নিউইয়র্ক ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আবর্জনাবোঝাই আরো ৬০০ বেলুন দক্ষিণে পাঠাল উত্তর কোরিয়া

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • / ৭১ বার পঠিত

উত্তর কোরিয়া এক রাতে আবর্জনাবোঝাই আরো প্রায় ৬০০ গ্যাস বেলুন দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে সিউল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আবর্জনাবহনকারী বেলুনগুলো নেমে আসে। রয়টার্স লিখেছে, সিগারেটের ফেলে দেওয়া টুকরো, কাপড়, বাতিল কাগজ এবং প্লাস্টিকের আবর্জনা ছিল সেসব বেলুনে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বেলনগুলো কোথা থেকে উড়ে আসছে, সামরিক বাহিনী তা শুরু থেকে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আকাশে নজরদারি চালিয়ে বেলুনগুলো খুঁজে বের করেছে। বেলুনগুলোর নিচে ঝুলছিল আবর্জনার ব্যাগ। এর আগে বুধবারও কয়েকশ বেলুন দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠায় উত্তর কোরিয়া। পয়োঃবর্জ্যের মত আবর্জনাও ছিল সেসব বেলুনে। উত্তর কোরিয়া উপহাস করে বলেছিল, সেসব তাদের ‘আন্তরিকতার উপহার’। এর জবাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। সিউলের এক বিবৃতিতে উত্তরের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিন ওন-সিক রোববার সিঙ্গাপুরে শাংগ্রি-লা নিরাপত্তা সংলাপের অবকাশে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন লয়েডের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, বেলুনগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা অবস্থানের ওপর উত্তর কোরিয়ার যে কোনো হুমকি ও উসকানির সমন্বিত জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন তারা।

রোববার উত্তর গিয়ংসাং ও গ্যাংওয়ান প্রদেশ এবং সিউলের কিছু অংশে জরুরি সতর্কতা জারি করে স্থানীয় বাসিন্দাদের বেলুনের সংস্পর্শে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এ ধরনের বেলন দেখলে পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ময়লার বেলুনের জবাবে দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে আবার লাউড স্পিকার বাজানো শুরু করবে কি না, সে বিষয়ে আলোচনার জন্য রোববার বিকেলে বৈঠকে বসবে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী কমিটি। ২০১৮ সালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বিরল এক বৈঠকের পর দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে লাউড স্পিকারে প্রচার চালানো বন্ধ করেছিল।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আবর্জনাবোঝাই আরো ৬০০ বেলুন দক্ষিণে পাঠাল উত্তর কোরিয়া

প্রকাশের সময় : ০৭:০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

উত্তর কোরিয়া এক রাতে আবর্জনাবোঝাই আরো প্রায় ৬০০ গ্যাস বেলুন দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে সিউল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আবর্জনাবহনকারী বেলুনগুলো নেমে আসে। রয়টার্স লিখেছে, সিগারেটের ফেলে দেওয়া টুকরো, কাপড়, বাতিল কাগজ এবং প্লাস্টিকের আবর্জনা ছিল সেসব বেলুনে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বেলনগুলো কোথা থেকে উড়ে আসছে, সামরিক বাহিনী তা শুরু থেকে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আকাশে নজরদারি চালিয়ে বেলুনগুলো খুঁজে বের করেছে। বেলুনগুলোর নিচে ঝুলছিল আবর্জনার ব্যাগ। এর আগে বুধবারও কয়েকশ বেলুন দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠায় উত্তর কোরিয়া। পয়োঃবর্জ্যের মত আবর্জনাও ছিল সেসব বেলুনে। উত্তর কোরিয়া উপহাস করে বলেছিল, সেসব তাদের ‘আন্তরিকতার উপহার’। এর জবাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। সিউলের এক বিবৃতিতে উত্তরের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিন ওন-সিক রোববার সিঙ্গাপুরে শাংগ্রি-লা নিরাপত্তা সংলাপের অবকাশে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন লয়েডের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, বেলুনগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা অবস্থানের ওপর উত্তর কোরিয়ার যে কোনো হুমকি ও উসকানির সমন্বিত জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন তারা।

রোববার উত্তর গিয়ংসাং ও গ্যাংওয়ান প্রদেশ এবং সিউলের কিছু অংশে জরুরি সতর্কতা জারি করে স্থানীয় বাসিন্দাদের বেলুনের সংস্পর্শে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এ ধরনের বেলন দেখলে পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ময়লার বেলুনের জবাবে দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে আবার লাউড স্পিকার বাজানো শুরু করবে কি না, সে বিষয়ে আলোচনার জন্য রোববার বিকেলে বৈঠকে বসবে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী কমিটি। ২০১৮ সালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বিরল এক বৈঠকের পর দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে লাউড স্পিকারে প্রচার চালানো বন্ধ করেছিল।