হাজী ওবায়দুল হকের পুত্র কচির দাফন কোম্পানীগঞ্জে
- প্রকাশের সময় : ০৩:৩১:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৪
- / ৮০৮ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: ব্রঙ্কসে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত কমিউনিটির পরিচিত মুখ ওবায়দুল হকের পুত্র মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন হক ওরফে মোহাম্মদ হক কচির মরদেহ তার গ্রামের বাড়ী নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জে দাফন করা হয়েছে। বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি ইউএসএ ও চার্চ-ম্যকডোনাল্ড বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন (সিএমবিবিএ)-এর সাবেক সভাপতি, ব্রুকলীনের প্রগতি গ্রোসারীর স্বত্তাধিকারী হাজী ওবায়দুল হকের পুত্র কচি গত ২৪ নভেম্বর নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে এক সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিলো মাত্র ৩৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও দুই কন্যাসহ অনেক আতœীয়-স্বজন রেখে গেছেন। কচির অকাল মৃত্যুতে ব্রুকলীন প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নোয়াখালী থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর শুক্রবার অপরাহ্নে কচির মরদেহ তার গ্রামের বাড়ীতে দাফন করা হয়। দাফনের আগে সেখানে আরেক দফা জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে কচি’র নামাজে জানাজা গত ২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বাদ মাগরিব ব্রুকলীনের এভিনিউ সি’র উপর প্রতিষ্ঠিত দারুল জান্নাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী জানাজায় শরীক হন। পরদিন ২৬ নভেম্বর বুধবার কচির মরদেহ ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা থেকে তার মরদেহ কোম্পানীগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, পিতা হাজী ওবায়দুল হক দেশে অবস্থানকালেই তার পুত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পান। পরবর্তীতে পারিবারিক সিদ্ধান্তে কচির মরদেহে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
জানা গেছে, সুদর্শন কচি গত ২৪ নভেম্বর সোমবার ভোর রাতে সোয়া তিনটার দিকে একাকী গাড়ী যোগে ব্রঙ্কস থেকে ব্রুকলীনস্থ বাসায় ফেরার পথে মারাত্বক দূর্ঘটনার শিকার হন। ধারণা করা হচ্ছে দ্রুতগতিতে গাড়ী চালানোর সময় কচি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেললে তার গাড়িটি (ফোর্ড এক্সপ্লোরার) একটি পাশ্ববর্তী গাছের সাথে ধাক্কা খেলে মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশের ধারণা ঘটনাস্থলেই কচি মৃত্যুবরণ করেছেন। দূর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে পুলিশী তদন্ত চলছে জানা গেছে।