নিউইয়র্ক ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইউরোপের উদ্দেশে ভয়াল যাত্রা চলছেই

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৮৯ বার পঠিত

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে ভয়াল যাত্রা থামছেই না। গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত এ কাণ্ড এ বছরও অব্যাহত আছে। সাইপ্রাস থেকে বুলগেরিয়া, সার্বিয়া, অস্ট্রিয়া হয়ে ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে অভিবাসনের লক্ষ্যে এখনো পথে পথে আছেন অনেকেই; লিবিয়া উপকূল হয়ে সাগরপথে ইউরোপে অনুপ্রবেশে ইচ্ছুকদের সংখ্যাও কম নয়। তাদের মধ্যে আবার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশিও আছেন। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ইউরোপ যাত্রায় পথেই ঝরে পড়ছে অসংখ্য প্রাণ। সর্বশেষ ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করা একটি নৌকায় আগুন লেগে ৯ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তিউনিসিয়া উপকূলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে অবৈধভাবে সমুদ্রপথ হয়ে ইউরোপে যেতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩ হাজার জন। একই বছর সমুদ্রপথে শুধু ইতালিতে অনুপ্রবেশ ঘটেছে এক লাখ ৫৩ হাজার অভিবাসীর। ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় এটি ৬২ শতাংশ বেশি। ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে ৯৫ হাজার ৭৫৮ জন এবং ২০২১ সালে ৬৩ হাজার ৬২ জন ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেন।

লিবিয়া হয়ে সাগরপথে ইউরোপ যাত্রাকালে তিউনিসীয় উপকূলে নৌকায় আগুন লাগার ঘটনায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৯ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে। ওই নৌকায় মোট ৫২ জন ছিলেন। অবশিষ্ট ৪৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিতদের মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে ২৫ জন তিউনিসিয়ার জর্জিস শহরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) ক্যাম্পে আছেন। আর একজন খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। অন্যদিকে মৃত ৯ বাংলাদেশিকে জর্জিসের একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। উদ্ধার বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে তিউনিসিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও আইওএমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। গতকাল সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে, ত্রিপোলির বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার জর্জিস শহরে রওনা হয়েছেন। আজ তারা সেখানে পৌঁছবেন। কর্মকর্তারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারকৃতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ এবং মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশিদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করবেন।

ঘটনার বিষয়ে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল হাসানাত মো. খায়রুল বাশার আমাদের সময়কে বলেন, তিউনিসিয়ার জর্জিস উপকূলে ভূমধ্যসাগরে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। ইউরোপ যাওয়ার পথে নৌকায় আগুন লেগে ৯ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। এ ছাড়া ২৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারা জর্জিসের উদেশে রওনা হয়েছেন। তারা গিয়ে মৃত ৯ জনের পরিচয় শনাক্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আমরা সব রকমের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আইওএমের মাধ্যমে আমরা মৃতদেহ দেশে পাঠানোর চেষ্টা করব। যদি না হয় তা হলে আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানোর চেষ্টা করব। তবে আমি একটা কথা বলবÑ কেউ যেন অবৈধ পথে ইউরোপ না যায। সূত্র : আমাদের সময়

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইউরোপের উদ্দেশে ভয়াল যাত্রা চলছেই

প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে ভয়াল যাত্রা থামছেই না। গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত এ কাণ্ড এ বছরও অব্যাহত আছে। সাইপ্রাস থেকে বুলগেরিয়া, সার্বিয়া, অস্ট্রিয়া হয়ে ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে অভিবাসনের লক্ষ্যে এখনো পথে পথে আছেন অনেকেই; লিবিয়া উপকূল হয়ে সাগরপথে ইউরোপে অনুপ্রবেশে ইচ্ছুকদের সংখ্যাও কম নয়। তাদের মধ্যে আবার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশিও আছেন। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ইউরোপ যাত্রায় পথেই ঝরে পড়ছে অসংখ্য প্রাণ। সর্বশেষ ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করা একটি নৌকায় আগুন লেগে ৯ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তিউনিসিয়া উপকূলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে অবৈধভাবে সমুদ্রপথ হয়ে ইউরোপে যেতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩ হাজার জন। একই বছর সমুদ্রপথে শুধু ইতালিতে অনুপ্রবেশ ঘটেছে এক লাখ ৫৩ হাজার অভিবাসীর। ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় এটি ৬২ শতাংশ বেশি। ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে ৯৫ হাজার ৭৫৮ জন এবং ২০২১ সালে ৬৩ হাজার ৬২ জন ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেন।

লিবিয়া হয়ে সাগরপথে ইউরোপ যাত্রাকালে তিউনিসীয় উপকূলে নৌকায় আগুন লাগার ঘটনায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৯ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে। ওই নৌকায় মোট ৫২ জন ছিলেন। অবশিষ্ট ৪৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিতদের মধ্যে ২৬ জনই বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে ২৫ জন তিউনিসিয়ার জর্জিস শহরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) ক্যাম্পে আছেন। আর একজন খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। অন্যদিকে মৃত ৯ বাংলাদেশিকে জর্জিসের একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। উদ্ধার বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে তিউনিসিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও আইওএমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। গতকাল সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে, ত্রিপোলির বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার জর্জিস শহরে রওনা হয়েছেন। আজ তারা সেখানে পৌঁছবেন। কর্মকর্তারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারকৃতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ এবং মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশিদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করবেন।

ঘটনার বিষয়ে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল হাসানাত মো. খায়রুল বাশার আমাদের সময়কে বলেন, তিউনিসিয়ার জর্জিস উপকূলে ভূমধ্যসাগরে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। ইউরোপ যাওয়ার পথে নৌকায় আগুন লেগে ৯ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। এ ছাড়া ২৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারা জর্জিসের উদেশে রওনা হয়েছেন। তারা গিয়ে মৃত ৯ জনের পরিচয় শনাক্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আমরা সব রকমের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আইওএমের মাধ্যমে আমরা মৃতদেহ দেশে পাঠানোর চেষ্টা করব। যদি না হয় তা হলে আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানোর চেষ্টা করব। তবে আমি একটা কথা বলবÑ কেউ যেন অবৈধ পথে ইউরোপ না যায। সূত্র : আমাদের সময়

হককথা/নাছরিন