ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান ও সম্পদের বিষয়ে যা জানা যাচ্ছে
- প্রকাশের সময় : ০৭:০৪:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৫১ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই তার প্রতিষ্ঠিত সাতটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে বেশ আলোচনা হতে দেখা যাচ্ছে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী এবং গ্রামীণ শক্তি। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান কখন, ঠিক কী উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? এগুলোর কাজই বা কী? সম্পদের পরিমাণই বা কত?
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণ ফোনে প্রায় ৩৪.২০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের। বর্তমানে গ্রামীণ টেলিকমের তহবিলে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এছাড়া গ্রামীণ ফান্ডের তহবিলে রয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কল্যাণের লক্ষ্যে ড. ইউনূস গত তিন দশকের বিভিন্ন সময়ে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন বলে জানান অধ্যাপক ইউনূসের উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম।
প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী গঠিত। ফলে সবক’টিই অলাভজনক। মূলত সদস্যদের অনুদানেই সেগুলোর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তবে তাদের কেউই লাভের টাকা নিতে পারেন না, বরং সামাজিক বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে সেই অর্থ ব্যবহার করা হয়।
বলেন নূর জাহান বেগম বলেন,‘আইনে যেটি বলা হয়েছে, সেটির সাথে ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসার ধারণার মিল রয়েছে।’ তিনি আরো জানান, এমন কী তিনি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর বোর্ড মেম্বারদের কেউই বেতন-ভাতা নেন না।’ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।
তবে পরিচালনার জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই ভিন্ন ভিন্ন পর্ষদ রয়েছে। গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই সাতটি প্রতিষ্ঠান অধ্যাপক ইউনূসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করেছেন যে, গ্রামীণ ব্যাংক সেগুলো ‘জবরদখল’ করে নিচ্ছে।
যদিও প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের টাকায় গড়ে তোলা হয়েছে বলে দাবি করে গ্রামীণ ব্যাংক বলছে, আইন মেনেই সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়া হয়েছে। দ্বন্দ্বের শুরু সেখানেই। চলুন, এবার জেনে নেয়া যাক অধ্যাপক ইউনূসের আলোচিত ওই সাতটি প্রতিষ্ঠানের কোনটি কী ধরনের কাজ করছে?
গ্রামীণ টেলিকম
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণ ফোনে প্রায় ৩৪.২০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে গ্রামীণ টেলিকমের। ফলে গ্রামীণ ফোনের মুনাফার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রতি বছর গ্রামীণ টেলিকমের তহবিলে যোগ হয়।বর্তমানে গ্রামীণ টেলিকমের তহবিলে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সেবামূলক কাজে এই টাকা খরচ করা হয়ে থাকে বলেও জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।১৯৯৫ সালের ১৬ অক্টোবর একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি যাত্রা শুরু করে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় দরিদ্র মানুষের কাছে টেলিযোগাযোগ সেবা পৌঁছে দিয়ে তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই এটি কাজ শুরু করে বলে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূসের প্রায় পাঁচ দশকের সহকর্মী ও বর্তমান উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম বলেন,‘আমরা এমন একটি সময় এটি শুরু করি, যখন গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ টেলিফোন বা মোবাইলের কথা ভাবতেও পারত না।’ তিনি জানান, ‘তখন স্বল্পমূল্যে তাদের কাছে আমরা এই সেবা পৌঁছে দিতে চেয়েছি, যাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজনেও তারা দূর-দূরান্তে সহজেই যোগাযোগ করতে পারে।’
লক্ষ্য বাস্তবায়নে গ্রামীণ টেলিকম পরবর্তীতে গণফোন এবং নরওয়েজিয়ান বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি‘টেলিনর’ সাথে মিলে‘গ্রামীণ ফোন’ প্রতিষ্ঠা করে। নূর জাহান বলেন, প্রতিষ্ঠার পর আমরা সারা দেশে প্রায় ১৮ লাখ নারীকে স্বল্পমূল্যের কিস্তিতে মোবাইলফোন দিয়েছি, যেগুলো দিয়ে তারা মাসে গড়ে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করে বাড়তি উপার্জন করেছে।’
মূলত: নব্বই দশকের শেষের দিক থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজারে কথা বলার জন্য ছোট ছোট দোকান গড়ে উঠতে থাকে।
সেগুলো ‘পল্লী ফোন’ হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিল। সাধারণত গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যরাই এ ধরনের দোকানের মালিক হতে পারতেন। বর্তমানে সারা দেশেই মোবাইলফোন সহজলভ্য হওয়ায় ‘পল্লী ফোনে’র চাহিদা অনেকটাই কমে গিয়েছে।
তবে গ্রামীণ ফোন থেকে এখনো লাভের টাকা পাচ্ছে গ্রামীণ টেলিকম।
যদিও ২০২০ সালে কর্মীদের ছাঁটাই করে বেশ বেকায়দায় পড়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। হাইকোর্টের রায়ে পরবর্তীতে প্রায় ৪৩৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে গ্রামীণ টেলিকমকে। এখানেই শেষ নয়। একই ঘটনায় শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা দিয়েছে ঢাকার একটি শ্রম আদালত।
গ্রামীণ কল্যাণ
গ্রামীণ টেলিকমের মতো গ্রামীণ কল্যাণও একটি অলাভজনক সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ৬ নভেম্বর। প্রতিষ্ঠানটি মূলত : স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের মাধ্যমে দারিদ্র নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বলে এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।
নূর জাহান বেগম বলেন, ১৯৯১ সালের একটি গবেষণায় আমরা দেখতে পাই যে, ২৭ শতাংশ মানুষের দারিদ্রসীমার নিচে থাকার মূলে রয়েছে তাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা।’ তিনি আরো বলেন,‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস তখনই এ সমস্যা সমাধানে ১৯৯৩ সালে একটি প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে আটটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু করেন। সেটি সফল হওয়ার পর গ্রামীণ কল্যাণ সৃষ্টি করা হয়।’
নূর জাহান বেগম নিজেও এক সময় কর্মকর্তা হিসেবে গ্রামীণ কল্যাণের বিভিন্ন প্রকল্পে সরাসরি কাজ করেছেন।সারা দেশে প্রায় ৫ হাজার গ্রামে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ১৪৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।শুরুতে গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যদের জন্য এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গড়ে তোলা হলেও বর্তমানে সবাই সেবা নিতে পারেন।
এক্ষেত্রে দুই থেকে তিনশ’ টাকার একটি স্বাস্থ্যকার্ড নিয়ে একটি পরিবার সারা বছর জুড়ে সেবা নিতে পারেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য শিক্ষা ও বৃত্তির ব্যবস্থা করে থাকে গ্রামীণ কল্যাণ। কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, শুরুতে দাতাদের অর্থে গঠিত ‘সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট ফান্ডে’র টাকায় কার্যক্রম শুরু করলেও বর্তমানে নিজস্ব আয়েই প্রতিষ্ঠানটি চলছে।
পাশাপাশি গ্রামীণ টেলিকম থেকেও তারা অনুদান নিয়ে থাকে বলে জানানো হয়েছে।
গ্রামীণ ফান্ড
১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ফান্ডের তহবিলে বর্তমানে ১৬ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
মূলত : গ্রামীণ ব্যাংকের যেসব সদস্য মাঝারি বা বড় আকারের ঋণ নিয়ে অভিনব এবং প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসা করতে চান, তাদেরকে সহায়তা করার জন্যই গ্রামীণ ফান্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়।
শুরুতে দাতাদের অর্থেই এই ফান্ড গঠিত হয়। পরবর্তীতে এই ফান্ডের তহবিল দাঁড়ায় প্রায় ৪৯ কোটি টাকা। তবে ২০১০ সাল পর্যন্ত এই ফান্ডের ঋণ কার্যক্রম নিয়মিত ছিল বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এরপর নানা কারণে ধীরে ধীরে ঋণ কার্যক্রমের পরিধি কমিয়ে আনা হয়। আর করোনা মহামারীর পর ঋণ কার্যক্রমটি একেবারে বন্ধ করে দেয়া হয়।
গ্রামীণ সামগ্রী ও উদ্যোগ
