নিউইয়র্ক ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারে সামরিক শক্তি ব্যবহার করবেন ট্রাম্প

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৭:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৪ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : মেক্সিকোসহ বিভিন্ন সীমান্ত পথে লাখ লাখ আশ্রয় প্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রে আসা কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বাইডেন প্রশাসন। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জো বাইডেন ইমিগ্রেশন সিস্টেমকে ঢেলে সাজানোর অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও কংগ্রেস তা প্রত্যাখ্যান করে। ফলে আশ্রয় প্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বহুগুণ বেড়েছে। এ অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারে তিনি সামরিক শক্তি ব্যবহার করবেন। -ওয়াশিংটন পোস্ট

ডেমোক্র্যাটদের ধরাশায়ী করতে রিপাবলিকানরা আশ্রয় প্রত্যাশীদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। বিষয়টি প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুঝতে পেরে কিছুটা কঠোরতা অবলম্বন করছেন। খবরে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট হলে অবৈধ অভিবাসীদের থামাতে এবং আমেরিকার ভেতরে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে সামরিক শক্তি ব্যবহার করবেন।

গত মেয়াদেও তিনি অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে, তাদের আটক ও নিজ দেশের ফেরাতে মিলিটারি ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সম্ভব হয়নি। এবার তিনি মরিয়া হয়ে উঠবেন। এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি ইমিগ্রেশনকেই তার মূল এজেন্ডা রাখবেন এবং নির্বাসন প্রক্রিয়াকে কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবেন।

ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন সূত্রের বরাতে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে তিনি অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসন কার্যক্রম শুরু করবেন। এটি এতটাই কঠোরতর হবে যা এর আগে আমেরিকায় ঘটেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডুইট আইজেনহাওয়ার কঠোরভাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠিয়েছেন লাখ লাখ অভিবাসীকে।

তাদের ক্ষেতখামার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা থেকে ধরে গাদাগাদি করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হতো। এই যাত্রায় অনেকে মারা গেলেও প্রশাসন গুরুত্ব দেয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প পেন্টাগণকে ব্যবহার করে ড্রোনের মাধ্যমে ইমিগ্রান্টদের শনাক্ত করে মিলিটারির তত্ত্বাবধানে তাদের ফেরত পাঠাবেন।

ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন মুখপাত্র ক্যারোলাইন লিভিট এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমেরিকানরা আশা করতে পারে যে, ট্রাম্প ওভাল অফিসে ফিরলে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তার সমস্ত আগের নীতিগুলো ফিরে আনবেন। একেবারে নতুন করে অভিযানগুলো বাস্তবায়ন করবেন যা আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাসন।

ক্যারোলাইন আরও বলেন, আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টদের স্বস্তির কারণ নেই, কারণ খুব শিগগিরই তারা বাড়ি ফিরছে। তার ক্যাম্পেইন থেকে বলা হয়েছে, ইমিগ্রান্টদের আটক করতে তিনি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে বিপুল সংখ্যক কমী নিয়োগ দেবেন।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারে সামরিক শক্তি ব্যবহার করবেন ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ০৬:১৭:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : মেক্সিকোসহ বিভিন্ন সীমান্ত পথে লাখ লাখ আশ্রয় প্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রে আসা কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বাইডেন প্রশাসন। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জো বাইডেন ইমিগ্রেশন সিস্টেমকে ঢেলে সাজানোর অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও কংগ্রেস তা প্রত্যাখ্যান করে। ফলে আশ্রয় প্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বহুগুণ বেড়েছে। এ অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কারে তিনি সামরিক শক্তি ব্যবহার করবেন। -ওয়াশিংটন পোস্ট

ডেমোক্র্যাটদের ধরাশায়ী করতে রিপাবলিকানরা আশ্রয় প্রত্যাশীদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। বিষয়টি প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুঝতে পেরে কিছুটা কঠোরতা অবলম্বন করছেন। খবরে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট হলে অবৈধ অভিবাসীদের থামাতে এবং আমেরিকার ভেতরে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে সামরিক শক্তি ব্যবহার করবেন।

গত মেয়াদেও তিনি অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে, তাদের আটক ও নিজ দেশের ফেরাতে মিলিটারি ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সম্ভব হয়নি। এবার তিনি মরিয়া হয়ে উঠবেন। এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি ইমিগ্রেশনকেই তার মূল এজেন্ডা রাখবেন এবং নির্বাসন প্রক্রিয়াকে কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবেন।

ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন সূত্রের বরাতে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে তিনি অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসন কার্যক্রম শুরু করবেন। এটি এতটাই কঠোরতর হবে যা এর আগে আমেরিকায় ঘটেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডুইট আইজেনহাওয়ার কঠোরভাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠিয়েছেন লাখ লাখ অভিবাসীকে।

তাদের ক্ষেতখামার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা থেকে ধরে গাদাগাদি করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হতো। এই যাত্রায় অনেকে মারা গেলেও প্রশাসন গুরুত্ব দেয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প পেন্টাগণকে ব্যবহার করে ড্রোনের মাধ্যমে ইমিগ্রান্টদের শনাক্ত করে মিলিটারির তত্ত্বাবধানে তাদের ফেরত পাঠাবেন।

ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন মুখপাত্র ক্যারোলাইন লিভিট এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমেরিকানরা আশা করতে পারে যে, ট্রাম্প ওভাল অফিসে ফিরলে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তার সমস্ত আগের নীতিগুলো ফিরে আনবেন। একেবারে নতুন করে অভিযানগুলো বাস্তবায়ন করবেন যা আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাসন।

ক্যারোলাইন আরও বলেন, আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টদের স্বস্তির কারণ নেই, কারণ খুব শিগগিরই তারা বাড়ি ফিরছে। তার ক্যাম্পেইন থেকে বলা হয়েছে, ইমিগ্রান্টদের আটক করতে তিনি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে বিপুল সংখ্যক কমী নিয়োগ দেবেন।

হককথা/নাছরিন