ওয়াশিংটন ডিসিতে দু’টি, নিউইয়র্কে আরো একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি
- প্রকাশের সময় : ০৩:০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০১৬
- / ৭৫৬ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের লেবার ডে উইকেন্ড ঘিরে আগামী ২-৪ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্ক ষ্টেটে পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসির উদ্যোগে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হতে যাচেছ ফেডারেশন অব বাংলাদেশী এসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা (ফোবানা)-এর ৩০তম আসর। আর বাংলাদেশী আমেরিকান কালচারাল অর্গানাইজেশন (বাকোডিসি)-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ কালচারাল নাইট। অপরদিকে ইন্টারফেইথ হারমনি এন্ড ওয়ার্ল্ড পিস-এর আয়োজনে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্চে বাংলাদেশ সম্মেলন-২০১৬। অনুষ্ঠানগুলো আয়োজনে চলছে প্রস্তুতি।
ফোবানা বাংলাদেশ সম্মেলনের আদলে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ সম্মেলন হবে জ্যাকসন হাইটস্থ বেল্লোজিলো মিলনায়তনে। এই সম্মেলনের কো-হোস্ট হচ্ছে: বাংলাদেশ কনভেনশন নর্থ আমেরিকা। সম্মেলনের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেমিনার, ট্যালেন্ট শো, ফ্যাশন শো, কাব্য জলসা আর রকমারী স্টল। এই সম্মেলনের কনভেনরহচ্ছেন আলমগীর খান আলম, প্রেসিডেন্ট শাহীন কবীর আর মেম্বার সেক্রেটারী আসাদুল ইসলাম আসাদ।
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে শামসুদ্দিন মাহমুদ জানান: বাংলাদেশ এসোশিয়ন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসির উদ্যোগে আগামী ২,৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হতে যাচেছ ফোবানার ৩০তম আসর। অন্যদিকে বাংলাদেশী আমেরিকান কালচারাল অর্গানাইজেশন (বাকোডিসি) এর উদ্যোগে ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর ক্রিষ্টাল সিটির হলিডে ইন-এ অনুষ্ঠিত হতে যাচেছ ‘বাংলাদেশ কালচারাল নাইট’। ওয়াশিংটন ডিসিতে ওয়াকিং দুরত্বে দু’টি অনুষ্ঠান নিয়ে ইতিমধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ওয়াশিংটন ডিসি’র বাংলাদেশী কমিউনিটি।
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফোবানা দ্বিধা বিভক্ত। যেখানে ফোবানা সেখানে বিভক্ত বাংলাদেশ কমিউনিটি। অন্তত ফোবানার ইতিহাস তাই বলে। ফোবানার জন্ম ওয়াশিংটনে হলেও উত্তর আমেরিকার গত ২৯ বছরে ফোবানা’র অনেক অনুষ্ঠান করেছে। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে লাখ লাখ ডলার খরছ হলেও কমিউনিটির প্রাপ্তি নিয়ে এখনো যথেষ্ট সন্দেহ করার কারণ অনেক। তাছাড়া এ আয়োজনকে নিয়ে কমিউনিটিতে বিভাজন নতুন বিষয় নয়।
বেশী দুরে না গিয়ে এই ওয়াশিংটনের উদাহরণ দিয়ে শুরু করা যাক। ২০১১ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে দু’টি ফোবানার আসর বসেছিল। একটি গেটওয়ে ম্যারিয়টে, অন্যটি ওয়াকিং দুরত্বে হিলটন ক্রিসটল সিটিতে। আজকের ফোবানার আয়োজক কমিটির অনেকে তখন দ্বিধা বিভক্ত ফোবনা কমিটিতে ছিলেন। যারা বিরোধিতা করেছিলেন তারাও আজকের ফোবানার আয়োজক কমিটিতে আছেন। আয়োজক কমিটির উচিত ছিল অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সকল গ্রুপ ও দলকে ঐক্যবদ্ধ করা। ওয়াশিংটন ডিসি মেট্রো এরিয়ায় ৪০ হাজার বাংলাদেশীর বসবাস। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছ ফোবানা এ সকল বাংলাদেশীদের আস্থা রাখতে পুরোপুরি সক্ষম নয়। স্পন্সর এবং ডোনারদের থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করা হলেও ২০ ডলার থেকে ১০০ ডলার এন্ট্রি ফি নেয়ার যুক্তিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। সবার প্রশ্ন যদি ফোবানার মুল লক্ষ্য বাংলাদেশীদের আনন্দ দেওয়ার জন্য হয় তাহলে এন্ট্রি ফি কেন।
এদিকে বাংলাদেশ আমেরিকান অরগানাইজন অব ডিসি এন্টি ফ্রি করে সকলের জন্য অনুষ্ঠানটি উম্মুক্ত করেছেন। এদিকে শোনা যায় সকলের মত প্রকাশের স্বাধীনতার দেশে ফোবানার আয়োজক কমিটি কর্তৃক বাংলাদেশ আমেরিকান অরগানাইজন অব ডিসির নেতৃবৃন্দকে এবং যেসকল শিল্পী ও কলাকৌশলী বাংলাদেশ কালচারাল নাইট এ অংশ নেবে তাদেরকে হুমকি এবং আগামীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বয়কটের আহবান জানিয়েছেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসরত বাংলাদেশীরা মনে করেন যদি বেশী অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে ততবেশী আমরা আমাদের বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পারব। কেউ অর্থ খরচ করতে চাইলে ফোবানাতে যাবেন আর ফ্রি চাইলে বাংলাদেশ কালচারার নাইটে এ যাবেন।