নিউইয়র্ক ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

তবু বাইডেনের প্রশংসাই করলেন পুতিন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৪:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১১৫ বার পঠিত

‘পাগলা কুত্তার বাচ্চা’ বলে গালি দেওয়ার পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশংসা করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিদ্রূপাত্মক হাসি দিয়ে তিনি বলেছেন, এ জন্যই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের চেয়ে তাঁর বাইডেনকে বেশি পছন্দ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ফ্রান্সিসকো শহরে এক সমাবেশে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বক্তব্য দেন জো বাইডেন। সেখানে বাইডেন বলেন, ‘মানুষের সর্বশেষ অস্তিত্বের হুমকি হলো জলবায়ু। তবে আমাদের পুতিনের মতো পাগলা কুত্তার বাচ্চাদের কারণে সারাক্ষণ পারমাণবিক যুদ্ধ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। অথচ মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি হলো জলবায়ু।’

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বাইডেনের ‘অভদ্র’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পুতিন বিদ্রূপের হাসি হাসেন এবং বলেন, ‘আমরা যেকোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তবে আমার মনে হয়, রাশিয়ার জন্য বাইডেনই বেশি পছন্দসই প্রেসিডেন্ট। আর তিনি যা বলেছেন, তা থেকে প্রমাণিত হয়, আমি একেবারে সঠিক।’

৭১ বছর বয়সী পুতিন ৮১ বছর বয়সী বাইডেনের প্রতিক্রিয়াকে যথার্থ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘তিনি তো আর আমাকে বলবেন না যে “হে বিশ্ব শাসক, আপনাকে ধন্যবাদ, আপনি আমার অনেক উপকার করেছেন”।’

পুতিন বলেন, ‘আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন, আমাদের জন্য কোনটা ভালো হয়। আমি আবারও বলছি বাইডেন।’

যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভ বলেন, বাইডেনের মন্তব্যের ‘আপত্তিকর আচরণ ও অগ্রহণযোগ্যতা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কড়া প্রতিবাদ’ জানিয়েছে রাশিয়ার দূতাবাস।

টেলিগ্রামে আন্তোনভ বলেন, মস্কো যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘যথাযথ প্রতিক্রিয়ার’ প্রত্যাশা করছে না। নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের অসংলগ্ন বক্তব্য ততই নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।

পুতিনের উদ্দেশে বাইডেনের এ মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ের জটিলতাই তুলে ধরেছে। এ নির্বাচনে হয় ক্ষমতায় আসবে বাইডেন। যিনি প্রকাশ্যে পুতিনকে অপমান করেছেন, না হয় ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প যিনি ক্ষমতায় এলে ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগিরই শেষ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ইউক্রেন যুদ্ধ, রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যু এবং রাশিয়া মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপ করতে চায়–যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবির কারণে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। স্নায়ু যুদ্ধের পর এবারই প্রথম এ দুই দেশের সম্পর্কে এমন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিকেরা বলছেন, ১৯৬২ সালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট ছাড়া বিশ্বের এ দুই বৃহৎ পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার এমন কোনো সময়ের কথা তাদের মনে পড়ে না। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

তবু বাইডেনের প্রশংসাই করলেন পুতিন

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৪:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

‘পাগলা কুত্তার বাচ্চা’ বলে গালি দেওয়ার পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশংসা করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিদ্রূপাত্মক হাসি দিয়ে তিনি বলেছেন, এ জন্যই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের চেয়ে তাঁর বাইডেনকে বেশি পছন্দ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ফ্রান্সিসকো শহরে এক সমাবেশে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বক্তব্য দেন জো বাইডেন। সেখানে বাইডেন বলেন, ‘মানুষের সর্বশেষ অস্তিত্বের হুমকি হলো জলবায়ু। তবে আমাদের পুতিনের মতো পাগলা কুত্তার বাচ্চাদের কারণে সারাক্ষণ পারমাণবিক যুদ্ধ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। অথচ মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি হলো জলবায়ু।’

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বাইডেনের ‘অভদ্র’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পুতিন বিদ্রূপের হাসি হাসেন এবং বলেন, ‘আমরা যেকোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তবে আমার মনে হয়, রাশিয়ার জন্য বাইডেনই বেশি পছন্দসই প্রেসিডেন্ট। আর তিনি যা বলেছেন, তা থেকে প্রমাণিত হয়, আমি একেবারে সঠিক।’

৭১ বছর বয়সী পুতিন ৮১ বছর বয়সী বাইডেনের প্রতিক্রিয়াকে যথার্থ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘তিনি তো আর আমাকে বলবেন না যে “হে বিশ্ব শাসক, আপনাকে ধন্যবাদ, আপনি আমার অনেক উপকার করেছেন”।’

পুতিন বলেন, ‘আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন, আমাদের জন্য কোনটা ভালো হয়। আমি আবারও বলছি বাইডেন।’

যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভ বলেন, বাইডেনের মন্তব্যের ‘আপত্তিকর আচরণ ও অগ্রহণযোগ্যতা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কড়া প্রতিবাদ’ জানিয়েছে রাশিয়ার দূতাবাস।

টেলিগ্রামে আন্তোনভ বলেন, মস্কো যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘যথাযথ প্রতিক্রিয়ার’ প্রত্যাশা করছে না। নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের অসংলগ্ন বক্তব্য ততই নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।

পুতিনের উদ্দেশে বাইডেনের এ মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ের জটিলতাই তুলে ধরেছে। এ নির্বাচনে হয় ক্ষমতায় আসবে বাইডেন। যিনি প্রকাশ্যে পুতিনকে অপমান করেছেন, না হয় ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প যিনি ক্ষমতায় এলে ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগিরই শেষ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ইউক্রেন যুদ্ধ, রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যু এবং রাশিয়া মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপ করতে চায়–যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবির কারণে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। স্নায়ু যুদ্ধের পর এবারই প্রথম এ দুই দেশের সম্পর্কে এমন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিকেরা বলছেন, ১৯৬২ সালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট ছাড়া বিশ্বের এ দুই বৃহৎ পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার এমন কোনো সময়ের কথা তাদের মনে পড়ে না। সূত্র: আজকের পত্রিকা।