নিউইয়র্ক ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

৬ বছর পর জন্মদিনের পার্টিতে নিজের ‘মৃত’ মৃতকে খুঁজে পেলেন মা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪০ বার পঠিত

৬ বছর পর জন্মদিনের পার্টিতে নিজের ‘মৃত’ মেয়েকে খুঁজে পেলেন মা! মেট্রোয় প্রকাশিত হয়েছে একটা চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন। পেশা ইলেট্রিক্যাল মেকানিক যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার বাসিন্দা। ফিলাডেলফিয়া শহরে বছর পঁচিশের স্ত্রী লস কুয়েভাস ও তার দুই পুত্র সন্তানকে নিয়ে থাকতেন তিনি। কিন্তু কাজের সূত্রে তাকে বেশিরভাগ সময়েই বাড়ির বাইরে থাকতে হত। দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন কুয়েভাস। সংসার সামলাতেন তিনি। আর উপার্জনের গোটাটাই দায়িত্ব ছিল স্বামীর ওপর। পরিবারে কোনও আর্থিক সমস্যা ছিল না। দোতলার বাড়িতে ওপরের তলায় থাকত দুই সন্তান। একতলায় থাকতেন কুয়েভাস। তবে দুই ছেলে থাকা সত্ত্বেও কুয়েভাসের ইচ্ছা ছিল তাঁদের এক মেয়েও হোক।

কয়েক বছর বাদে কুয়েভাসের এক মেয়েও হয়। ভারী মিষ্টি হয়েছিল তাদের মেয়ে। হাসলে গালে টোলও পড়ত। সকলের আদরের ছিল পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য। মেয়ের নাম কুয়েভাস আদর করে রেখেছিল ডেলিমার ভিরা। তবে মেয়ে হওয়ার কিছুদিন পর কুয়েভাসরা তাদের বাড়ি বদলান।

নতুন বাড়িতে মেয়ের জন্মদিনের পার্টি রেখেছিলেন কুয়েভাস। তাদের নতুন বাড়িতে আত্মীয় পরিজনরা আমন্ত্রিত ছিলেন। সন্ধ্যা দারুণ কাটে তাদের। রাতের খাবার সেরে তখন সকলে বাড়ি ফিরে যান। দুই ছেলে ও মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে ঘরের কাজ করছিলেন কুয়েভাস। বাড়িতে থেকে গিয়েছিলেন কুয়েভাসেরই এক বান্ধবী। তাঁরা যখন কাজ করছিলেন. দোতলায় ভারী কিছু শব্দ শুনতে পান তারা। পরে দৌড়ে তারা সেখানে গিয়ে দেখেন, একটি ঘর থেকে আগুনের শিখা বেরিয়ে আসতে। দ্রুত দুই ছেলেকে ঘর থেকে বার করে নীচে পাঠিয়ে দেন কুয়েভাস। পরে দেখা যায়, ডেলিমারের ঘর দাউ দাউ করে জ্বলছে। যখন কোনওভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়, ঘরের ভিতরে ঢোকেন কুয়েভাস। কিন্তু মেয়েকে কোথাও খুঁজে পাননা । কেবল পুড়ে যায় তার দোলনা দেখতে পান।

তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখে জানিয়ে দেন, আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে ডেলিমারের। ঘরের ভিতর মানুষের চামড়া পোড়ারও প্রমাণ পান তদন্তকারীরা। জানা যায়, হিটার থেকেই আগুন লেগেছিল সেই রাতে বাড়িতে। কেস ক্লোজ হয়ে যায়। কিন্তু মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, এটা কোনওভাবে মনে করেন না কুয়েভাস। স্বামীর সঙ্গে নিত্য তার অশান্তি হতে থাকে। এরপর তাদের ডিভোর্সও হয়ে যায়। এই ঘটনার ৬ বছর বাদে কুয়েভাস একটি জন্মদিনের পার্টিতে যান। সেখানে একটি মেয়েকে দেখে তার মনে হয়, এটাই তার ডেলিমার। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, শিশুটির নাম ক্যারোলিনা। বুদ্ধি করে তার মাথা থেকে কয়েকটা চুল নিয়ে নেয়, ডিএনএ টেস্টের জন্য। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে বিশেষ সহযোগিতা পাননি তিনি। পরে এক নেতার সাহায্যে এই কেসটা আবারও তদন্ত শুরু হয়।

ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট বলে দেয়, ক্যারোলিনাই তার ডেলিমার। তদন্তে জানা যায়, যে বান্ধবী ওই রাতে কুয়েভাসকে সাহায্য করার নামে থেকে গিয়েছিলেন, তিনিই আসলে ডেলিমারকে চুরি করেছিলেন। কারণ তার কোনও সন্তান হচ্ছিল না। তিনি ঘরেই আগুন ধরিয়েছিলেন। আর আগুন ধরানোর আগে ডেলিমারকে ঘরের বাইরে রেখে এসেছিলেন। ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

