নিউইয়র্ক ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পেঁয়াজ নিয়ে হরিলুট, এক বছরে দাম বেড়েছে ২৭০ শতাংশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২২:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৮ বার পঠিত

ভারত থেকে আমদানির খবরে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমছে বলে খবর চড়েছিলো, সেই খবরের বিন্দু বিসর্গও খুঁজে পাওয়া যায়নি ছুটির দিনে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে। উল্টো দাম আরও বেড়েছে। দেশি নতুন পেঁয়াজে বাজার সয়লাব হলেও কেজি প্রতি দাম ঠেকেছে ১২৫ টাকায়।

সামনে রোজা, বন্ধ আমদানি, নেই সুলভ মূল্যে টিসিবির বিক্রিও। সব মিলিয়ে সিন্ডিকেট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পেঁয়াজের বাজারে। তাই একদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। আরও বাড়ার হুমকিও দিয়েছে এই বেপরোয়া চক্র।

অথচ গেলো বছর এই সময়ে পেঁয়াজের দাম ছিলো মাত্র ৩৫ টাকা। অর্থাৎ, বছরে বৃদ্ধির হার ২৭০ শতাংশ। এ যেন রীতিমতো হরিলুট চলছে প্রতিদিনের রান্নার অপরিহার্য অনুষঙ্গ এই পণটি নিয়ে। এতে করে নাভিশ্বাস উঠেছে কম আয়ের থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনে। ভাবতে শুরু করেছে বিকল্প।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেলো, রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাজারে সবগুলো দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে মুড়িকাটা জাতের নতুন পেঁয়াজ। দেশি অন্যজাত ও আমদানি করা পেঁয়াজ নেই একদমই । তবে শতক পেরিয়ে যাওয়ার পরও পেঁয়াজের দাম যেন থেমে থাকতে চাইছে না। সামনে রমজান তাই চাহিদাও বাড়ছে, এই সুযোগে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে প্রতিদিন। দুই দিন আগে খুচরায় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ছিলো ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, শনিবার বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায়। বিক্রেতারা দাবি করছেন, আমদানি ও সরবরাহ কমার অজুহাতে সারা দেশে আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।

সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। দুই সপ্তাহ পর নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমতে পারে, বলছেন ব্যবসায়ীরা। জানতে চাওয়া হয়, নতুন পেঁয়াজে তো বাজার সয়লাব, তারপরও কেন দাম বাড়ছে, এই প্রশ্নের কোন সদুক্তর দিতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন সামনে রোজা অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি এখনো বন্ধ, এই সুযোগে মুড়িকাটা পেঁয়াজের ব্যাপারি এবং কৃষকরাই ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করছেন। পাইকারদের দাবি, ব্যাপারি আর কৃষকরা মিলেই পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের কাছে অসহায় তারা।

পেঁয়াজের মজুত পর্যাপ্ত তবুও অস্থির খাতুনগঞ্জপেঁয়াজের মজুত পর্যাপ্ত তবুও অস্থির খাতুনগঞ্জ বেপরোয়া মাংস ব্যবসায়ীরা, বেড়েই চলছে দামবেপরোয়া মাংস ব্যবসায়ীরা, বেড়েই চলছে দাম
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশে টিসিবির তথ্য বলছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশী পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫০ এবং এক বছরে ২৭০ শতাংশ। টিসিবি ডিলার কল্যাণ সমিতি বলছে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি এবং সরকারিভাবে বিক্রি না থাকারই সুযোগ নিচ্ছেন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী।

কয়েক জাতের দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসতে বাকি আরো এক থেকে দেড় মাস। আসার অপেক্ষায় ৫০ হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ। এই মধ্যবর্তী সময়ে বাজার স্বাভাবিক হবে না বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতাদের এই কথা বিশ্বাস করতে নারাজ। তাদের মতে, এদেশে একবার যে পণ্যের দাম বাড়ে সেটি আর কমে না। সূত্র:একাত্তর

