নিউইয়র্ক ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বই থেকে মানুষের চামড়ার মলাট সরাচ্ছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৫৮ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ২০১৪ সালে মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধাই করা একটি বই শনাক্ত হয়। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বুধবার (২৭ মার্চ) বইটির মলাট সরানোর ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবার এক বিবৃতিতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বইটির মানুষের মলাট সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মানুষের শরীরের এ চামড়া যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে নিষ্পন্ন করা হবে।

১৮৮০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে ‘আত্মার গন্তব্য’ নামের বইটি লেখেন ফরাসি উপন্যাসিক আর্সেন হাউসে। এতে আত্মার প্রকৃতি ও মৃত্যুপরবর্তী জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়ছে। ১৯৩৪ সাল থেকে বইটি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হাউটন লাইব্রেরিতে রয়েছে। ২০১৪ সালে বইটির মলাট মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধাই করা বলে জানা যায়। এটা নিয়ে বিশ্বে তোলপাড় তৈরি হয়।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা বইটির প্রথম মালিক ফরাসি ডাক্তার চিকিৎসক লুডোভিক বোল্যান্ড। তিনিই বইটি মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধাই করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিজের হাসপাতালে থাকা এক মৃত নারী রোগীর চামড়া দিয়েই তা করা হয়েছে। কিন্তু তা করার ক্ষেত্রে মরার আগে রোগী বা মরার পর রোগীর আত্মীয়দের সম্মতি নেওয়া হয়নি।

২০১৪ সালে শনাক্ত হওয়ার পর বইটি গবেষণায় নতুন খোরাক জোগাবে বলে উৎসাহব্যঞ্জক একটি বিবৃতি দিয়েছিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এ ধরনের বিবৃতি দেওয়ার জন্য পরবর্তীতে তারা ক্ষমা চেয়েছে। ১৫০০ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের চামড়া দিয়ে বই বাঁধাইয়ের প্রচলন শুরু হয়। ১৮০০ সালেও তা কিছুটা জনপ্রিয় ছিল। বর্তমানে এটা নিষিদ্ধ। সূত্র : গার্ডিয়ান

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বই থেকে মানুষের চামড়ার মলাট সরাচ্ছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশের সময় : ০১:৫৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ২০১৪ সালে মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধাই করা একটি বই শনাক্ত হয়। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বুধবার (২৭ মার্চ) বইটির মলাট সরানোর ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবার এক বিবৃতিতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বইটির মানুষের মলাট সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মানুষের শরীরের এ চামড়া যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে নিষ্পন্ন করা হবে।

১৮৮০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে ‘আত্মার গন্তব্য’ নামের বইটি লেখেন ফরাসি উপন্যাসিক আর্সেন হাউসে। এতে আত্মার প্রকৃতি ও মৃত্যুপরবর্তী জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়ছে। ১৯৩৪ সাল থেকে বইটি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হাউটন লাইব্রেরিতে রয়েছে। ২০১৪ সালে বইটির মলাট মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধাই করা বলে জানা যায়। এটা নিয়ে বিশ্বে তোলপাড় তৈরি হয়।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা বইটির প্রথম মালিক ফরাসি ডাক্তার চিকিৎসক লুডোভিক বোল্যান্ড। তিনিই বইটি মানুষের চামড়া দিয়ে বাঁধাই করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিজের হাসপাতালে থাকা এক মৃত নারী রোগীর চামড়া দিয়েই তা করা হয়েছে। কিন্তু তা করার ক্ষেত্রে মরার আগে রোগী বা মরার পর রোগীর আত্মীয়দের সম্মতি নেওয়া হয়নি।

২০১৪ সালে শনাক্ত হওয়ার পর বইটি গবেষণায় নতুন খোরাক জোগাবে বলে উৎসাহব্যঞ্জক একটি বিবৃতি দিয়েছিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এ ধরনের বিবৃতি দেওয়ার জন্য পরবর্তীতে তারা ক্ষমা চেয়েছে। ১৫০০ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের চামড়া দিয়ে বই বাঁধাইয়ের প্রচলন শুরু হয়। ১৮০০ সালেও তা কিছুটা জনপ্রিয় ছিল। বর্তমানে এটা নিষিদ্ধ। সূত্র : গার্ডিয়ান