সুপার টিউসডে’র ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ জয়
- প্রকাশের সময় : ০৭:১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
- / ৭৯ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সোমবার সর্বসম্মতিক্রমে রায় দিয়েছে যে ২০২৪ সালের কলোরাডো নির্বাচনী ব্যালটে থাকতে পারবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার কলোরাডো ও অন্যান্য ১৪টি অঙ্গরাজ্যে ‘সুপার টিউসডে’র প্রাইমারি নির্বাচনের এক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের রায় রিপাবলিকান দলের অগ্রণী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে গুরুত্বপূর্ণ জয় এনে দিলো।
কলোরাডো সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে ট্রাম্প সে রাজ্যের ভোটে অংশগ্রহণ করার যোগ্য নন। কারণ ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে দাঙ্গায় প্ররোচনা দেয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল।
ট্রাম্পের সমালোচকরা অভিযোগ তুলেছেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সাংবিধানিক বিধিকে লঙ্ঘন করেছেন। এই বিধি অনুযায়ী, বিদ্রোহীরা সরকারি দফতরে দায়িত্বপালন করতে পারে না। তবে, দেশের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত কলোরাডো রায়কে বদলে দিয়েছে।
ক্যাপিটলে তাণ্ডব, ৬ জানুয়ারি ২০২১
ওয়াইট হাউসের কাছে এক সভাতে ট্রাম্প তার সমর্থকদের ‘তীব্রভাবে লড়ার’ ডাক দেয়ার পর এদেরই একাংশ যুক্তরাষ্ট্র সংসদ কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটলে তাণ্ডব চালায়, কংগ্রেস সদসদের কয়েকটি দফতর ভাঙচুর করে ও পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।
ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের কাছে ২০২০ সালের র্নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয়ের ফলাফল প্রত্যায়িত করা থেকে কংগ্রেসকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছিল এই সমর্থকরা।
তবে সুপ্রিম কোর্টের নয়জন বিচারপতি ১৩ পৃষ্ঠার এক অস্বাক্ষরিত মতামত-পত্রে বলেছেন, জাতীয় পর্যায়ের পদ থেকে একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে বাতিল করার অনুমতি কোনো একক রাজ্যকে দেয় না সংবিধান।
আদালত বলেছে, এই ধরনের ক্ষমতা কংগ্রেসকে দেয়া হয়েছে, তবে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের কাউকে নয়। আদালত সতর্ক করেছে, কোনও একজন জাতীয় পর্যায়ের প্রার্থীকে যদি কয়েকটি রাজ্যে অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়, কিন্তু একই আচরণের ভিত্তিতে অন্য রাজ্যে প্রার্থিতা বহাল থাকে, তাহলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
প্রেসিডেনশিয়াল ‘দায়মুক্তি’
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্সিয়াল অভিষেক বা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হতে চলেছে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমেরিকার জন্য বড় জয়!!!’
আদালত এই ধারণায় সর্বসম্মত ছিল যে ট্রাম্পকে ভোট থেকে একপক্ষীয়ভাবে সরানো যেতে পারে না। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কত দূর পর্যন্ত প্রযোজ্য হতে পারে, তা নিয়ে বিচারপতিরা বিভক্ত ছিলেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যক (৫-৪) বিচারপতি বলেছেন, কোনো অঙ্গরাজ্য কোনো নির্বাচন থেকে একজন ফেডেরাল প্রার্থীকে বাদ দিতে পারে না। তবে চারজন বিচারক বলেছেন, নিজেদের মতামতকে সীমাবদ্ধ করা উচিত ছিল আদালতের।
সোমবারের ভোট-সংক্রান্ত রায় তার পক্ষে যাওয়ার পর ট্রাম্প দায়মুক্তির প্রশ্নে তার পক্ষে রায় দিতে হাইকোর্টকে অনুরোধ করেছেন। তিনি সংবাদদাতাদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্টকে পুরোপুরি দায়মুক্তি দিতে হবে।’এই বিচারপ্রক্রিয়া সোমবার শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে এখন তা অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেছে। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
হককথা/নাছরিন