নিউইয়র্ক ০২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

হাসিনা-খেসার বৈঠক, তিন সমঝোতা সই

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
  • / ১০৪ বার পঠিত

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকা সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। এরপর দুই নেতার উপস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক তিনটি সমঝোতা সই ও একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে।

সোমবার সকালে চারদিনে রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন জিগমে খেসার। সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী রানি জেৎসুন পেমা, রাজ পরিবার ও মন্ত্রীসভার সদস্যরা এবং ভুটানের সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।বেলা সোয়া একটার দিকে স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান ভুটানের রাজা। টাইগার গেটে তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এরপরই সমঝোতা ও চুক্তি সইয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়। সই করা সমঝোতার মধ্যে রয়েছে- থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা।

আর বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তিটি নবায়ন করা হয়। সকাল সোয়া দশটার দিকে ড্রুক এয়ার বা রয়েল ভুটান এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন রাজা। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাজাকে দেওয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল ভুটানের রাজাকে গার্ড অব অনার দেন। এ সময় গার্ড পরিদর্শন করেন তিনি।

জানুয়ারির নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর কোনো রাষ্ট্র প্রধানের এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। ঢাকায় পৌঁছেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভুটানের রাজা।

মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন রাজা। সেখান থেকে ফিরে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করবেন তিনি।

বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং বঙ্গভবনে তার সৌজন্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দেয়া রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বুধবার পদ্মা সেতু পরিদর্শন করবেন ভুটানের রাজা। সেখান থেকে যাবেন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে।

জিগমে খেসার বৃহস্পতিবার সকালে যাবেন কুড়িগ্রামে। সেখানকার বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পরিদর্শন করবেন। ওইদিনই সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে চারদিনের বাংলাদেশ সফর শেষে ভুটান যাবেন। সোনাহাট স্থলবন্দরে ভুটানের রাজাকে গার্ড অব অনার দেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি। তাকে বিদায় জানাবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সূত্র : একাত্তর টিভি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

হাসিনা-খেসার বৈঠক, তিন সমঝোতা সই

প্রকাশের সময় : ১২:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকা সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। এরপর দুই নেতার উপস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক তিনটি সমঝোতা সই ও একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে।

সোমবার সকালে চারদিনে রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন জিগমে খেসার। সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী রানি জেৎসুন পেমা, রাজ পরিবার ও মন্ত্রীসভার সদস্যরা এবং ভুটানের সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।বেলা সোয়া একটার দিকে স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান ভুটানের রাজা। টাইগার গেটে তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এরপরই সমঝোতা ও চুক্তি সইয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়। সই করা সমঝোতার মধ্যে রয়েছে- থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা।

আর বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তিটি নবায়ন করা হয়। সকাল সোয়া দশটার দিকে ড্রুক এয়ার বা রয়েল ভুটান এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন রাজা। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাজাকে দেওয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল ভুটানের রাজাকে গার্ড অব অনার দেন। এ সময় গার্ড পরিদর্শন করেন তিনি।

জানুয়ারির নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর কোনো রাষ্ট্র প্রধানের এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। ঢাকায় পৌঁছেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভুটানের রাজা।

মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন রাজা। সেখান থেকে ফিরে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করবেন তিনি।

বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং বঙ্গভবনে তার সৌজন্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দেয়া রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বুধবার পদ্মা সেতু পরিদর্শন করবেন ভুটানের রাজা। সেখান থেকে যাবেন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে।

জিগমে খেসার বৃহস্পতিবার সকালে যাবেন কুড়িগ্রামে। সেখানকার বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পরিদর্শন করবেন। ওইদিনই সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে চারদিনের বাংলাদেশ সফর শেষে ভুটান যাবেন। সোনাহাট স্থলবন্দরে ভুটানের রাজাকে গার্ড অব অনার দেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি। তাকে বিদায় জানাবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সূত্র : একাত্তর টিভি।