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পেঁয়াজ নিয়ে হরিলুট, এক বছরে দাম বেড়েছে ২৭০ শতাংশ

প্রকাশের সময় : ০৬:২২:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভারত থেকে আমদানির খবরে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমছে বলে খবর চড়েছিলো, সেই খবরের বিন্দু বিসর্গও খুঁজে পাওয়া যায়নি ছুটির দিনে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে। উল্টো দাম আরও বেড়েছে। দেশি নতুন পেঁয়াজে বাজার সয়লাব হলেও কেজি প্রতি দাম ঠেকেছে ১২৫ টাকায়।

সামনে রোজা, বন্ধ আমদানি, নেই সুলভ মূল্যে টিসিবির বিক্রিও। সব মিলিয়ে সিন্ডিকেট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পেঁয়াজের বাজারে। তাই একদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। আরও বাড়ার হুমকিও দিয়েছে এই বেপরোয়া চক্র।

অথচ গেলো বছর এই সময়ে পেঁয়াজের দাম ছিলো মাত্র ৩৫ টাকা। অর্থাৎ, বছরে বৃদ্ধির হার ২৭০ শতাংশ। এ যেন রীতিমতো হরিলুট চলছে প্রতিদিনের রান্নার অপরিহার্য অনুষঙ্গ এই পণটি নিয়ে। এতে করে নাভিশ্বাস উঠেছে কম আয়ের থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনে। ভাবতে শুরু করেছে বিকল্প।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেলো, রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাজারে সবগুলো দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে মুড়িকাটা জাতের নতুন পেঁয়াজ। দেশি অন্যজাত ও আমদানি করা পেঁয়াজ নেই একদমই । তবে শতক পেরিয়ে যাওয়ার পরও পেঁয়াজের দাম যেন থেমে থাকতে চাইছে না। সামনে রমজান তাই চাহিদাও বাড়ছে, এই সুযোগে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে প্রতিদিন। দুই দিন আগে খুচরায় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ছিলো ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, শনিবার বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায়। বিক্রেতারা দাবি করছেন, আমদানি ও সরবরাহ কমার অজুহাতে সারা দেশে আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।

সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। দুই সপ্তাহ পর নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমতে পারে, বলছেন ব্যবসায়ীরা। জানতে চাওয়া হয়, নতুন পেঁয়াজে তো বাজার সয়লাব, তারপরও কেন দাম বাড়ছে, এই প্রশ্নের কোন সদুক্তর দিতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন সামনে রোজা অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি এখনো বন্ধ, এই সুযোগে মুড়িকাটা পেঁয়াজের ব্যাপারি এবং কৃষকরাই ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করছেন। পাইকারদের দাবি, ব্যাপারি আর কৃষকরা মিলেই পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের কাছে অসহায় তারা।

পেঁয়াজের মজুত পর্যাপ্ত তবুও অস্থির খাতুনগঞ্জপেঁয়াজের মজুত পর্যাপ্ত তবুও অস্থির খাতুনগঞ্জ বেপরোয়া মাংস ব্যবসায়ীরা, বেড়েই চলছে দামবেপরোয়া মাংস ব্যবসায়ীরা, বেড়েই চলছে দাম
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশে টিসিবির তথ্য বলছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশী পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫০ এবং এক বছরে ২৭০ শতাংশ। টিসিবি ডিলার কল্যাণ সমিতি বলছে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি এবং সরকারিভাবে বিক্রি না থাকারই সুযোগ নিচ্ছেন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী।

কয়েক জাতের দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসতে বাকি আরো এক থেকে দেড় মাস। আসার অপেক্ষায় ৫০ হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ। এই মধ্যবর্তী সময়ে বাজার স্বাভাবিক হবে না বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতাদের এই কথা বিশ্বাস করতে নারাজ। তাদের মতে, এদেশে একবার যে পণ্যের দাম বাড়ে সেটি আর কমে না। সূত্র:একাত্তর