নিউইয়র্ক ১০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫০:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৬ বার পঠিত

দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহার সবচেয়ে কম। প্রতীকী ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে জন্মহারের বিষয়টি ক্রমেই ভয়াবহ সংকটে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহার এত কম যে, বিষয়টি দেশগুলোর নীতি নির্ধারকদের মাথাব্যথায় পরিণত হয়েছে। এর মূল কারণ হিসেবে বিশ্লেষকেরা জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিকে চিহ্নিত করেছেন। এর ফলাফল হিসেবে ২০২৩ সালেও বিশ্বের সবচেয়ে কম জন্মহার ছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ বুধবার প্রকাশিত দক্ষিণ কোরিয়ার পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—২০২২ সালে দেশটিতে নারীদের সন্তান জন্মদানের হার ছিল গড়ে ০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। যা ২০২৩ সালে আরও কমে নেমে যায় ০ দশমিক ৭২ শতাংশে।

কেবল গত বছরেই দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার এমন নিচু, তা কিন্তু নয়। ২০১৮ সাল থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার ১ শতাংশেরও নিচে রয়েছে। অর্থাৎ, টানা ৬ বছর ধরে দেশটির জন্মহার ১ শতাংশের নিচে। অথচ, কোনো একটি দেশের জনসংখ্যার পরিমাণ স্থির রাখতে চাইলেও প্রতিটি নারীর ক্ষেত্রে সন্তান জন্মদানের হার হওয়া প্রয়োজন ২ দশমিক ১ শতাংশ।

দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা নিজেদের ক্যারিয়ার ও আর্থিক অবস্থার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে চান না। ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের মধ্যে বিয়ে ও সন্তান জন্মদানে অনীহা দেখা দিয়েছে। ৫ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে বাড়িভাড়া ও জীবনযাপনের অন্যান্য খরচ অনেক বেশি। আর এর মধ্যে রাজধানী সিউল সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল।

তবে কেবল ২০২৩ সালেই নয়, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালেও দক্ষিণ কোরিয়ায় শিশু জন্মহার আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৪ সালে দেশটিতে শিশু জন্মদানের হার হতে পারে ০ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং সিউলে এই হার হবে ০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

এদিকে, জনসংখ্যা হ্রাসের বিষয়টি এখন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিবিদদের জন্য অন্যতম রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। আগামী এপ্রিলে দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো জন্মহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে দেশব্যাপী আবাসন ও শিক্ষা খাতে খরচ কমানো ও বিভিন্ন প্রণোদনার প্রদানের সুযোগ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া

প্রকাশের সময় : ০৭:৫০:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে জন্মহারের বিষয়টি ক্রমেই ভয়াবহ সংকটে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহার এত কম যে, বিষয়টি দেশগুলোর নীতি নির্ধারকদের মাথাব্যথায় পরিণত হয়েছে। এর মূল কারণ হিসেবে বিশ্লেষকেরা জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিকে চিহ্নিত করেছেন। এর ফলাফল হিসেবে ২০২৩ সালেও বিশ্বের সবচেয়ে কম জন্মহার ছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ বুধবার প্রকাশিত দক্ষিণ কোরিয়ার পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—২০২২ সালে দেশটিতে নারীদের সন্তান জন্মদানের হার ছিল গড়ে ০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। যা ২০২৩ সালে আরও কমে নেমে যায় ০ দশমিক ৭২ শতাংশে।

কেবল গত বছরেই দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার এমন নিচু, তা কিন্তু নয়। ২০১৮ সাল থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহার ১ শতাংশেরও নিচে রয়েছে। অর্থাৎ, টানা ৬ বছর ধরে দেশটির জন্মহার ১ শতাংশের নিচে। অথচ, কোনো একটি দেশের জনসংখ্যার পরিমাণ স্থির রাখতে চাইলেও প্রতিটি নারীর ক্ষেত্রে সন্তান জন্মদানের হার হওয়া প্রয়োজন ২ দশমিক ১ শতাংশ।

দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা নিজেদের ক্যারিয়ার ও আর্থিক অবস্থার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে চান না। ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার নারীদের মধ্যে বিয়ে ও সন্তান জন্মদানে অনীহা দেখা দিয়েছে। ৫ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে বাড়িভাড়া ও জীবনযাপনের অন্যান্য খরচ অনেক বেশি। আর এর মধ্যে রাজধানী সিউল সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল।

তবে কেবল ২০২৩ সালেই নয়, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালেও দক্ষিণ কোরিয়ায় শিশু জন্মহার আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৪ সালে দেশটিতে শিশু জন্মদানের হার হতে পারে ০ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং সিউলে এই হার হবে ০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

এদিকে, জনসংখ্যা হ্রাসের বিষয়টি এখন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিবিদদের জন্য অন্যতম রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। আগামী এপ্রিলে দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো জন্মহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে দেশব্যাপী আবাসন ও শিক্ষা খাতে খরচ কমানো ও বিভিন্ন প্রণোদনার প্রদানের সুযোগ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

হককথা/নাছরিন