্টফুড রেস্তোরাঁগুলো মারাত্মক ক্রেতা সংকটে পড়েছে।

সম্প্রতি ল্যান্ডিং ট্রি নামে একটি মার্কেট প্লেস এ সংক্রান্ত জরিপটি পরিচালনা করেছিল। জরিপে ফাস্টফুড নিয়ে অন্তত ২ হাজার প্রাপ্ত বয়স্ক আমেরিকানের মতামত যাচাই করেছিল সংস্থাটি। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ফাস্টফুড কেনাকাটার অভ্যাস নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল।

জরিপে দেখা গেছে—তিন চতুর্থাংশ আমেরিকান সপ্তাহে অন্তত একবার ফাস্টফুড খেলেও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অন্তত ৬২ শতাংশ জানিয়েছেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা এখন বাইরের খাবার কম খাচ্ছেন। আর গত ৬ মাসে রেস্তোরাঁগুলোর মেন্যুতে বাড়তি মূল্য দেখে অবাক হয়েছেন অন্তত ৬৫ ভাগ অংশগ্রহণকারী। প্রায় ৮০ ভাগই মত দিয়েছেন, দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ফাস্টফুড এখন বিলাসিতার পর্যায়ে পড়ে।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, ফাস্টফুডের মূল্য বাড়িতে তৈরি খাবারের চেয়েও কম হওয়া উচিত। ৫৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন, তারা এখন বাড়িতেই সহজ এবং সস্তা খাবার তৈরি করছেন।

এ বিষয়ে দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি এখন অনেক আমেরিকানের নাগালের বাইরে। এর ফলে আর্থিকভাবে লড়াই করছে এমন আমেরিকানরাই শুধু নয়, বছরে ১ লাখ ডলার বা তার চেয়ে বেশি আয় করা আমেরিকানদের ৫২ শতাংশ বলেছেন, তারা ফাস্টফুড কম খাচ্ছেন। আর সামগ্রিকভাবে ৬২ শতাংশ জানিয়েছেন যে, তারা ফাস্টফুড খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন।

এ ধরনের পরিস্থিতির কারণে আমেরিকার ফাস্টফুড শিল্পে সামগ্রিকভাবে গ্রাহক কমে গেছে। ফক্স বিজনেসের তথ্যমতে, ম্যাকডোনাল্ডসের সিইও ক্রিস কেম্পজিনস্কি গত এপ্রিলে বিষয়টির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বিশ্লেষকদের কাছে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রায় সবগুলো বড় বাজারে এই শিল্পের গতি ধীর হয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি, আমাদের গ্রাহকেরা এখন আগের চেয়েও কম মূল্যের খাবার খুঁজছেন।’

চলমান পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ম্যাকডোনাল্ডস চলতি মাসেই ৫ ডলার মূল্যের একটি নতুন খাবারের ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে ওয়েন্ডিস নামে আরেকটি ফাস্টফুড কোম্পানি মাত্র ৩ ডলারে একটি চুক্তিভিত্তিক প্রাতরাশের নিশ্চয়তা দিয়ে গ্রাহক ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে।

এদিকে সিএফকে রেস্তোরাঁর সাবেক সিইও অ্যান্ডি পুজদার মঙ্গলবার ফক্স বিজনেসের কাছে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, চলমান পরিস্থিতি মাঝারি মানের রেস্তোরাঁগুলোকে অদৃশ্য করে দেবে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

৮০ ভাগ আমেরিকানের কাছে ফাস্টফুড এখন বিলাসিতা

প্রকাশের সময় : ০২:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

আমেরিকাকে বলা হয় ফাস্টফুডের দেশ। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে সেই আমেরিকানদের কাছে ফাস্টফুড এখন বিলাসী পণ্য। নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, দেশটির ৮০ ভাগ মানুষ এখন ফাস্টফুডকে বিলাসী পণ্য মনে করছেন। শুধু তাই নয়, দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে আমেরিকানরা এখন বাইরের খাবার কম খাচ্ছেন। এ অবস্থায় ফাস্টফুড রেস্তোরাঁগুলো মারাত্মক ক্রেতা সংকটে পড়েছে।

সম্প্রতি ল্যান্ডিং ট্রি নামে একটি মার্কেট প্লেস এ সংক্রান্ত জরিপটি পরিচালনা করেছিল। জরিপে ফাস্টফুড নিয়ে অন্তত ২ হাজার প্রাপ্ত বয়স্ক আমেরিকানের মতামত যাচাই করেছিল সংস্থাটি। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ফাস্টফুড কেনাকাটার অভ্যাস নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল।

জরিপে দেখা গেছে—তিন চতুর্থাংশ আমেরিকান সপ্তাহে অন্তত একবার ফাস্টফুড খেলেও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অন্তত ৬২ শতাংশ জানিয়েছেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা এখন বাইরের খাবার কম খাচ্ছেন। আর গত ৬ মাসে রেস্তোরাঁগুলোর মেন্যুতে বাড়তি মূল্য দেখে অবাক হয়েছেন অন্তত ৬৫ ভাগ অংশগ্রহণকারী। প্রায় ৮০ ভাগই মত দিয়েছেন, দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ফাস্টফুড এখন বিলাসিতার পর্যায়ে পড়ে।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, ফাস্টফুডের মূল্য বাড়িতে তৈরি খাবারের চেয়েও কম হওয়া উচিত। ৫৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন, তারা এখন বাড়িতেই সহজ এবং সস্তা খাবার তৈরি করছেন।

এ বিষয়ে দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি এখন অনেক আমেরিকানের নাগালের বাইরে। এর ফলে আর্থিকভাবে লড়াই করছে এমন আমেরিকানরাই শুধু নয়, বছরে ১ লাখ ডলার বা তার চেয়ে বেশি আয় করা আমেরিকানদের ৫২ শতাংশ বলেছেন, তারা ফাস্টফুড কম খাচ্ছেন। আর সামগ্রিকভাবে ৬২ শতাংশ জানিয়েছেন যে, তারা ফাস্টফুড খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন।

এ ধরনের পরিস্থিতির কারণে আমেরিকার ফাস্টফুড শিল্পে সামগ্রিকভাবে গ্রাহক কমে গেছে। ফক্স বিজনেসের তথ্যমতে, ম্যাকডোনাল্ডসের সিইও ক্রিস কেম্পজিনস্কি গত এপ্রিলে বিষয়টির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বিশ্লেষকদের কাছে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রায় সবগুলো বড় বাজারে এই শিল্পের গতি ধীর হয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি, আমাদের গ্রাহকেরা এখন আগের চেয়েও কম মূল্যের খাবার খুঁজছেন।’

চলমান পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ম্যাকডোনাল্ডস চলতি মাসেই ৫ ডলার মূল্যের একটি নতুন খাবারের ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে ওয়েন্ডিস নামে আরেকটি ফাস্টফুড কোম্পানি মাত্র ৩ ডলারে একটি চুক্তিভিত্তিক প্রাতরাশের নিশ্চয়তা দিয়ে গ্রাহক ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে।

এদিকে সিএফকে রেস্তোরাঁর সাবেক সিইও অ্যান্ডি পুজদার মঙ্গলবার ফক্স বিজনেসের কাছে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, চলমান পরিস্থিতি মাঝারি মানের রেস্তোরাঁগুলোকে অদৃশ্য করে দেবে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।