এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে পিএসজি
																
								
							
                                - প্রকাশের সময় : ০২:৪০:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
 - / ১১১ বার পঠিত
 
ফরাসি লিগ ওয়ানে চলতি মৌসুমে পুরো নব্বই মিনিট খেলানো হয়নি শেষ কয়েক ম্যাচে এমবাপেকে! যা নিয়ে বেশ তোপের মুখে পড়েন কোচ লুইস এনরিকে। সেই তোপের মুখে হোক বা অন্য কারণে, রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটের দৌড়ে ওঠার জন্য এমবাপেকে পুরো সময়ই খেলান পিএসজি কোচ। তিনি কেন গুরুত্বপূর্ণ, আর তার প্রমাণ মাঠেই দেখালেন ২০১৮ সালের বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপের জোড়া গোলে ২-১ ব্যবধানে রেয়াল সোসিয়েদাদকে হারায় এনরিকের দল। তাতে দুই লিগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল পিএসজি।
এদিন ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় পিএসজি। বক্সে ফাবিয়ান রুইসের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে এমবাপের ডান পায়ের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। দশম মিনিটে এমবাপের পাসে কাছ থেকে বারকোলার শট ঠেকান সোসিয়েদাদ গোলরক্ষক আলেক্স রেমিরো।
পঞ্চদশ মিনিটে দারুণ গোলে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপে। উসমান দেম্বেলের থ্রু বল বক্সের ভেতর বাঁ দিকে নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি। এরপর প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে জায়গা বানিয়ে ডান পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান বিশ্বকাপ জয়ী তারকা।
প্রথম লেগেও দলের প্রথম গোলটি করেছিলেন এমবাপে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চলতি মৌসুমে ৪০ গোলে সম্পৃক্ত থাকলেন তিনি (৩৩ গোল, ৭ অ্যাসিস্ট)। সংখ্যাটা বাড়তে পারত ২৯তম মিনিটে। ডান দিক থেকে বারকোলার পাসে কাছ থেকে এমবাপের নিচু শট কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকান রেমিরো।
আক্রমণে আধিপত্য ধরে রেখে প্রথমার্ধে গোলের জন্য ৬টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রাখে পিএসজি। এই সময়ে সোসিয়েদাদের ২ শটের একটি লক্ষ্যে ছিল। ৫৬তম মিনিটে গোলের সংখ্যা বাড়িয়ে দলকে শেষ আটের পথে এগিয়ে নেন এমবাপে। মাঝমাঠ থেকে লি কাং-ইনের বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৬৯ ম্যাচে এমবাপের গোল হলো ৪৬টি। চলতি মৌসুমে ৬ গোল করে যৌথভাবে সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি। ৬৩তম মিনিটে সোসিয়েদাদের আন্দের বারেনেক্সিয়া হেডে পিএসজির জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। ৭৯তম মিনিটে বেনাত তুরিয়েন্তের প্রচেষ্টা দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা।
নির্ধারিত সময় শেষের এক মিনিট বাকি থাকতে সান্ত্বনাসূচক গোলটি পায় সোসিয়েদাদ। ডান দিকের বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে একজনের শট দোন্নারুম্মা ঠেকানোর পর ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মেরিনো। সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ।
																			




