৬ বছর পর জন্মদিনের পার্টিতে নিজের ‘মৃত’ মৃতকে খুঁজে পেলেন মা

প্রকাশের সময় : ১২:৫৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

৬ বছর পর জন্মদিনের পার্টিতে নিজের ‘মৃত’ মেয়েকে খুঁজে পেলেন মা! মেট্রোয় প্রকাশিত হয়েছে একটা চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন। পেশা ইলেট্রিক্যাল মেকানিক যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার বাসিন্দা। ফিলাডেলফিয়া শহরে বছর পঁচিশের স্ত্রী লস কুয়েভাস ও তার দুই পুত্র সন্তানকে নিয়ে থাকতেন তিনি। কিন্তু কাজের সূত্রে তাকে বেশিরভাগ সময়েই বাড়ির বাইরে থাকতে হত। দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন কুয়েভাস। সংসার সামলাতেন তিনি। আর উপার্জনের গোটাটাই দায়িত্ব ছিল স্বামীর ওপর। পরিবারে কোনও আর্থিক সমস্যা ছিল না। দোতলার বাড়িতে ওপরের তলায় থাকত দুই সন্তান। একতলায় থাকতেন কুয়েভাস। তবে দুই ছেলে থাকা সত্ত্বেও কুয়েভাসের ইচ্ছা ছিল তাঁদের এক মেয়েও হোক।

কয়েক বছর বাদে কুয়েভাসের এক মেয়েও হয়। ভারী মিষ্টি হয়েছিল তাদের মেয়ে। হাসলে গালে টোলও পড়ত। সকলের আদরের ছিল পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য। মেয়ের নাম কুয়েভাস আদর করে রেখেছিল ডেলিমার ভিরা। তবে মেয়ে হওয়ার কিছুদিন পর কুয়েভাসরা তাদের বাড়ি বদলান।

নতুন বাড়িতে মেয়ের জন্মদিনের পার্টি রেখেছিলেন কুয়েভাস। তাদের নতুন বাড়িতে আত্মীয় পরিজনরা আমন্ত্রিত ছিলেন। সন্ধ্যা দারুণ কাটে তাদের। রাতের খাবার সেরে তখন সকলে বাড়ি ফিরে যান। দুই ছেলে ও মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে ঘরের কাজ করছিলেন কুয়েভাস। বাড়িতে থেকে গিয়েছিলেন কুয়েভাসেরই এক বান্ধবী। তাঁরা যখন কাজ করছিলেন. দোতলায় ভারী কিছু শব্দ শুনতে পান তারা। পরে দৌড়ে তারা সেখানে গিয়ে দেখেন, একটি ঘর থেকে আগুনের শিখা বেরিয়ে আসতে। দ্রুত দুই ছেলেকে ঘর থেকে বার করে নীচে পাঠিয়ে দেন কুয়েভাস। পরে দেখা যায়, ডেলিমারের ঘর দাউ দাউ করে জ্বলছে। যখন কোনওভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়, ঘরের ভিতরে ঢোকেন কুয়েভাস। কিন্তু মেয়েকে কোথাও খুঁজে পাননা । কেবল পুড়ে যায় তার দোলনা দেখতে পান।

তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখে জানিয়ে দেন, আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে ডেলিমারের। ঘরের ভিতর মানুষের চামড়া পোড়ারও প্রমাণ পান তদন্তকারীরা। জানা যায়, হিটার থেকেই আগুন লেগেছিল সেই রাতে বাড়িতে। কেস ক্লোজ হয়ে যায়। কিন্তু মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, এটা কোনওভাবে মনে করেন না কুয়েভাস। স্বামীর সঙ্গে নিত্য তার অশান্তি হতে থাকে। এরপর তাদের ডিভোর্সও হয়ে যায়। এই ঘটনার ৬ বছর বাদে কুয়েভাস একটি জন্মদিনের পার্টিতে যান। সেখানে একটি মেয়েকে দেখে তার মনে হয়, এটাই তার ডেলিমার। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, শিশুটির নাম ক্যারোলিনা। বুদ্ধি করে তার মাথা থেকে কয়েকটা চুল নিয়ে নেয়, ডিএনএ টেস্টের জন্য। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে বিশেষ সহযোগিতা পাননি তিনি। পরে এক নেতার সাহায্যে এই কেসটা আবারও তদন্ত শুরু হয়।

ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট বলে দেয়, ক্যারোলিনাই তার ডেলিমার। তদন্তে জানা যায়, যে বান্ধবী ওই রাতে কুয়েভাসকে সাহায্য করার নামে থেকে গিয়েছিলেন, তিনিই আসলে ডেলিমারকে চুরি করেছিলেন। কারণ তার কোনও সন্তান হচ্ছিল না। তিনি ঘরেই আগুন ধরিয়েছিলেন। আর আগুন ধরানোর আগে ডেলিমারকে ঘরের বাইরে রেখে এসেছিলেন। ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব।