নিউইয়র্ক ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ব্রুকলীনে ভারত ও ইসরাইলী পণ্য বর্জনের দাবীতে সমাবেশ

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৩:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
  • / ২৩৮ বার পঠিত

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপা যুক্তরাষ্ট্র শাখার উদ্যোগে ভারত এবং ইসরাইলী পন্য বর্জনের আহবান জানিয়ে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বাদ জুমা ব্রুকলীনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র জাগপার সভাপতি রহমতুল্লাহ ভূইয়া।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেখক ও সাংবাদিক সাঈদ তারেক, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র জাসাস-এর সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন, বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের উপদেষ্টা ছালেহ আহমেদ মানিক, আহসান উল্লাহ বাচ্ছু, কুয়েত বিএনপির নেতা মাহফুজুর রহমান, জাগপার সাংগঠনিক সম্পাদক মইন উদ্দিন আফসার, প্রচার সম্পাদক ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি, আনসার আলী, শহীদ উল্লাহ, কামাল হোসেন, আশরাফুল হাসান, আরমান হোসেন, ইসমাইল হোসেন, আব্দুল মান্নান দিদার, ইমরান হোসেন, জাবেদ হোসেন ও মনির হোসেন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নোমান সিদ্দিকী।

সমাবেশে বক্তারা সকল বিদেশী চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়ে যে কোন মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশে ভারতীয় ও ইসরাইলী পন্য বর্জন আন্দোলনের সাথে সংহতি জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি বক্তারা ভারতীয় আগ্রাসন ও সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদ জানান।

সমাবেশে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে রহমত উল্যাহ বলেন, ভারতীয় তাবেদার সরকারের ভারত তোষণনীতির কারণেই সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই ভারত সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সীমান্তে বিএসএফ নির্বিচারে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা করছে। এই হত্যাকান্ড বন্ধে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা রহস্যজনক। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সরকার প্রতিবাদ করতে পারছে না। বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার করতে পারলে বিজিবি সদস্যকে প্রাণ দিতে হতো না। কুড়িগ্রামে ফুলবাড়ী সীমান্তে বিনা উস্কানীতে বিএসএফ কর্তৃক বাবার সামনে কন্যাকে শিশু ফেলানীকে হত্যাসহ সারা বছর সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ-এর নিরীহ বাংলাদেশীদের হত্যা ভারতের আগ্রাসী চরিত্র ও সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির পরিচয় বহন করে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ব্রুকলীনে ভারত ও ইসরাইলী পণ্য বর্জনের দাবীতে সমাবেশ

প্রকাশের সময় : ১২:৩৩:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপা যুক্তরাষ্ট্র শাখার উদ্যোগে ভারত এবং ইসরাইলী পন্য বর্জনের আহবান জানিয়ে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বাদ জুমা ব্রুকলীনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র জাগপার সভাপতি রহমতুল্লাহ ভূইয়া।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেখক ও সাংবাদিক সাঈদ তারেক, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র জাসাস-এর সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন, বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের উপদেষ্টা ছালেহ আহমেদ মানিক, আহসান উল্লাহ বাচ্ছু, কুয়েত বিএনপির নেতা মাহফুজুর রহমান, জাগপার সাংগঠনিক সম্পাদক মইন উদ্দিন আফসার, প্রচার সম্পাদক ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি, আনসার আলী, শহীদ উল্লাহ, কামাল হোসেন, আশরাফুল হাসান, আরমান হোসেন, ইসমাইল হোসেন, আব্দুল মান্নান দিদার, ইমরান হোসেন, জাবেদ হোসেন ও মনির হোসেন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নোমান সিদ্দিকী।

সমাবেশে বক্তারা সকল বিদেশী চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়ে যে কোন মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশে ভারতীয় ও ইসরাইলী পন্য বর্জন আন্দোলনের সাথে সংহতি জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি বক্তারা ভারতীয় আগ্রাসন ও সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদ জানান।

সমাবেশে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে রহমত উল্যাহ বলেন, ভারতীয় তাবেদার সরকারের ভারত তোষণনীতির কারণেই সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই ভারত সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সীমান্তে বিএসএফ নির্বিচারে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা করছে। এই হত্যাকান্ড বন্ধে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা রহস্যজনক। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সরকার প্রতিবাদ করতে পারছে না। বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার করতে পারলে বিজিবি সদস্যকে প্রাণ দিতে হতো না। কুড়িগ্রামে ফুলবাড়ী সীমান্তে বিনা উস্কানীতে বিএসএফ কর্তৃক বাবার সামনে কন্যাকে শিশু ফেলানীকে হত্যাসহ সারা বছর সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ-এর নিরীহ বাংলাদেশীদের হত্যা ভারতের আগ্রাসী চরিত্র ও সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির পরিচয় বহন করে।