বাংলাদেশে গত এক যুগে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে মধ্যপ্রাচ্যের অবদান সামান্য
- প্রকাশের সময় : ০৫:২৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
- / ৮৪ বার পঠিত
স্বাধীনতার পর থেকেই উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্রমাগত উন্নয়নে জোর দিয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে আশির দশকে জনশক্তি রফতানি শুরুর পর থেকেই এ বিষয়ে বাড়তি মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। যদিও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বিশেষ করে অবকাঠামো খাতে এসব দেশকে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো বড় ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, বিগত এক যুগে এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ অর্থায়ন এসেছে সাকল্যে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারেরও কম।
সৌদি আরবের অর্থায়নে নারায়ণগঞ্জে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণে ৪৫ মিলিয়ন (সাড়ে ৪ কোটি) ডলারের একটি ঋণ চুক্তি হয়েছিল ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের লেবুখালিতে পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ঋণ অর্থায়ন হয়েছে ১২৮ মিলিয়ন (১২ কোটি ৮০ লাখ) ডলার। এর মধ্যে কুয়েত থেকে এসেছে ৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) থেকে এসেছে ৩০ মিলিয়ন (৩ কোটি) ডলার। এ দুই প্রকল্পসহ ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত এক যুগে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশ ও সংস্থাগুলো থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে মোট অর্থায়ন হয়েছে ৯১৩ মিলিয়ন (৯১ কোটি ৩০ লাখ) ডলারের কিছু বেশি।
অর্থায়নের পাশাপাশি দেশগুলো থেকে প্রতিশ্রুত অর্থের ছাড়ও এখন কমে এসেছে। ইআরডির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের অনুকূলে অর্থছাড় হয়েছে ৪৭ মিলিয়ন ডলার। যদিও চলতি অর্থবছরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মোট ১১৬ মিলিয়ন ডলার অর্থ ছাড় হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আর গত অর্থবছরের (২০২২-২৩) একই সময়ে দেশগুলো থেকে অর্থায়ন হয়েছিল ৬২ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোয় বিনিয়োগ ও অর্থায়নের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রায় প্রতিটিরই বড় অংকের বেশকিছু তহবিল রয়েছে। যদিও এসব তহবিল থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে দেশগুলোকে সেভাবে আকর্ষণ করা যায়নি। এর কারণ সম্পর্কে বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশগুলোর সামনে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ও সম্ভাবনাগুলোকে আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরা যায়নি। এ বিষয়ে জোর দেয়ার পাশাপাশি কার্যকর কর্মসূচি হাতে নিতে হবে।
সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এ বিষয়ে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় প্রচুর পরিমাণ ফান্ড রয়েছে। তবে এসব ফান্ড থেকে বিনিয়োগ পেতে হলে রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি এ-সংক্রান্ত সেমিনার-সিম্পোজিয়াম ও আলোচনারও প্রয়োজন আছে। দেশে বিনিয়োগের পরিবেশকে তাদের চাহিদামতো উন্নত করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে হবে। সামনে আমাদের আরো বহুমুখী বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়বে। তাই দেশের সম্ভাবনাগুলোকে নিয়ে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি যথাযথ ব্র্যান্ডিংও করতে হবে। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইআরডিকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।’
মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনীতি সৌদি আরব। দেশটি বাংলাদেশে অর্থায়ন করে সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের (এসএফডি) মাধ্যমে। এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশও বিনিয়োগ-অর্থায়নের জন্য এমন বেশকিছু তহবিল গড়ে তুলেছে। যেমন কুয়েত অর্থায়ন করে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের (কেএফএইডি) মাধ্যমে। আবার ওপেকভুক্ত আরব দেশগুলো সম্মিলিতভাবে গড়ে তুলেছে ওএফআইডি। এছাড়া দেশগুলোর পক্ষ থেকে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকও (আইডিবি) বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিয়ে থাকে। ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, এ চার সংস্থার মাধ্যমে গত ১২ বছরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এসেছে ৯১৩ মিলিয়ন ডলার। এসব সংস্থা থেকে ছোট ছোট প্রকল্পে ঋণ পাওয়া গেলেও বড় ধরনের কোনো ঋণ সহায়তা আসেনি।
এখন পর্যন্ত উন্নয়ন প্রকল্পে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সবচেয়ে বড় ঋণ অর্থায়ন এসেছে আইডিবির মাধ্যমে বিদ্যুতের সঞ্চালন গ্রিড সম্প্রসারণ প্রকল্পে। এ প্রকল্পে ১৬৫ মিলিয়ন (১৬ কোটি ৫০ লাখ) ডলার ঋণ অর্থায়নে ২০১৪ সালে চুক্তিবদ্ধ হয় আইডিবি।
গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়ার বিষয়ে ২০১৫ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি করে সংস্থাটি। একই বছরে সংস্থাটির সঙ্গে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে ৩০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণচুক্তি করে এলজিইডি। ওই বছরেই তিস্তা নদীর ওপর সেতু নির্মাণে ৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি করে ওএফআইডি। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপনে এসএফডির মাধ্যমে ২০১৭ সালে ৩০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দেয় সৌদি আরব। একই বছরে পানি সরবরাহ এবং কৃষি খাতের আলাদা দুটি প্রকল্পে মোট ১৩২ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয় আইডিবি।
নগর অবকাঠামো উন্নয়নে ২০১৮ সালে কেএফএইডির মাধ্যমে ৫১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয় কুয়েত। ২০২১ সালে পানগুছি সেতু নির্মাণে আরো ৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি করে দেশটি। একই বছর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণে ৭৫ মিলিয়ন ডলারের ঋণ গ্রহণে ওপেক ফান্ডের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ। এসএমই খাতের উন্নয়নে আইডিবি থেকে একই বছরে ৪৭ মিলিয়ন ডলারের ঋণ পাওয়া যায়। সংস্থাটি স্যানিটেশন খাতে ৫৬ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দেয়ার বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয় ২০২২ সালে।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশে যে ঋণ অর্থায়ন হয়, তা একেবারেই যৎসামান্য। প্রতিবেশী ভারতে কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বিপুল পরিমাণ অর্থায়ন রয়েছে। ইউএই ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে ৭৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ ও মধ্যপ্রাচ্য দুদিকেই ধারণাগত কিছু বিষয় আছে। মধ্যপ্রাচ্য এখনো বাংলাদেশকে লো-এন্ডের (সস্তা ও অদক্ষ) শ্রমশক্তি সরবরাহকারী দেশ হিসেবেই দেখে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে তাদের কোনো স্বচ্ছ ধারণা নেই। আবার এ অবস্থার পরিবর্তনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাগুলোয়ও তেমন কোনো ধারাবাহিকতা দেখা যায় না। মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক-সামাজিক রূপান্তরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টিতেও ঘাটতি রয়েছে। যদিও প্রতিবেশী দেশ ভারত বিষয়গুলো অনুধাবন করে দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের কূটনীতিকে পেশাদার করতে হবে। শুধু শ্রমশক্তিকেন্দ্রিক থাকলে সেটা হবে না। বাণিজ্য, বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলোর সম্ভাবনা উন্মোচনের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক পেশাদারত্ব দরকার। এক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানো দরকার। সংশ্লিষ্টদের আরবি ভাষায় দক্ষতা গড়ে তুলতে হবে। বিনিয়োগ প্রচারণা বাড়ানোর জন্যই এগুলো বেশি প্রয়োজন। সামগ্রিকভাবে বলা যায় অর্থনীতি থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের যে রূপান্তর ঘটেছে সেটার সঙ্গে সংগতি রেখে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে বাংলাদেশের মনোযোগী হতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন হয় সৌদি আরব থেকে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশে দেশটি থেকে অর্থায়ন এসেছে ১ হাজার ৯৭ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে অনুদানই এসেছে ৫৮৭ মিলিয়ন ডলারের। আর একই সময়ে আইডিবি থেকে অর্থায়ন এসেছে ১ হাজার ৩৯৯ মিলিয়ন ডলারের।