গ্রামীণ সামগ্রী প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ জানুয়ারি। পুনরুজ্জীবিত করে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশের তাঁত শিল্পকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য বলে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণে সারা দেশে দুই শতাধিক তাঁতিতে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসে গ্রামীণ সামগ্রী।
অধ্যাপক ইউনূসের আরেক উপদেষ্টা ইমামুস সুলতান বলেন, এটি করার মাধ্যমে একদিকে যেমন বাংলাদেশের তাঁতবস্ত্র বিশ্ববাজারে ঢুকতে পেরেছে, তেমন দরিদ্র তাঁতিরাও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে।’ দেশে-বিদেশে এসব কাপড় ‘গ্রামীণ চেক’ নামে বেশ পরিচিতি লাভ করে।
এই ব্র্যান্ডে আড়াই হাজারেও বেশি ডিজাইনের কাপড় রয়েছে বলে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।
এ পর্যন্ত ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ মিলিয়ন ইয়ার্ডের বেশি গ্রামীণ চেকের কাপড় রফতানি করা হয়েছে বলেও সেখানে জানানো হয়েছে। যদিও দেশের বাজারে গ্রামীণ চেকের বিক্রয়কেন্দ্রগুলো কয়েক বছর আগে ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এরপর গ্রামীণ সামগ্রী নামেই বিভিন্ন স্থানে এখন পর্যন্ত ২১টির বিক্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর বাইরে যৌথ অংশীদারিত্বে বেশ কিছু বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। গ্রামীণ সামগ্রীর লাভের টাকায় সংশ্লিষ্ট তাঁতি পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হয়।
পাশাপাশি ওইসব পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয় বলেও জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। অন্যদিকে, তিন দশক আগে গ্রামীণ উদ্যোগও একই উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বলে জানা যায়। তবে গ্রামীণ সামগ্রীর কার্যক্রম বাড়তে থাকায় ধীরে ধীরে গ্রামীণ উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়।
গ্রামীণ শক্তি
এক সময়ে লাভজনক এই প্রতিষ্ঠান গত কয়েক বছরে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা লোকসান গুনেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ১৯৯৬ সালে গ্রামীণ শক্তির যাত্রা শুরু হয়। এরপর স্বল্প সুদের কিস্তিতে সারা দেশে প্রায় ১০ লাখ সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বাংলাদেশের ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল বসানো উদ্যোগ নেন অধ্যাপক ইউনূস। নূর জাহান বেগম বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় তখন সন্ধ্যার পর গ্রামগঞ্জে মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য চালানো কঠিন ছিল। সেই সমস্যা সমাধানেই গ্রামীণ শক্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়।’
শুরুতে বেশ চাহিদা থাকায় লাভে ছিল গ্রামীণ শক্তি। তবে পরবর্তীতে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে যতই বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছেছে, ততই সোলার প্যানেলের চাহিদা কমেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ফলে এতদিন যেগুলো বসানো হয়েছে, এখন সেগুলোই দেখভাল ও মেরামত করাই এখন প্রতিষ্ঠানটির মূল কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন
১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনের প্রধান লক্ষ্য ছিল মাছ চাষের মাধ্যমে অভাবী মানুষকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা। এ লক্ষ্যে তারা সরকারি মালিকানায় থাকা বড় বড় পুকুর ও দীঘির ইজারা নিয়ে থাকে।
এরপর স্থানীয় দরিদ্র মানুষের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে মাছ চাষ করে। এক্ষেত্রে মাছ চাষের পুরো খরচ বহন করে গ্রামীণ শক্তি ফাউন্ডেশন। মাছ বড় হলে সেটি দুই ভাগ করে একভাগ চাষিদের দেয়া হয়। এভাবে ভাগে মাছ চাষ করে ২০১০ সাল পর্যন্ত কয়েক কোটি টাকা লাভ হয়েছে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে এরপর হঠাৎ ফাউন্ডেশনের কাছে জলাভূমি ইজারা দেয়া বন্ধ করে দেয় সরকার।
মূলত ওই কারণেই এখন গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। সূত্র : বিবিসি
হককথা/নাছরিন