বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে ‘কুনু-আজম’ প্যানেলকে জয়ী করার আহ্বান
- প্রকাশের সময় : ০৫:৩০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
- / ৯৮৮ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন ঘিরে ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের সভা-সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। এসব সভায় ‘কুনু-আজম’ প্যানেলকে জয়ী করার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই জ্যামাইকা সহ বাংলাদেশী অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় এই প্যানেলের নির্বাচনী অফিস খোলা হয়েছে। অপরদিকে বিভিন্ন স্থানে প্যানেল পরিচিত সভার তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৩ অক্টোবর রোববার সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের দ্বি-বার্ষিক (২০১৭-২০১৮) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের নির্বাচনী শ্লোগান হচ্ছে- ‘সৃজনশীল, যোগ্য, সৎ, গতিশীল নেতৃত্বের প্রত্যাশায়’। খবর ইউএনএ’র।
‘কুনু-আজম’ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ২ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যা ৭টায় জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউস্থ পানসি রেষ্টুরেন্টে এই প্যানেলের পরিচিতি সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ৫ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় ফুলটনে, ৯ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যা ৭টায় ব্রুকলীনস্থ গ্রীজ হাউজ রেষ্টুরেন্টে, ১০ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় ব্রঙ্কসস্থ গোল্ডেন প্যালেস মিলনায়তনে ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের পরিচিত সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে জ্যামাইকার পরিচিতি সভা সফল করতে গত সপ্তাহে জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউস্থ একটি রেষ্টুরেষ্টে ‘কুন-আজম’ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৭ অক্টোবর সোমবার জ্যাকসন হাইট্স্থ সুর-ছন্দ শিল্পী গোষ্ঠীর কার্যালয়ে ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদপ্রার্থী সেলিম ইব্রাহিম ও সদস্য পদপ্রার্থী ডা. শাহনাজ আলম লিপির পক্ষে এক নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় । সভায় উপস্থিত কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সহ ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের পক্ষে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং সোসাইটির আগামী নির্বাচনে ডা: শাহনাজ ও সেলিম ইব্রাহিম সহ ‘কুনু-আজম’ প্যানেলকে জয়ী করার জন্য ভোটারদের প্রতি আহবান জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিউনিটির পরিচিত মুখ, ফোবানা-২০১৫ এর প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল কাদের চৌধুরী শাহীন। সভায় বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও ‘কুনু-আজম’ প্যানেলের অন্যতম নীতি নির্ধারক আবু নাসের, সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, এএএ কনসার্টিং-এর কর্নধার জাহাঙ্গীর আলম, বিশিষ্ট লেখক আবু রায়হান, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আব্দুল খালেক, সবুজ, এম এ কুদ্দুস, রুমিও রহমান, এলিজা মুক্তা, খাইরুল খোকন, বাবুল দেওয়ান, এম রহমান, সিদ্দিকুর রহমান, শাহনাজ বেগম, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী জিল্লুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদপ্রার্থী সেলিম ইব্রাহিম ও কার্যকরী সদস্য পদপ্রার্থী ডা: শাহনাজ লিপি। সভা পরিচালনা করেন প্রবাসের বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী বাবলী হক। সবশেষে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রবাসের বিশিষ্ট সঙ্গীত শিক্ষক এমদাদুল হক ।
‘কুনু-আজম’ প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন: সভাপতি- আজমল হোসেন কুনু, সিনিয়র সহ সভাপতি- মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, সহ সভাপতি- শফি আলম লাল, সাধারণ সম্পাদক- কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, কোষাধ্যক্ষ- নিশান রহিম, সহ সাধারণ সম্পাদক- মফিজুল ইসলাম ভুইয়া রুমি, সাংগঠনিক সম্পাদক- এ.কে.এম রফিকুল ইসলাম ডালিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মোহাম্মদ সেলিম ইব্রাহিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- মোহাম্মদ রিজু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক- মোহাম্মদ খান টিপু, সাহিত্য সম্পাদক- শেখ হায়দার আলী, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক- স¤্রাট হোসেন এমিলি, স্কুল ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক- ওয়াহিদ কাজী এলিন, কার্যকরী পরিষদ সদস্য- কাজী তোফায়েল ইসলাম, সরোয়ার খান বাবু, জামাল উদ্দিন, এমডি আশ্রাব আলী খান লিটন, আবুল কে আকন্দ ও শাহনাজ আলম লিপি।
‘কুনু-আজম’ প্যানেলের নির্বাচনী এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে: ১. বাংলাদেশ সোসাইটিকে আরো গ্রহণযোগ্য, গণমূখী, সর্বজনীন করে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সেবা প্রদান। ২. বাংলাদেশ ভবন বা কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন। ৩. নিউইয়র্কে স্থায়ী শহীদ মিনার , বাংলাদেশ ডে প্যারেড উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ ও সিটি হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালন অব্যাহত রাখা। ৪. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে প্রবাসীদেও সেতুবন্ধুন রচনা করে সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট থাকা। ৫. প্রবাসীদের মূলধারার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করে ফেডারেল, ষ্টেট ও সিটি হলের সকল সুযোগ-সুবিধা আদায়ে কাজ করা এবং ইমিগ্রেশন সহ সামাজিক নিরাপত্তার জন্য সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ। ৬. প্রবাসীদের স্বার্থে সকল আঞ্চলিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সংগঠন, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তাদেরকে সোসাইটির সাথে সম্পৃক্ত করে সোসাইটিকে আরো গতিশীল করা এবং ৭. নতুন প্রজন্মের জন্য বাংলা শিক্ষা কার্যক্রম ও ফ্রি আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু এবং বাংলাদেশী মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিযোগিতামূলক বৃত্তি প্রদান করে মেধা বিকাশে সহযোগিতা করা।