কূটনীতিক মহলের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বাংলাদেশে আসা নিয়ে অনেক দিন ধরে আলোচনা চলছে। কিন্তু তাকে প্রস্তাব দেয়ার মতো কোনো প্রকল্প বাংলাদেশ তৈরি করতে পারছে না। যদিও তারা এখানে বেশকিছু প্রকল্প শুরু করতে আগ্রহী। ইউএইর পক্ষ থেকে বেশকিছু প্রকল্প প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেগুলোও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে। মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনৈতিক শক্তি কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তুতিও যৎসামান্য।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অর্থায়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের অবদান না বাড়ার ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গির বিষয় রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য এখনো বাংলাদেশকে দারিদ্র্যপীড়িত ও সস্তা শ্রমিক সরবরাহকারী দেশ মনে করে। বাংলাদেশ যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তি, সে ধারণাটা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এখনো পায়নি। আমরা আমাদের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা মধ্যপ্রাচ্যকে ঠিকমতো অবগত করতে পারিনি। আবার আমরা যা বলি তারা তা বিশ্বাস করে না, এমনটাও হতে পারে। তারা বলতে পারে যে আপনার দেশ যদি উন্নতি করে তাহলে বাংলাদেশ এখনো কেন সস্তা শ্রমের উৎস? স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও অর্থায়নে মধ্যপ্রাচ্য এখনো অনাগ্রহী। যারা বিনিয়োগ করতে চেয়েছে, তারা বাংলাদেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আগ্রহ হারিয়েছে। দেখা যায় মধ্যপ্রাচ্যের প্রস্তাবগুলো বছরের পর বছর পড়ে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সাত-আটটি ভালো প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু যথাসময়ে যাচাই-বাছাই করে আমরা কোনোটি নিয়েই অগ্রসর হতে পারিনি। আরেকটি বিষয় উদাহরণ হিসেবে বলছি, সেটা হলো মধ্যপ্রাচ্যের নগদ অর্থ রয়েছে, সেই অর্থ দিয়ে তারা একটা রেডি থাকা হোটেল হয়তো কিনতে আগ্রহী। কিন্তু একটা গোটা হোটেল তারা বানাবেন, এমন আগ্রহ খুব দেখা যায় না। এসব কারণেই মধ্যপ্রাচ্যের অর্থায়ন বাংলাদেশে অনেক কম। যদিও ভারতে অনেক অর্থায়ন রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের।’
তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ এখন আরো জোরালো করা হচ্ছে বলে দাবি কূটনৈতিক মহলসংশ্লিষ্টদের। এরই ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর শীর্ষ নেতারাও এখন বাংলাদেশ সফরে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি আগামী ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন। দুই দিনের এ সফরে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি রফতানি ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয় গুরুত্ব পাবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এমএ মান্নান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে উৎসাহিত করার জন্য নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু তারা তো তাদের ব্যবসা না পেলে বিনিয়োগ করবে না। তাছাড়া আফ্রিকার দিতে তাদের নজর বেশি। সেদিকে তারা বেশি বিনিয়োগ করছে। কিন্তু আমাদের দেশে হাসপাতাল, স্কুল, রাস্তা নির্মাণে তেমন একটা সহায়তা করছে না। যদিও তারা ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু সেখানে ঋণের শর্ত, সুদের হার এবং আলোচনার মাধ্যমে ঋণ পাওয়ার বিষয় জড়িত রয়েছে। সর্বোপরি ঋণ অর্থায়নের উৎস হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য এখনো তেমন উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি।’ সূত্র :বণিক বার্তা
হককথা/নাছরিন