নিউইয়র্ক ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

উত্থান-পতনের পরিক্রমাকে মেনেই কাজ করেন জয়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪২:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৮৩ বার পঠিত

এপার-ওপার দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সাধারণ কাজ নিয়েই গণমাধ্যমের শিরোনাম জুড়ে থাকেন তিনি। তবে সস্প্রতি ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানে অভিনয়ে আসা, নাটক ছেড়ে বড়পর্দায় অভিষেক, দুই বাংলায় পুরস্কার অর্জনের নানা কথা বলেন। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত ব্যাপারেও কথা বলেন এ অভিনেত্রী।

ফিল্মফেয়ারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ‘কড়ক সিং’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক করেছেন জয়া আহসান। দুর্দান্ত অভিনয়ে নারী চরিত্রটিকে অনন্য এক মর্যাদায় নিয়ে গেছেন তিনি। অভিনয়দক্ষতার কারণে দর্শকের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্যও করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার, ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক বিদেশি পুরস্কার পেয়েছেন। একইসঙ্গে ছয়বার বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
সাক্ষাৎকারের শুরুতেই এ অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, আগেও বলিউডে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, কিছু কাজের সুযোগ পেয়েছিলাম। তবে ‘কড়ক’ সিং দিয়ে শুরু করা উপযুক্ত মনে হয়েছে আমার কাছে। চরিত্রটি ছোট হলেও এর বিভিন্ন স্তর আকৃষ্ট করেছে আমায়।

জয়া জানান, অভিনয়ের শুরুর দিকে আমার সেরকম কোনো পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু সৃজনশীল মাধ্যমে কাজের খুব ইচ্ছা ছিল। পড়ালেখায়ও ভালো ছিলেন। ছবি আঁকা ও গানে আলাদা মনোযোগ ছিল। শৈশব থেকে অভিনয়ও টানতো। কিন্তু পরিবারের কারও সঙ্গে মিডিয়ার কোনো যোগসূত্র ছিল না। অভিনয়ের স্কুলে পড়া না হলেও নিজের মতো একটু একটু করে পা বাড়াই। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা বাবা এ এস মাসুদ চাইতেন, মেয়ে ফরেন সার্ভিসে যোগদান করুক। তবে সেদিকে কোনো আগ্রহ ছিল না আমার।

এভাবেই ক্যারিয়ারের বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে আলাপচারিতায়। একপর্যায়ে উঠে আসে বিয়েবিচ্ছেদ ও পরবর্তীতে কাজে মনোযোগ দেয়ার বিষয়ে। এ ব্যাপারে জয়া বলেন, উত্থান-পতন প্রতিটি মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ অংশ। এটা হচ্ছে যুদ্ধের মতো। ওই সময় আমার মানসিক ধারণাই পরিবর্তন হয়েছিল। আমি পুরোপুরিভাবে কাজের দিকে মনোযোগী হই।
এ অভিনেত্রী বলেন, ওই সময় সাধারণত মেয়েরা অনেক কিছু থেকেই বিচ্যুত হয়ে পড়ে। তারা ফোকাস থেকেও সরে যায়। তবে আমার কাজ সান্ত্বনা দিয়েছে আমাকে। এ জন্য কাজকেই ভালোবেসেছি আমি। কখনোই কাজ থেকে দূরে সরে যাইনি। আমার এই যাত্রাকে ভীষণ ভালোবাসি আমি। এর মধ্য দিয়ে আমার প্রশংসা করেন মানুষ, আর আমি আমার কাজকে সম্মান করি। সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

উত্থান-পতনের পরিক্রমাকে মেনেই কাজ করেন জয়া

প্রকাশের সময় : ০১:৪২:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

এপার-ওপার দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সাধারণ কাজ নিয়েই গণমাধ্যমের শিরোনাম জুড়ে থাকেন তিনি। তবে সস্প্রতি ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানে অভিনয়ে আসা, নাটক ছেড়ে বড়পর্দায় অভিষেক, দুই বাংলায় পুরস্কার অর্জনের নানা কথা বলেন। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত ব্যাপারেও কথা বলেন এ অভিনেত্রী।

ফিল্মফেয়ারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ‘কড়ক সিং’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক করেছেন জয়া আহসান। দুর্দান্ত অভিনয়ে নারী চরিত্রটিকে অনন্য এক মর্যাদায় নিয়ে গেছেন তিনি। অভিনয়দক্ষতার কারণে দর্শকের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্যও করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার, ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক বিদেশি পুরস্কার পেয়েছেন। একইসঙ্গে ছয়বার বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
সাক্ষাৎকারের শুরুতেই এ অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, আগেও বলিউডে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, কিছু কাজের সুযোগ পেয়েছিলাম। তবে ‘কড়ক’ সিং দিয়ে শুরু করা উপযুক্ত মনে হয়েছে আমার কাছে। চরিত্রটি ছোট হলেও এর বিভিন্ন স্তর আকৃষ্ট করেছে আমায়।

জয়া জানান, অভিনয়ের শুরুর দিকে আমার সেরকম কোনো পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু সৃজনশীল মাধ্যমে কাজের খুব ইচ্ছা ছিল। পড়ালেখায়ও ভালো ছিলেন। ছবি আঁকা ও গানে আলাদা মনোযোগ ছিল। শৈশব থেকে অভিনয়ও টানতো। কিন্তু পরিবারের কারও সঙ্গে মিডিয়ার কোনো যোগসূত্র ছিল না। অভিনয়ের স্কুলে পড়া না হলেও নিজের মতো একটু একটু করে পা বাড়াই। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা বাবা এ এস মাসুদ চাইতেন, মেয়ে ফরেন সার্ভিসে যোগদান করুক। তবে সেদিকে কোনো আগ্রহ ছিল না আমার।

এভাবেই ক্যারিয়ারের বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে আলাপচারিতায়। একপর্যায়ে উঠে আসে বিয়েবিচ্ছেদ ও পরবর্তীতে কাজে মনোযোগ দেয়ার বিষয়ে। এ ব্যাপারে জয়া বলেন, উত্থান-পতন প্রতিটি মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ অংশ। এটা হচ্ছে যুদ্ধের মতো। ওই সময় আমার মানসিক ধারণাই পরিবর্তন হয়েছিল। আমি পুরোপুরিভাবে কাজের দিকে মনোযোগী হই।
এ অভিনেত্রী বলেন, ওই সময় সাধারণত মেয়েরা অনেক কিছু থেকেই বিচ্যুত হয়ে পড়ে। তারা ফোকাস থেকেও সরে যায়। তবে আমার কাজ সান্ত্বনা দিয়েছে আমাকে। এ জন্য কাজকেই ভালোবেসেছি আমি। কখনোই কাজ থেকে দূরে সরে যাইনি। আমার এই যাত্রাকে ভীষণ ভালোবাসি আমি। এর মধ্য দিয়ে আমার প্রশংসা করেন মানুষ, আর আমি আমার কাজকে সম্মান করি। সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ।