নিউইয়র্ক ০২:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গুগলের এআই উন্মাদ ও বর্ণবাদী, বললেন ইলন মাস্ক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৯:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৫ বার পঠিত

গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলকে ‘বর্ণবাদী ও উন্মাদ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক। তাঁর মতে, গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল জেমিনিতে ‘সভ্যতাবিরোধী প্রোগ্রামিং’ যুক্ত করা হয়েছে। মূলত জনপ্রিয় ব্যক্তিদের ঐতিহাসিক ছবি বিকৃত করার কারণে তিনি গুগলের এআইভিত্তিক মডেল জেমিনির এই সমালোচনা করেন। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

গুগল এরই মধ্যে জেমিনি মডেল থেকে বিকৃত ছবি তৈরির ফিচারটি সরিয়ে ফেলেছে। তবে তারপরও এই টেক জায়ান্টের সমালোচনায় মুখ খুলেছেন মাস্ক। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক টুইটে মাস্ক লেখেন, ‘আমি আনন্দিত যে, গুগলের এআই দিয়ে ছবি তৈরির মডেলটি এই ভুল করেছে। এর ফলে তাদের উন্মাদ, বর্ণবাদী, সভ্যতাবিরোধী প্রোগ্রামিং সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।’

জেমিনির এআইভিত্তিক ছবিতে বেশ কয়েকজন শ্বেতাঙ্গ ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে (যেমন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতারা) নাৎসি-যুগের কৃষ্ণাঙ্গ জার্মান সৈন্য হিসেবে চিত্রিত করার পর এই আলোচনার সূত্রপাত। তবে গুগল বলছে, কিছু ঐতিহাসিক ছবিতে জেমিনি মডেলের এই ভুলের বিষয়ে তারা অবগত।

গুগল এক ঘোষণায় জেমিনির ত্রুটি স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছে, জেমিনির ইমেজ জেনারেটর বিভিন্ন ব্যক্তির বিচিত্র ছবি তৈরি করতে সক্ষম। তবে এ ক্ষেত্রে মডেলটি ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন মানুষ এই প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করবে, তাই কোম্পানির বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত ছিল। জেমিনির প্রধান জ্যাক ক্রাকজিকেরও সমালোচনা করেন ইলন মাস্ক। গত বুধবার ক্রাকজিক বলেছিলেন, জেমিনির ইমেজ তৈরির ক্ষমতা বিশ্বব্যাপী বৈচিত্র্যময় ব্যবহারকারীর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় মাস্ক বলেন, তিনি কোনো বিশেষ ব্যক্তি সমালোচনা করছেন না। তবে গুগলের এআইয়ের বর্ণবাদী ও লিঙ্গবৈষম্যের প্রবণতা দেখানোর পেছনে এই ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

মাস্ক আরও জানান, তিনি তাঁর নিজের ফোন ব্যবহার করে গুগলে সার্চ করার পর দেখতে পান যে, জেমিনির ইমেজ জেনারেটর সংক্রান্ত প্রথম দুটি ফলাফলই সেন্সরশিপের আওতাভুক্ত অর্থাৎ সেই ইমেজ দুটি সবার কাছে মানানসই নাও হতে পারে।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে জেমিনি (সাবেক বার্ড) এআই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এআইভিত্তিক ছবি তৈরি শুরু করে গুগল।সূত্র:আজকের পএিকা

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গুগলের এআই উন্মাদ ও বর্ণবাদী, বললেন ইলন মাস্ক

প্রকাশের সময় : ০২:১৯:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলকে ‘বর্ণবাদী ও উন্মাদ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক। তাঁর মতে, গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল জেমিনিতে ‘সভ্যতাবিরোধী প্রোগ্রামিং’ যুক্ত করা হয়েছে। মূলত জনপ্রিয় ব্যক্তিদের ঐতিহাসিক ছবি বিকৃত করার কারণে তিনি গুগলের এআইভিত্তিক মডেল জেমিনির এই সমালোচনা করেন। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

গুগল এরই মধ্যে জেমিনি মডেল থেকে বিকৃত ছবি তৈরির ফিচারটি সরিয়ে ফেলেছে। তবে তারপরও এই টেক জায়ান্টের সমালোচনায় মুখ খুলেছেন মাস্ক। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক টুইটে মাস্ক লেখেন, ‘আমি আনন্দিত যে, গুগলের এআই দিয়ে ছবি তৈরির মডেলটি এই ভুল করেছে। এর ফলে তাদের উন্মাদ, বর্ণবাদী, সভ্যতাবিরোধী প্রোগ্রামিং সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।’

জেমিনির এআইভিত্তিক ছবিতে বেশ কয়েকজন শ্বেতাঙ্গ ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বকে (যেমন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতারা) নাৎসি-যুগের কৃষ্ণাঙ্গ জার্মান সৈন্য হিসেবে চিত্রিত করার পর এই আলোচনার সূত্রপাত। তবে গুগল বলছে, কিছু ঐতিহাসিক ছবিতে জেমিনি মডেলের এই ভুলের বিষয়ে তারা অবগত।

গুগল এক ঘোষণায় জেমিনির ত্রুটি স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছে, জেমিনির ইমেজ জেনারেটর বিভিন্ন ব্যক্তির বিচিত্র ছবি তৈরি করতে সক্ষম। তবে এ ক্ষেত্রে মডেলটি ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন মানুষ এই প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করবে, তাই কোম্পানির বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত ছিল। জেমিনির প্রধান জ্যাক ক্রাকজিকেরও সমালোচনা করেন ইলন মাস্ক। গত বুধবার ক্রাকজিক বলেছিলেন, জেমিনির ইমেজ তৈরির ক্ষমতা বিশ্বব্যাপী বৈচিত্র্যময় ব্যবহারকারীর ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় মাস্ক বলেন, তিনি কোনো বিশেষ ব্যক্তি সমালোচনা করছেন না। তবে গুগলের এআইয়ের বর্ণবাদী ও লিঙ্গবৈষম্যের প্রবণতা দেখানোর পেছনে এই ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

মাস্ক আরও জানান, তিনি তাঁর নিজের ফোন ব্যবহার করে গুগলে সার্চ করার পর দেখতে পান যে, জেমিনির ইমেজ জেনারেটর সংক্রান্ত প্রথম দুটি ফলাফলই সেন্সরশিপের আওতাভুক্ত অর্থাৎ সেই ইমেজ দুটি সবার কাছে মানানসই নাও হতে পারে।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে জেমিনি (সাবেক বার্ড) এআই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এআইভিত্তিক ছবি তৈরি শুরু করে গুগল।সূত্র:আজকের পএিকা